ভাঙ্গা খেলনা - শিক্ষনীয় গল্প

রাতুল ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোন কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা চাইতো তা হাত বাড়ালেই পেতো। ??

রাতুল ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোন কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা চাইতো তা হাত বাড়ালেই পেতো। তার আনন্দেরও কোন শেষ ছিলনা। 

 

সারা দিন সে তার নানান খেলনা নিয়ে খেলতো। কোন খেলনা তার পছন্দ না হলে তা নিয়ে খেলত না এবং তা ছুড়ে ফেলে রাখতো। কোন খেলনা যদি পুরনো হয়ে যেত তাতেও তার ছিল ঘোরতর আপত্তি। এই খেলনা দিয়ে খেলতে সে রাজি নয়।

 

একদিন তার মামা তাদের বাসায় বেড়াতে আসলো। তিনি রাতুলের এইসব দেখে অনেক কষ্ট পেলেন। রাতুল তার মামার সামনেই তার কিছু পুরনো খেলনা ভেঙ্গে ফেললো।

 

মামা এটি দেখে তাকে তার ভাঙ্গা এবং পুরনো কিছু খেলনাসহ নিয়ে গেলেন পাশের একটি বস্তিতে। সেখানে কিছু দরিদ্র শিশুকে তার ভাঙ্গা, অকেজো খেলনাগুলো ভাগ করে দিলেন খেলতে। 

 

রাতুল দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল। সে যে সব খেলনা ছুঁয়ে দেখতে চায় না, তা অনেকের কাছে সাত রাজার ধনের মত। খেলনার জন্য তারা হুড়োহুড়ি এবং হালকা ঝগড়াও শুরু করলো একে অপরের সাথে।

 

এটি দেখে রাতুল তার ভুল বুঝতে পারলো। সে ঠিক করলো যে, তার যা আছে তা সুন্দরভাবে ব্যবহার করবে। কোন কিছুই অকারণে, অবহেলায় নষ্ট করবেনা। 

 

কিছু থাকার পরে আরও বেশি পাওয়ার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করবেনা। কেননা যা তার কাছে ছোট বলে মনে হয়, তা অনেকে ছুঁয়ে দেখারও সুযোগ পায়না।

 

আসুন আমরা আমাদের যা আছে তার সুষ্ঠু এবং পরিপূর্ণ ব্যবহার করি। কিছু নষ্ট করার আগে একবার ভেবে দেখি তাদের কথা যারা তাদের প্রয়োজনটুকুই পাচ্ছেনা। 

 

নিজের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তা থাকলে বাড়তিটুকু, বিশেষ করে যে সব বস্তু আমরা অবহেলায় ফেলে রাখি, তা অন্যদের দিই। হয়তো এতেই তারা তাদের জীবনে অনেক কিছু পেয়েছে বলে মনে করবে।

 

[গল্পটি ইন্টারনেট হতে সংগ্রহিত]


bablu islam

77 Blog Mesajları

Yorumlar