শেষমেশ মানুষ সবকিছুতে হাঁপিয়ে উঠলে নিজের জন্য নিজের বুকে অভিশাপ জমিয়ে রাখে। ভয় পায় সেই আয়নায় দেখা অপরিচিত মানুষটিকে। বাইরের জগত দেখে ভাবে সে বুঝি শান্ত। কিন্তু ভেতরের ছবিতে শহরে ।প্রতিদিন একটা করে আলো নিভে যায়। শব্দহীন যন্ত্রণা গায়ে কাটার মত লেগে থাকে। আর সে দাঁড়িয়ে থাকে নিজের বানানো নির্ভর কবরের পাশে। রোজ সকালে আকাশে নিজের মুখে মিথ্যা হাসি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে ।
আর চেনা যায় না ক্লান্তি কারোর চোখে ধরা পড়ে না। কারণ সব্যস্ত হয়ে গেছে নিজের ভাঙ্গন আড়াল করতে ।অভিশাপ জমে নাই নিঃশ্বাসে জড়িয়ে থাকে ধুকপুকুনি ।জোরে থাকে হাড়ের ঘাটে ঘাটে ।সে আর কারো ওপরে রাগ করে না। কারো উপরে অভিমান দেখায় না। সে কেবল নিজেকেই দোষ দেয়। নিজেকেই আগুনে ফেলে ।একসময় সে নিজের ছায়াকেও ভয় পায় ।কারো সাথে মিশতে ভয় পাই। ভয় পায় সে আয়নায় দেখো অপরিচিত মানুষ থেকে। সে এক অভক্ত ক্লান্তি কেউ চেনে না তাকে। কেউ জানে না তাকে। শুধু অনুভব করে সেই অন্তগত নিরবতা।