পর্ব___<<<____>>>___৭

মন পাজরে তুই____<<<<<_____>>>>>_____

#মন_পাঁজরে_তুই

#আরেব্বা_চৌধুরী 

#পর্বঃ ০৭

 

আবইয়াজ তুই না দিন দিন ছেলেমানুষ হয়ে যাচ্ছিস।

-তো আমাকে দেখে কি তোর মেয়ে মানুষ মনে হয় আদি? 

আদির সাথে কথা বলতে বলতে পেছন ফিরে তাকাতেই দেখলো আবিরা মিটমিট করে হাসছে।

-আয় হায় ও সব দেখছে দ্রুত পকেট থেকে ফোন বের করে ক্যামেরা অন করে নিজেকে ঠিক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো আবইয়াজ।

-স্লা মাদ্রিদ তোর বোন ওখানে দাঁড়িয়ে আছে আগে বলবি তো?

-আমি বলার কি, পিকু যখন বাইরে তখন আবিরাও নিশ্চয়ই বাইরেই থাকবে।

-দেখতো আমাকে ফিট লাগছে কি না? 

আবইয়াজ তুই এসব পাগলামো বাদ দিবি কবে?

-যবে তোর বোন কে আমার হাতে তুলে দিবি তবে থেকে সব রকম ভন্ডামি ছেড়ে দিবো কসম।

- ওকে তুই আগে মোমো'কে বাসায় আনার ব্যবস্থা কর, যেদিন মোমো বাসায় আসবে তারপরেরদিনই আমি আবিরার আর তোর বিয়ের কথা নিয়ে আম্মুর সামনে দাঁড়াবো।

আদির কথায় আবইয়াজের মন পুলকিত হয়ে উঠলো।

-টেনশন নিস না ইয়ার আমি এক্ষুনি আন্টি'কে পটিয়ে নিচ্ছি।

 

আবইয়াজ হাত দিয়ে নিজের চুলগুলো একটু গুছিয়ে নিয়ে ভেতরে গেলো।

দুই কদম এগিয়ে গিয়ে আবার পিছিয়ে এসে আদির পাশে দাঁড়ালো। 

-ভাই আমি নাহয় আন্টিকে ম্যানেজ করে নিবো কিন্তু তার জন্য তোকে দুই চারটা কিল থাপ্পড় খেতে হতে পারে ওগুলো সহ্য করে নিস।

-ব্যাপার না নববধূর জন্য এটুকু তো সহ্য করা-ই যায়।

 

আবইয়াজ মুখ কাচুমাচু করে নীলিমা হকের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

-আন্টি। 

-কিছু বলবে?

-একটা অঘটন ঘটে গেছে। 

-কি হয়েছে?

-আসলে হইছে কি আন্টি, আদি না বিয়ে করে ফেলছে।

-কিহ? তুমি কি মজা করছো আমার সাথে?

আবইয়াজ মাথা নাড়িয়ে না বললো।

-কি আদি, আবইয়াজ কি বলছে এসব?

আদি মাথা নিচু করে নিলো।

-ফাইজলামি হচ্ছে আমার সাথে?

আবইয়াজ মাথা নাড়িয়ে না জানালো।

এবার নীলিমা হক আবইয়াজের দিকে ধামকিয়ে উঠলেন।

-তুমি চুপ থাকো। আদি তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাও আবইয়াজ যা বলছে তা কি সত্যি?

আদি ছোট করে উত্তর দিলো, হু।

-তুমি কি অনাথ? তোমার বাবা মা কেউ নাই? তুমি একা একা বিয়ে করে ফেললে কিভাবে, মেয়ের বংশ-ই বা কেমন যে ছেলের পরিবারের সবার অনুপস্থিতি তাদের মেয়েকে গলায় ঝুলিয়ে দিলো।

-আসলে আন্টি ওরা পালিয়ে বিয়ে করেছে, মেয়ের বংশ পরিচয় ভালো টাকা পয়সারও অভাব নেই।

-তোমাকে চুপ করতে বলছি তো?

-ছোট মানুষ আন্টি একটা ভুল না হয় করে ফেলছে আপনি তো মা আপনার উচিত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া।

-এখন কি তোমার থেকে আমায় শিখতে হবে কোন'টা উচিত আর কোনটা অনুচিত? 

-না, আমি তো এমনিই বলছিলাম।

-বিয়ে যে করলে কত কামাই তোমার? বউকে খাওয়াবে কি?

-আমি খাওয়াবো। নিজের হাত উঁচিয়ে বললো আবইয়াজ।

-স্টোপ, সার্কাস চলছে এবাড়িতে? আমি কি সার্কাসের জোকার। 

এবার নীলিমা হকের চিল্লাচিল্লিতে সিরিয়াস মুডে আসলো আবইয়াজ।

মায়ের চেঁচামেচি শুনে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে এলো আবিরা।

-আদি তুমি এক্ষুণি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও।

-এরে আদি এবাড়ি থেকে চলে গেলে আমার আর কুত্তার মাকে পাওয়া হবে না। 

দৌড়ে গিয়ে নীলিমা হকের পায়ে পড়ে গেলো আবইয়াজ।

-আমিও তো কত ভুল করি কিন্তু আমার মা সেগুলো মাফ করে দেন, কিছুক্ষণ বকাবকি করেন বেশি হলে কয়টা মারেন কিন্তু তারপর তিনি শান্ত হয়ে যান, সব কিছুর পরেও তিনি তো মা।যেখানে মায়েরা সন্তানের জন্য সব করতে পারে সেখানে আদি বিপদে পড়ে নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে ফেলছে। বিশ্বাস করেন আন্টি ওর এরকম কোনো চিন্তা-ই ছিলো না আপনাদের না জানিয়ে বিয়ে করার কিন্তু কি আর করার মোমোর কাল অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাচ্ছিলো সেজন্য আদি সুইসাইডের চেষ্টা করে বন্ধুকে বাঁচাতে আমরা-ই মোমোকে উঠিয়ে নিয়ে এসে ওদের বিয়ে দেই।

আমি জানি আমরা অন্যায় করেছি তার জন্য আপনি শুধু আদিকে কেনো আমাকেও মারুন তাও ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিবেন না, আপনি মা আপনি কি পারবেন আপনার একমাত্র সন্তানকে ছেড়ে থাকতে? আদি তো ঠিকই তার বউ নিয়ে সংসার করবে আপনার রাগারাগিতে সে তো আর তার বিবাহিতা স্ত্রীকে ছেড়ে দিবে না তাহলে আপনি কেনো ছেলের ভালোবাসার মধ্যে রিনা খাঁন হয়ে দাঁড়াবেন? উলটো আপনার মানসম্মান যাবে, মানুষ বলবে অমুকের ছেলে বিয়ে করছে মা ভালো না দজ্জাল, ছেলেকে বাসা থেকে বের করে দিছে, ছেলে বউ নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকে। লোকে আপনাকে নিয়ে কানাঘুষা করবে, এতোবছরে আপনার আর আংকেলের অর্জনকৃত মানসম্মান সব নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে তারচেয়ে ভালো মেনে নিন এবং ধুমধাম করে আবার বিয়ে দিয়ে দিন।

 

আবইয়াজের কথায় অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আদি।

কি গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারে। 

আবইয়াজের কথায় যুক্তি আছে, নীলিমা হক কিছুটা শান্ত হলেন।

-মেয়েটা কোথায়?

-ভাড়া বাসায়।

-এবাড়ির বউ কিনা ভাড়া বাসায় থাকবে তোমার সাহস তো কম না আদি।

আবইয়াজের ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটে উঠলো।

-যাক এবার তাহলে আমার রাস্তা ফাঁকা, দেখলে কুত্তার মা তোমাকে পাওয়ার জন্য আমাকে কত মিথ্যা বলতে হয়েছে।

আদি আমতা আমতা করে বলতে লাগলো আআসলে মা সাহস পাই নি ওকে তোমার সামনে আনার।

-যাও গিয়ে আমার পুত্রবধূ আমার বাড়ি নিয়ে আসো, আমি আবারো তোমাদের বিয়ে দেবো।

তখনই আবইয়াজের ফোন'টা বেজে উঠলো। 

ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখলো মেঘা কল করছে, কল কেটে দিলো আবইয়াজ। 

পর পর বার বার রিং হতে থাকলো।

কয়েকবার কেটে দেওয়ার পর বিরক্ত হয়ে আবিইয়াজ নাম্বারটা ব্লক করে দিলো।

একটু পর আবারো কল আসলো।

সেই আবারো মেঘা অন্য নাম্বার দিয়ে কল করছে। 

কল রিসিভ করে ঝাড়ি মেরে কল কেটে নাম্বারটা ব্লক লিস্টে ফেলে দিলো।

আবইয়াজের সাথে একটুখানি কথা বলার জন্য পাগলপ্রায় মেয়েটা।

যার কাছেই আবইয়াজের কথা বলতে যায় সে-ই কাড়ি কাড়ি উপদেশ শুনিয়ে দেয়? উপদেশ শুনে কি আর নিজের মন কে মানানো যায়? যায় কি নিজের অনুভূতি মাটি চাপা দিতে? একটা গাছ যেমন পানির অভাবে মারা যায় মানুষ ও তেমন ভালোবাসার অভাবে শুকিয়ে যায়।

 

নিজেকে আয়নায় সামনে দাঁড় করালো মেঘা, কিসের কমতি আছে আমার মধ্যে? কই নিজের মধ্যে কোনো কিছুরই তো অভাব দেখি না আমি তবে কেনো আমার সৌন্দর্য আবইয়াজের চোখে ধরা পড়ে না? তাকে পাওয়ার আশায় আমি নিজের আত্মসম্মান টুকুও বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি তা কি তার চোখে পড়ে না? সে কি বুঝতে পারে না আমি তাকে কত করে চাই?

জীবনে কোনো কিছুরই তো অভাব নেই আমার, যেটার অভাব সেটা একজন পুরুষের ভালোবাসার, তাও যেমন তেমন পুরুষের না, আমার আবইয়াজের ভালোবাসাই লাগবে।

আল্লাহ কপালে এত্তো এত্তো সুখ না রাইখা তারে রাখলেও তো পারতা! সুখ না-হয় একটু কমই দিতা আমারে কিন্তু তারে তো পাইতাম।

নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগছে, নিজের চুল নিজেই ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে। 

আবইয়াজ কিভাবে পারলো আমায় ব্লক করতে, মারুক কাটুক বকুক যাই করুক আমার সাথে কথা বলা কেনো বন্ধ করবে? দুই দিন হয়ে গেছে সে আমার সাথে কথা বলে না, কল রিসিভ করে না দেখা করে না, কিসের এতো ব্যস্ততা? তবে কি তার জীবনে নতুন নারীর আগমন ঘটেছে।

এটা দেখার আগে নিজেকে শেষ করে দিবো আমি, তোমাকে তো কিছু করতে পারবো না আবইয়াজ তবে নিজের ক্ষতি আমি ঠিকই করতে পারবো।

বিশ্বাস করো ভীষণ ভালোবাসি তোমায়, তাই তোমাকে আঘাত করার শক্তি আমার নেই, মনে রেখো আমি মেঘাকে ১০টা পুরুষের সামনে ছেড়ে দিয়ে আসলেও আমি ভয় পাওয়ার মেয়ে নয় তাদের মেরে রাস্তায় শুইয়ে রাখার ক্ষমতা আমার আছে, কিন্তু তোমার বেলা আমি তা করতে পারি না আবইয়াজ কারণ অস্ত্র সবার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো গেলেও কখনো ভালোবাসার মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো যায় না। 

 

বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে সবেমাত্র খেতে বসেছে রিফাত।

রুমে তার ফোন বেজেই চলেছে। উঠে যেতে চাইলে তার মা তাকে বসিয়ে বললেন খাবার রেখে উঠতে নেই,ফোনটা আমি নিয়ে আসছি। 

মায়ের কথায় রিফাত আবার চেয়ারে বসে পড়লো। 

মাহফুজা বেগম রিফাতের রুমে গিয়ে ফোন'টা হাতে নিলেন।

বেশ ক'বার দেখা যাচ্ছে ফোন এসেছে, হয়তোবা দরকারী কোনো ফোন তাই বার বার বেজে উঠছে, রিফাতের কাছে নিয়ে যেতে যেতে যদি কল কেটে যায় এই ভেবে কল রিসিভ করে কানে তুললেন তিনি।

অপর পাশ থেকে কেউ বেশ রাগতস্বরে বলে উঠলো, কুত্তার বাচ্চা এতো করে যে ফোন দেই রিসিভ করস না কেন? তোর কোন মা নিয়া ব্যস্ত তুই? 

-মাহফুজা বেগম শান্তস্বরে বললেন, কুত্তার বাচ্চা এখন ভাত খাচ্ছে, কুত্তা বছর পাঁচেক আগে মারা গেছে বেঁচে থাকলে হয়তো কুত্তার বাচ্চার আরো দু একটা মা থাকতো কিন্তু আফসোস এই কুত্তার বাচ্চার আমি ছাড়া আর কোনো মা নেই।

মিষ্টি ঢের বুঝতে পারলো অপরপাশের ব্যক্তিটি রিফাতের মা। 

আমতা আমতা করে র রং নাম্বার বললো।

ফের মাহফুজা বেগম প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, তুমি কুত্তার বাচ্চার কি হও?

মিষ্টি কি উত্তর দিবে সেটা সত্যিই তার অজানা, কেউ জানতো নাকি এই ভদ্রমহিলা ফোন উঠাবে, আগে জানলে মিষ্টি এভাবে গালি না দিয়ে সালাম দিতো।

-মিষ্টিরে মিষ্টি রিফাতকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকলে এখনই কল কেটে দে।

নিজে নিজেই বিড়বিড় করে বললো মিষ্টি।

-কি হলো মা কথা বলছো না কেনো?

মাহফুজা বেগমের কথার মধ্যে টুং শব্দ করে উঠলো, তার আর বুঝতে বাকি নেই অপর পাশের মানুষটি যে কল কেটে দিয়েছে। 

মৃদু হাসলেন তিনি। তাহলে ছেলে কোনো মেয়ের পাল্লায় পড়েছে, দিনকে দিন এর জন্যই বিগড়ে যাচ্ছে ছেলেটা, ভালোবেসেছিস বাপ আমার পাপ তো করিস নি, বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসবি তা না করে সারাদিন বাইক নিয়ে টইটই করে ঘুরে বেড়াস আর বাপের রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক এসবের পেছনে উড়াস।

 

ফোন'টা আবার যথাস্থানে রেখে ছেলের কাছে গেলেন মাহফুজা বেগম।

রিফাতের পাশের চেয়ারে বসলেন তিনি।

-কি আম্মু কিছু বলবা?

-তোর জীবনে কি নতুন কেউ এসেছে রিফাত?

-কে আসবে?

-কোনো মেয়ে!

-কই না তো আম্মু। 

-আমি তোর মা রিফাত আমার থেকে লুকাবি না কিছু, তুই কাউকে ভালোবাসলে সেটা আমি মেনে নিবো কিন্তু তুই খারাপ পথে চলে যাস এটা আমি কখনোই মেনে নিবো না, তুই আমার একটা মাত্র সন্তান আমার যত স্বপ্ন সব তোকে ঘিরে।

মায়ের দিকে আড় চোখে তাকালো রিফাত। 

হঠাৎ আম্মু এই কথাগুলোই বা বলছে কেনো?

-তোমার কি হইছে আম্মু হঠাৎ এসব বলছো কেনো?

-প্রায় প্রায় তুই রাতে বাসায় ফিরিস না, আর দিনের কথা না-হয় বাদই দিলাম, ফ্যামিলি কিভাবে চলবে না চলবে এসব নিয়ে কোনো ভাবান্তর আমি তোর মধ্যে দেখি না, তুই কি সারাদিন কোনো মেয়ে নিয়ে থাকিস? এমন হলে বল আমি আমার ঘরের লক্ষী ঘরে নিয়ে আসি, যে তোকে ঘরে বেঁধে রাখবে, আমার পরে সে-ই যেনো তোকে আগলে রাখে।

লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো রিফাত।

ক্ষীণ কন্ঠে বলে উঠলো হ্যাঁ আম্মু আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে আমার তিন বছর যাবৎ রিলেশন। 

-মেয়ের বংশ পরিচয় কি?

-বংশ ভালোই আছে বখশ।

-মেয়ে বাড়ির কততম সন্তান?

-ওরা তিন বোন ও সবার বড়।

-তারা কি মেয়েকে এখন বিয়ে দিবে?

-ভালো ঘর থেকে সমন্ধ আসলে দিয়ে দিবে।

-মেয়ের নাম কি?

-মিষ্টি।

-মিষ্টিকে জানিয়ে দে আগামী সপ্তাহে আমরা তাদের বাড়ি যাচ্ছি।

রিফাত মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। 

প্লেটে পড়ে থাকা ভাতগুলো আর মুখে তুলতে ইচ্ছে করছে না, খুশিতেই আজ পেট ভরে গেছে।

কখনো কি ভেবেছিলাম মা এভাবে রাজি হয়ে যাবে এতো সহজে।

আজ লুঙ্গী ডান্স করলে মন্দ হয় না। 

 

নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেন্ড সার্কেলের গ্রুপে একটা মেসেজ পাঠালো রিফাত।

-আজ রাতে সবাইকে ট্রিট দিবো আমি, যে যা খেতে চাইবি সব খাওয়াবো।

মেসেজ দেখা মাত্রই রাকিব কল করলো রিফাতের ফোনে। 

-কি রিফাত আজ এতো আনন্দিত দেখাচ্ছে যে?

-তোরা ফকিন্নি তোদের তো বউ নাই তোরা কেমনে বুঝবি বিয়ে করার মজা তোরা ফকিন্নি সারাজীবন ফকিন্নি-ই থাকবি।

-আমার পিছে আঙুল দিয়ে কথা বলা ছাড়া তুইই কি নরমালি কোনো কথা-ই বলতে পারিস না রিফাত?

-তোর বউ নাই সেই ফকিন্নি বলছি টাকা পয়সার কথা বলিনি সন্টু।

-তা তোর কি বউ আছে? 

-আপাতত নেই তবে হতে কতক্ষণ, এই মাসেই বিয়ে হলো বলে।

-কি বলিস?

-হ্যাঁ আম্মু বলছে আগামী সপ্তাহে মিষ্টি কে দেখতে যাবে।

কথার মাঝখানে দেখতে পেলো মিষ্টি কল করছে।

-এ ভাই কল কাট, আমার হবু বউ ফোন দিচ্ছে।

আজ চমকে দিবো তাকে, কথাটা ভাবতে ভাবতে রাকিবের কল কেটে দিয়ে মিষ্টির কল রিসিভ করলো রিফাত।

-রিফাত, রিফাত মেঘা সুইসাইড করেছে।

-এ কি বলিস এসব? কেনো?

-আবইয়াজ কিছু বলছে মনে হয়, তোরা তাড়াতাড়ি হসপিটালে চলে আয়।

-হ্যাঁ আমি দেখছি ব্যাপারটা বলে কল কেটে দিলো রিফাত।

 

চলবে,,,,,


Md Elias

51 وبلاگ نوشته ها

نظرات