পৃথিবীর সৃষ্টির রহস্য

আল্লাহ পাক কিভাবে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। এই আর্টিকেল এ সেই বিষয় তুলে ধরেছেন।।

 আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী ও মহাবিশ্বের সবকিছু এক বিশেষ পদ্ধতিতে সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন আয়াতে এবং হাদিসে এ বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যায়।

মূলত, আল্লাহ তায়ালা 'কুন ফায়াকুন' (হও, ফলে হয়ে যায়) বলে সবকিছু সৃষ্টি করতে সক্ষম। অর্থাৎ, তিনি কোনো কিছু সৃষ্টির ইচ্ছা করলে তা মুহূর্তেই হয়ে যায়। তবে, মহাবিশ্ব ও পৃথিবী সৃষ্টির ক্ষেত্রে আল্লাহ একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ব্যবহার করেছেন, যা 'ছয় দিনে' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই 'ছয় দিন' বলতে আমাদের চব্বিশ ঘণ্টার দিন বোঝানো হয়নি, বরং এক ভিন্ন সময়কালকে বোঝানো হয়েছে, যা হাজার হাজার বছরের সমান হতে পারে।

কুরআন ও হাদিস থেকে যে মূল বিষয়গুলো জানা যায়:

 * ছয় দিনে সৃষ্টি: আল্লাহ আসমান ও যমীনসহ মহাবিশ্বের সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই 'দিন' মানুষের দিনের মতো নয়, বরং এক দীর্ঘ সময়কাল।

 * আরশের উপর অধিষ্ঠান: সব কিছু সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তায়ালা তাঁর আরশের উপর অধিষ্ঠান করেছেন।

 * পানির ভূমিকা: কিছু বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহ সর্বপ্রথম পানি, আরশ এবং কলম সৃষ্টি করেছেন। আরশ তখন পানির উপর ছিল। এটি সৃষ্টির মূল উপাদান হিসেবে পানির গুরুত্ব নির্দেশ করে।

 * পৃথিবী আগে সৃষ্টি: কিছু ব্যাখ্যাকারীর মতে, প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে, তারপর আকাশমণ্ডলী। আবার কিছু ব্যাখ্যার মতে, আকাশ সৃষ্টির পর জমিন বিস্তৃত করা হয়েছে। তবে, এই 'দিন'গুলো মানুষের চব্বিশ ঘণ্টার দিন নয়।

 * পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়া: আল্লাহ তায়ালা চাইলে এক নিমিষেই সবকিছু সৃষ্টি করতে পারতেন। কিন্তু তিনি একটি ধারাবাহিক ও নিয়মবদ্ধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন, যা মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। এটি প্রকৃতির নিয়ম-শৃঙ্খলা এবং সৃষ্টির গভীর রহস্য উন্মোচন করে।

 * সর্বজ্ঞ ও পরাক্রমশালী: এই সমগ্র সৃষ্টি প্রক্রিয়া আল্লাহর অসীম জ্ঞান, ক্ষমতা ও প্রজ্ঞারই নিদর্শন। তিনি সবকিছুই অত্যন্ত সুচারুভাবে ও সুবিন্যস্ত করে সৃষ্টি করেছেন।

সংক্ষেপে, আল্লাহ তায়ালা তার অসীম কুদরত ও ইচ্ছাশক্তি দ্বারা মহাবিশ্ব ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। যদিও তিনি মুহূর্তেই সবকিছু করতে পারতেন, তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়কাল এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন, যা তাঁর মহিমা ও সৃষ্টির রহস্যকে আরও স্পষ্ট

করে তোলে।


Md Tujam Hossain

2 Blog bài viết

Bình luận