তামিমের বিদায়ে যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যরা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর জাতীয় দলের সতীর্থদের আবেগময় বার্তা পেয়েছেন তামিম ইকবাল।

২০০৭ সালে তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক অভিষেক থেকে যুগলবন্দির শুরু। পরের ১৬ বছরের বেশি সময়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ ম্যাচ তার সঙ্গে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। বন্ধুত্ব অবশ্য ছিল তাদের বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই। পরে জাতীয় দলে একসঙ্গে এই দীর্ঘ পথচলায় দুজনের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে আরও। প্রিয় বন্ধুর বিদায়ে হৃদয় ভেঙে গেলেও ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন মুশফিক।২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে থেকে থমকে ছিল তামিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চাওয়ায় ফেরার সামান্য সম্ভাবনা জাগলেও সেই দরজা আর খুলতে দেননি তামিম। সামাজিক মাধ্যমে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন বিদায়ের সিদ্ধান্ত।

 

বিদায় বেলায় দীর্ঘ দিনের সতীর্থ ও সাবেক ক্রিকেটারদের কাছ থেকে আবেগময় বার্তা পেয়েছেন তামিম। সামাজিক মাধ্যমে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মুশফিক।তোর অবসরে আমি শুধু এটুকুই জানাতে চাই, তোর প্রতিটি অর্জনে আমি কতটা গর্বিত, দোস্ত। তুই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অসাধারণ একজন দূত এবং বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান।”

 

প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের জার্সিতে ৩৮৭ ম্যাচ খেলেছেন তামিম। এর মধ্যে ৩৪৫টিতেই তিনি সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন মুশফিককে।

 

এসব ম্যাচে মোট ৭২ বার উইকেটে জুটি বেধেছেন মুশফিক ও তামিম। ৫টি শতক ও ১৩টি পঞ্চাশছোঁয়া জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেছেন আড়াই হাজারের বেশি রানতবে মুশফিকের কাছে সবচেয়ে স্মরণীয় ২০১৮ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬ বলে ৩২ রানের দশম উইকেট জুটি। সেদিন ম্যাচের শুরুতেই আঙুলের চোটে মাঠ ছাড়েন তামিম৷ পরে হাতে সেলাই করিয়ে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে যান তিনি।

 

এক হাতে ব্যাট করে সেই ম্যাচে একটি বল খেলেছিলেন তামিম। দলের জন্য সেটিই ছিল মহামূল্য। তিনি ক্রিজে নেমেছিলেন বলেই মুশফিকের সঙ্গে ১৬ বলে ৩২ রানের জুটি হয়েছিল শেষ উইকেটে, ম্যাচের প্রেক্ষাপটে যা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিক নিজেও ব্যথা নিয়ে ১৪৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।তামিমের বীরত্বপূর্ণ ওই জুটিটিই মুশফিকের সবচেয়ে প্রিয়।

দুবাইয়ে আমাদের জুটির কথা আমি সবসময় মনে রাখব। বিশেষ করে যখন তুই ভাঙা আঙুল নিয়ে ব্যাটিং করলি৷ এটি দেশের জন্য তোর নিবেদন ও খেলাটির প্রতি তোর ভালোবাসায় প্রমাণ দেয়।”

 

“অবসরের সিদ্ধান্তে শুভকামনা দোস্ত৷ মাঠে তোকে মিস করব। তবে ক্রিকেটের মাধ্যমে দারুণ একজন বন্ধু পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।”

 

সাফল্যমণ্ডিত ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য তামিমকে অভিনন্দন জানান জাতীয় দলের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ দীর্ঘ ও অসাধারণ ক্যারিয়ারে দারুণ সব অর্জনের জন্য অনেক অভিনন্দন, তামিম। তুমি অনেক কিছু অর্জন করেছ এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক অবদান রেখেছো।”

 

সামাজিক মাধ্যমের ওই বার্তায় তামিমের সঙ্গে নিজের শেষ জুটি বাধার ছবি জুড়ে দেন মাহমুদউল্লাহ।

 

“আমার মনে হয়, সেদিনই আমরা বাংলাদেশের হয়ে শেষবার একসঙ্গে ব্যাটিং করেছিলাম। তোমার সঙ্গে খেলা এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে হাজারও স্মৃতি খুবই আনন্দময় ছিল। অবসর ও ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা

 


MD Hemal

14 Blog Mensajes

Comentarios