নদীমাতৃক বাংলাদেশের বুকে, মেঘনার কোল ঘেঁষে অবস্থিত এক শান্ত, সবুজ গ্রাম—পাথারের চর। প্রকৃতির সৌন্দর্য আর সরল মানুষের জীবনের এক অনন্য মেলবন্ধন এই গ্রামটি।
পাথারের চরে চোখে পড়ে বিশাল বিস্তৃত সবুজ মাঠ, নদীর তীর ধরে সারি সারি গাছ, আর দূরে দেখা যায় ধানের ক্ষেতের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছপালা। এখানে সূর্য ওঠে পাখির কলতানে, আর সন্ধ্যা নামে নদীর হিমেল হাওয়া বুকে নিয়ে।
এই গ্রামের সবচেয়ে সুন্দর দিক হলো এখানকার মানুষ। সরল, মিশুক আর অতিথিপরায়ণ। যে কেউ এলেই অনুভব করবে আত্মীয়ের মতো আপন।
পাথারের চরে সময় যেন ধীরে চলে। শিশুদের খেলাধুলা, মাঠে কৃষকদের কাজ, নদীতে জেলেদের জাল টানা—সবকিছুতেই আছে এক মায়া মাখানো ছন্দ। এখানে বৈশাখ মানে শুধু উৎসব না, বরং আত্মার মিলন। এখানে রমজান মানে ভ্রাতৃত্ব, আর ঈদ মানে একসাথে ভাগ করে নেওয়া আনন্দ।
পাথারের চর শুধু একটি গ্রাম নয়, এটি এক টুকরো বাংলাদেশ—যেখানে প্রকৃতি, সংস্কৃতি আর মানুষের হৃদয়ের গভীরতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।