কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ভবিষ্যৎ সমাজ

বিশ্ব প্রযুক্তির এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে—

বিশ্ব প্রযুক্তির এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে—যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) হয়ে উঠছে আধুনিক সমাজের চালিকাশক্তি। মানুষের চিন্তা, সিদ্ধান্ত ও সৃষ্টিশীলতা এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুকরণযোগ্য। ফলে সমাজে যেমন গতিশীলতা বেড়েছে, তেমনি প্রশ্ন উঠেছে—মানবতা কী হারিয়ে যাচ্ছে?

 

চ্যাটবট, রোবট, অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিং আজ কেবল গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ নয়। ব্যাংকিং, চিকিৎসা, শিক্ষা, এমনকি সংবাদ প্রচার—সবখানেই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব দৃশ্যমান। এটি যেমন কাজকে সহজ করে তুলেছে, তেমনি বহু মানুষের চাকরি অনিশ্চয়তায় ফেলেছে।

 

একদিকে, AI প্রযুক্তি আমাদের সমাজকে স্মার্ট করে তুলছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, রোগ নির্ণয়, কৃষি উৎপাদন—সবকিছুতে অসাধারণ দক্ষতা আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, মানুষের মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বাধীনতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যন্ত্র যদি সব সিদ্ধান্ত নেয়, তবে মানবিকতা কোথায় থাকবে?

 

তাই দরকার দায়িত্বশীল প্রযুক্তি ব্যবহারের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করতে হবে, নিয়ন্ত্রক নয়। নীতিমালা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও গণসচেতনতাই পারে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর সমাজকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলতে।


Jihad hassan Ortho

7 블로그 게시물

코멘트