অবস্থা খুবই খারাপ। ডাক্তার বলছে উল্টো হয়ে আছে বাচ্চাটা। অপারেশন করতে হবে। তা করুক। কিন্তু জয়ার অবস্থা বেশি ভালো না। ওকে বাঁচানো মুশকিল। "ঠাকুর তোমাকে আমি দশটা না দশটা না, একশোটা লাড্ডু নিজের হাতে বানিয়ে খাওয়াবো। তবু তুমি আমার জয়াকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিও না।"
ডাক্তার প্রাণান্ত চেষ্টা করে চলেছে জয়াকে বাঁচানোর জন্য। শেষমেষ শেষ হলো অপারেশনটা। অপারেশন শেষ করে ডাক্তার বললো, "মিস্টার জয়ন্ত আপনার মেয়ে হয়েছে।"
- "আর জয়া?"
- "এখনো ঠিক বলা যাচ্ছে না।"
আইসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে জয়া ও তার মেয়েকে। রুমে ঢুকলো জয়ন্ত। ফুটফুটে এক রাজকুমারী তার ছোট্ট ছোট্ট হাত পা নাড়ছে। কিন্তু জয়ার চোখ বন্ধ। কেমন যেন মরার মতো পড়ে আছে শরীরটা। "বেঁচে আছে তো আমার জয়া?"
শ্বাস পড়ছে কিনা তা দেখার জন্য দুটো আঙ্গুল জয়ার নাকের কাছে নিতেই জয়া চোখ খুলে মুচকি হাসি দিয়ে বললো, "আমি বেঁচে আছি কিনা দেখছো?"
আচমকা এমন পরিস্থিতিতে কেঁপে উঠলো জয়ন্ত।
- "তুমি না আসলেই একটা যা তা!!"
- "ওদিকে আমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। আর তোমার খুনসুটি জারি আছেই। তুমি যে আসলে কি!!"
- "কি আমি?"
জয়ার কপালে একটা চুমু দিয়ে জয়ন্ত ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো, "আমার মহারানী।"