একটি দেশের উন্নতি শুধু অবকাঠামো বা অর্থনীতির পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝা যায় না; বরং এর প্রকৃত পরিমাপ হয় মানুষের জীবনের মান, শিক্ষার হার, সামাজিক ন্যায় ও নৈতিকতার ভিত্তিতে। বাংলাদেশের মতো একটি উদীয়মান দেশ বিগত কয়েক দশকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে।
দেশের অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ
১. অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
বাংলাদেশ এখন একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। রপ্তানিমুখী শিল্প, বিশেষ করে গার্মেন্টস ও রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উন্নত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির প্রসারও অর্থনৈতিক গতিকে ত্বরান্বিত করেছে।
২. শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়ন:
প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের হার বেড়েছে। মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের ভূমিকায় আসা সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
৩. ডিজিটাল বাংলাদেশ:
ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তব রূপ পেয়েছে। সরকারী সেবার ডিজিটালাইজেশন, ই-কমার্স ও অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে উন্নতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা:
কমিউনিটি ক্লিনিক, টিকাদান কর্মসূচি ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জ
তবে এই অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে:
দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব
বেকারত্ব
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি
সামাজিক বৈষম্য
এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় নাগরিকদের সচেতনতা ও রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নাগরিক হিসেবে আমাদের করণীয়
আইন মানা ও কর প্রদান
শিক্ষিত, সৎ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সমাজে অবদান রাখা
পরিবেশ রক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ চর্চা করা
ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা