শুক্রবার শ্রম বিভাগ জানিয়েছে যে মার্কিন নিয়োগকর্তারা এপ্রিল মাসে ১,৭৭,০০০ নতুন কর্মসংস্থান যুক্ত করেছেন।

প্রতিবেদনটি বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে, যদিও আগের মাসের তুলনায় নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও ধীরগতি ছিল। এদিকে, বেকারত্বের হার ৪.২% এ স্থিতিশীল ছিল।

বিনিয়োগকারীদের জন্য আরেকটি উৎসাহের লক্ষণ হলো শুক্রবার বেইজিংয়ের ঘোষণা যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনের একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে।

১৪৫% হারে, চীন এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আমদানি করের সম্মুখীন।

কিছু বিশ্লেষকের মতে,

এই সপ্তাহে বাণিজ্য বিভাগের তথ্যে তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মার্কিন অর্থনীতিতে সংকোচনের ইঙ্গিত দেওয়ার পর, কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান মন্দার আশঙ্কা কমিয়ে এনেছে।

"এখানে অভিযোগ করার কিছু নেই," হাই ফ্রিকোয়েন্সি ইকোনমিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ কার্ল ওয়েইনবার্গ একটি গবেষণা নোটে বলেছেন।

"এই পরিসংখ্যানগুলিতে আপনি নবজাতক মন্দার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাবেন না।"

প্রিন্সিপাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান বৈশ্বিক কৌশলবিদ সীমা শাহও আশাবাদের কারণ দেখেছেন।

"আগামী মাসগুলিতে অর্থনীতি দুর্বল হবে কিন্তু এই অন্তর্নিহিত গতির সাথে,

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সময়মতো শুল্কের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে আসতে পারে তবে মন্দা এড়ানোর একটি ভালো সুযোগ রয়েছে," তিনি বলেন।

তবে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে ট্রাম্পের শুল্কের সম্পূর্ণ প্রভাব দেখতে সময় লাগবে।

ফিচ রেটিংয়ের মার্কিন অর্থনৈতিক গবেষণার প্রধান ওলু সোনোলা শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, চাকরির প্রতিবেদনটি শক্তিশালী হলেও, "ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা খুবই অনিশ্চিত।"