আমার জীবনের গল্প পর্ব ৮৫

অনলাইনের কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে নেওয়া না সম্পূর্ণ আমার জীবনের গল্প তুলে ধরছি

আমার হঠাৎ একদিন রাতে ঘুমের মধ্যে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখি ঘুম ভেঙে গেল৷ পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করার পরও আর ঘুম আসছিল না৷ তারপর হেডফোন লাগিয়ে মুভি দেখার জন্য মোবাইলটা বের করলাম৷ 

ভাবছিলাম কি মুখ দেখা যায় তখন বাংলা ডাবিং করা একটি মুভি সার্চ দিলাম সামনে যে মুভিটা আসলো ওটায় ওপেন করলাম৷ মুভিটা ছিল তামিল মুভি বাংলা ডাবিং করা মুভিটার নাম আমার মনে নাই কিন্তু গল্পগুলো অনেক ভালো৷ 

মুভিতে তেমন কোনো ভালো নায়ক ছিল না একটা বাচ্চা মেয়ের কাহিনী মেয়েটার বাবা নেই তার মা এবং দাদির সাথে বসবাস করে হবে আমি তাদের দিন যায় তার বাবা ছিলেন একজন সোলজার তার বাবা যুদ্ধে মারা যাওয়ার পর তাদের পরিবারটা পথে বসে যায় তার মা কাঁচা মাছ সবজি বিক্রি করে সংসার চালায়৷ 

মেয়ে কি অনেক সুন্দর মনের অধিকারী ছিলেন  ক্লাস ২ তে পড়তো 

গ্রামের সবার সাথে হাসি খুশি বলে খেলাধুলা করে দিন পার করত তার খেলার সাথে মধ্যে তার একটা ক্লাসমেট মেয়ে বন্ধু ছিল কার সাথে সারাদিন খেলা করতে স্কুলে যেত আর তার এলাকায় বড় একটা বট গাছের নিচে একটা পাগলের মত একটা লোক বসা ছিলেন তার সাথে বসে খেলাধুলা করতো আর এলাকার গ্রাম প্রধান একটা মহিলা ছিলেন মহিলা আমার সাথে বসে গল্প করতো৷ 

তারপর তাদের গ্রামের চিঠি আদান প্রদান করার একটা লোক ছিলেন ডাকবিভাগ কেন্দ্র তার সাথেও এর ভালো গল্প বোঝাবে দেখাশোনা তুমি দিন পার করত৷ 

হঠাৎ করে স্কুলে একদিন একটা প্রোগ্রামে বাবাকে নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য তাকে টিচার বলল এখন সেই স্কুলের প্রোগ্রামটার জন্য বাড়ি এসে তার মায়ের কে জিজ্ঞেস করল মা আমার বাবা কোথায়৷ 

আমার স্কুলে বাবাকে নিয়ে একটি গল্প বলতে হবে আমি বাবার কাছে যাব আমাকে আমার কাছে নিয়ে যাও৷ হঠাৎ এমন কথা শুনে তার মা অনেক কান্না করলে ছোট এই বাচ্চাকে সে কিভাবে বোঝাবে তার বাবা মারা গিয়েছে তখন বলল তোমার বাবা কাজের জন্য বাহিরে গিয়েছে৷ 

আমাদের থেকে দূরে থাকে আমরা ভালো থাকতে পারি৷ তাই বাচ্চা মেয়েটি তার ডাক পিয়নের কাছে বাবার নামে কিছু পাঠাতো৷ বাচ্চা মেয়েটির কাছে যাই খারাপ লাগতো সেই বিষয়টাই বাবাকে চিঠির মাধ্যমে প্রকাশ করত পরের দিন সকালে দেখতো তার সেই সমস্যা সমাধান হয়ে গিয়েছে এবং মেয়েটি অনেক খুশি হত৷ 

কিন্তু এই চিঠির উত্তরটা কে দিত এবং বাচ্চাটি সমস্যা সমাধান কি করত তা বোঝা যেত না এভাবে বাচ্চাটি সব সমস্যার সমাধান হতে হতে তারা অনেক ভালো থাকা শুরু করলো হঠাৎ একদিন তার বান্ধবী এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে লাগলো পুরো পরিবার৷ 

তারপর গ্রাম প্রধান মহিলা বিদেশে চলে গেলেন তার ছেলে বউয়ের কাছে৷ তারপর ডাক পিয়ন চলে গেলেন অন্য জায়গায় পোস্টিং হয়৷ তারপর পাগল লোকটি হঠাৎ অসুখ হয়ে মারা গেলেন৷ 

এরপর বাচ্চা মেয়েটি একা হয়ে পড়লেন তার বাবার কাছে চিঠিতে দেওয়া আছে সে উত্তর পেত না হঠাৎ একদিন মন খারাপ করে সেই বট গাছের নিচে বসে পাগলের কিছু জিনিসপত্র দেখতে লাগলে দেখতে দেখতে পাগলের একটি ডাইরি পেলেন লেখা ছিল৷ আ

মি একজন শিক্ষক ছিলাম৷ আমি আমার বাচ্চার কাছ থেকে দূরে থাকার কারণে আমার বাচ্চাটা কষ্টে মারা গেলেন তারপর থেকে আমি তোমাকে নিজের মেয়ে মনে করে তোমার সবচেয়ে ফের উত্তর দিতাম এবং তোমার সব সমস্যার সমাধান করে দিতাম৷ 

এটা পড়ে বাচ্চাটি অনেক কান্নাকাটি করল এতক্ষণ বুঝতে পারলো তার বাবা আরে দুনিয়াতে নাই এই পাগল লোকটি তাকে ভালবেসে নিজের মেয়ের মত সব সময় আগলে রাখ এবং দূর থেকে তাকে সবসময় সাহায্য করতো খুশি রাখতো এটাই ছিল এই গল্পের কাহিনী৷ 

এই মুভিটা যদি আপনার দেখেন তাহলে আপনার কানতে বাধ্য হবেন৷ 


Ariful Hasanrakib

146 Blog postovi

Komentari