এক ভুতের গল্প

নিশির ডাক: এক ভুতের গল্প

একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম তার পানিকুড়া। চারপাশে ধানক্ষেত, মাঝখানে একটা পুরনো তালগাছ ঘেরা পুকুর। এই পুকুরটা নিয়েই গাঁয়ের মানুষের ভয়। কেউ বলে, পুকুরের পাড়ে নিশির ডাক শোনা যায়, কেউ বলে কেউ কেউ ওখানে গিয়ে আর ফেরেনি।

 

একদিন গ্রামের ছেলে রিয়াজ বন্ধুদের চ্যালেঞ্জে পড়ে গেল। বলল, “ভূতটুত কিছু নেই! আমি রাত বারোটায় গিয়ে পুকুর পাড়ে বসে থাকব। দেখি কে আসে!”

 

রাত বাড়তেই রিয়াজ একা চলে গেল পুকুরের দিকে। আকাশে মেঘ, চারদিক নিস্তব্ধ। তালগাছের পাতাগুলো হাওয়ায় সাঁই সাঁই করে কাঁপছে। পুকুরপাড়ে বসে সে সময় দেখতে লাগল।

 

হঠাৎ পেছন থেকে এক ফিসফিসানি—“রিয়াজ... রি-ই-ই-ই-য়াজ...”

 

সে ঘুরে দেখে, কেউ নেই। আবার ডাক—“আমার গলা শোনো... আমি এসেছি...”

 

হঠাৎ তালগাছের নিচে সাদা কাপড় জড়ানো এক নারী মূর্তি দেখতে পেল সে। মুখ নেই, পা নেই—মাটি ছুঁয়ে ভেসে ভেসে এগিয়ে আসছে।

 

রিয়াজ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

 

পরদিন সকালে মানুষ তাকে পুকুরপাড়ে অজ্ঞান অবস্থায় পায়। সে শুধু বলতে পারে, “ভুল করেছি... ও ডাকে গেলে আর ফেরা যায় না... নিশির ডাকে কেউ গেলে আর মানুষ থাকে না...”

 

তারপর থেকে কেউ আর রাত বারোটার পর পুকুরের দিকে যায় না।


MD HOSAEN ALI SHEIKH

27 Блог сообщений

Комментарии