বয়সেই?
কথায় কথায় কান্না?
কি জানি।
ছেলেবেলায় বই পড়ে কত যে কাঁদতাম। কোন গল্পের শেষটা মনমত না হলে চোখ ফুলে যেতো। বিছানার কোনায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছি কতদিন।
আমার কাছের মানুষ কখন কাছে এসে দাঁড়ায়।
শাড়ীটার রং প্রসংগে কিছুই বলেনা ........টিপটা সোজা করে দেবে বলে খুব কাছে এসে দাঁড়ায়। খুব অবাক করে দিয়ে বলে তোমাকে একবার বোলপুর নিয়ে যাবো। শান্তিনিকেতনের পথে হাঁটতে। সেখানে যখন যাবো একদিন হলেও বৃষ্টি হওয়া চাই ই চাই।
হাঁটতে হাঁটতে দুজনে গাইবো ।
"এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে।
এসো করো স্নান নবধারা জলে।"
খুব অবাক হয়ে যাই।
আজ বিকালেই অববাহিকা বইটা পড়বার সময় খুব ইচ্ছা করছিলো ঐ সব পথে যাই। এমনই ও আমার রাখাল ছেলে।
সব বুঝে ফেলে।
শাড়ী পড়লেই ও মেঘবতী মেয়ে ডাকে।
আমি কি চাই। আমি কি ভাবি ও সব কি করে বোঝে?
বেলকোনির একপাশে দাঁড়িয়ে দুজনে বৃষ্টিপড়া দেখি।
"কি আনন্দ কি আনন্দ নাচে মুক্তি নাচে ছন্দ।"
বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাচ্ছি ভেবে সরে যাই আরো।
কোথায় বৃষ্টি। দুজনের চোখে পানিতে ভিজে যাচ্ছি দুজন।