Assistir
Eventos
Blog
Mercado
Páginas
Mais
ভাইকিংদের জলযাত্রা বদলে দিয়েছিল সমুদ্রের ইতিহাস
ভাইকিং জাহাজ (Viking Ship) বিশ্ব ইতিহাসের এক অনন্য সৃষ্টি। মধ্যযুগের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান যোদ্ধা ও অভিযাত্রীদের তৈরি করা এই জাহাজগুলো শুধুই যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়নি, বরং এগুলো ছিল এক নতুন আবিষ্কারের প্রতীক, যা পৃথিবীর অজানা দিগন্তে পৌঁছানোর সাহস জুগিয়েছিল। প্রায় ৮০০ থেকে ১১০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভাইকিংরা এই জাহাজগুলো ব্যবহার করতো উত্তর ইউরোপ, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, এমনকি উত্তর আমেরিকার উপকূল পর্যন্ত অভিযানে। ভাইকিং জাহাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল এর লম্বা, সরু আকৃতি, যা একে দ্রুত ও স্থিতিশীল করে তুলেছিল। এর নিচু কাঠামো এবং হালকা ওজনের কারণে এটি নদী, হ্রদ এবং সমুদ্র—সব পরিবেশেই চলতে পারত। এই জাহাজগুলো সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি হতো এবং দক্ষতার সঙ্গে কাঠের টুকরো গুলি একে অপরের সাথে বাঁধা থাকত, যা শক্তিশালী অথচ নমনীয় গঠন দিত। ভাইকিং শিপে সাধারণত একটি বড় পাল থাকত, এবং বৈঠার সাহায্যেও চালানো যেত। তাই এটি ছিল অনেকটাই হাইব্রিড জাহাজ। ভাইকিং শিপ শুধু যুদ্ধ বা লুটতরাজেই ব্যবহৃত হতো না। তারা বাণিজ্য, উপনিবেশ স্থাপন এবং সংস্কৃতি বিস্তারে এই জাহাজকে ব্যবহার করত। এর মাধ্যমে তারা ইউরোপের নানা অঞ্চলে যোগাযোগ গড়ে তোলে এবং ইতিহাসে ‘ভাইকিং যুগ’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সৃষ্টি করে। আজকের দিনেও ভাইকিং জাহাজ ইতিহাস, প্রযুক্তি ও নৌ-সংস্কৃতির একটি বিস্ময়। অনেক জাদুঘরে এই জাহাজের প্রতিরূপ সংরক্ষিত আছে এবং বিভিন্ন দেশে পর্যটকদের জন্য রেপ্লিকা তৈরি করা হয়। আধুনিক নৌ-প্রযুক্তির বিকাশে ভাইকিং জাহাজের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। ভাইকিং জাহাজ কেবল একটি বাহন ছিল না—এটি ছিল সাহস, নেভিগেশন দক্ষতা, আর অজানার প্রতি মানুষের আকর্ষণের এক জ্বলন্ত প্রতীক। ইতিহাসে যারা সাগরের বুকে লিখেছিল দুঃসাহসিক অভিযান, সেই ভাইকিংদের ঐতিহ্য আজও অনুপ্রেরণার উৎস।
220 Blog Postagens
Coloque mais
Você está prestes a comprar os itens, deseja prosseguir?