রাজশাহীর এক পুরনো জমিদারবাড়ি, নাম “নীলকুঠি।” এক সময় রাজকীয় পরিবেশে জমজমাট ছিল, এখন পরিত্যক্ত। কেউ সেখানে যায় না, কারণ শোনা যায়—রাত হলে ভেতরে চুড়ির আওয়াজ ভেসে আসে, আর দেখা যায় এক লাল শাড়ি পরা মেয়েকে ছাদে ঘুরে বেড়াতে।
তিন বন্ধু—তানিম, রফিক আর এলিনা—অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় একদিন রাতে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সঙ্গে টর্চ, ক্যামেরা—ভয়কে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে ওরা।
বাড়ির ভেতর ঢুকতেই কেমন জানি ঠান্ডা একটা বাতাস বইল। হঠাৎ করেই চারপাশটা নিঃস্তব্ধ হয়ে গেল।
তানিম ক্যামেরা অন করতেই এলিনা বলল, "এই শোনো... চুড়ির আওয়াজটা পাচ্ছো?"
টিক টিক… ঝন ঝন… ধীরে ধীরে আওয়াজটা কাছে আসছে।
হঠাৎ এক ঝলক লাল রঙের শাড়ির আচল উড়ে গেল সামনে দিয়ে। আর তার পরেই মেঝের উপরে স্পষ্ট পায়ের ছাপ—কিন্তু পা নেই!
রফিক দৌড়ে পালাতে যায়, কিন্তু দরজা বন্ধ। হঠাৎ করেই চারদিক কালো হয়ে গেল। চুড়ির ঝনঝনি চারদিক থেকে ঘিরে ধরল।
একটা মেয়ে কণ্ঠ ফিসফিসিয়ে বলল, “তোমরা চলে যাও… আমি এখনো অপেক্ষায়… আমার বিয়ের রাতে আমাকে যে মেরে ফেলেছিল… আমি তার খোঁজে আছি…”
আলো জ্বলে উঠতেই তিন বন্ধু অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে।
পরদিন স্থানীয়রা তাদের বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় পায়।
তাদের মুখে একটাই কথা—“নীলকুঠির লাল শাড়ির মেয়ে এখনও ফিরে আসেনি…”