মজার কান্ড

মজার কান্ড জগতের সবচেয়ে বেশি চলতেছে
এবার বুঝো টেলা কাকে বলে শেষ মেষ এটাই ডেখার বাকি রইলো আর কি কি দেখবো যানি ন

বান্ধবী ফোনে জানালো তার বাসা থেকে বিয়ের জন্য প্রচন্ড চাপ দিচ্ছে। ছেলে পছন্দ করা শেষ। বান্ধবী এখন বিয়ে করতে চায় না, সে এখন দেশের বাইরের কোন একটা ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে চায়। এই মুহুর্তে তার কি করা উচিত জিজ্ঞেস করেই ভেউ ভেউ করে কেঁদে দিলো। গতকাল রাতেও নাকি খুব ঝামেলা হয়েছে এ নিয়ে। আমি একটা হাই চেপে বললাম, প্রচন্ড চাপ দিচ্ছে মানে কি??

কত প্যাসকেল চাপ? 

সে বললো ব্যাপারটা খুব সিরিয়াস। আমি মহাবিরক্ত হয়ে বললাম, বিয়ের বয়স হইছে, চুপচাপ বিয়ে করবি। তুই কি মিনা নাকি যে তোর আরো পড়ালেখা করা লাগবো?

তোর তো কোন পছন্দও নাই। তাইলে কি সমস্যা?

আরে শালী তুই তো লাকি ওয়ান তোরে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। এমন অনেক হতভাগী আছে যারা বিয়ের জন্য চাপ দিলে কেমন ফিল হয় এই ফিলিংসটাই কোন দিন পায় নাই। আর পাত্রের ফেসবুক আইডিটা যোগাড় করে পাঠিয়েদিস আমারে। কোন মেয়ের কোন ছবিতে কত সালে লাভ রিএক্ট দিছিলো এগুলা নিয়ে একটু রিসার্চ করা লাগবে আমার।

ওকে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমি ফোন কাটলাম। তারপর লেবু, শসা, টমেটো, গাজর, পিঁয়াজ এগুলা বের করে হিসাব করছিলাম কোনটা মাথায় লাগাবো আর কোনটা স্কিনে। আফটার অল আমারও তো বিয়ের বয়স হইছে নাকি! 

আমার যত বান্ধবী আছে সবারই বিয়ে শাদী শেষ, কেউ কেউ বাচ্চা পয়দা করার পথে!! এদিকে আমি হতভাগীর বাসায় বিয়ে নিয়ে কোন সাড়াশব্দ নাই। আমার অপরাধ আমি সবার ছোট। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেও আমি এখনো ছোট। এর মধ্যেই আব্বাজানের ডাক পড়লো। আমি জানি উনি এখন আমাকে সেই প্রশ্নটাই করবেন–“পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করবা নাকি চাকরি করবা ডিসাইড করতে পারছো?”

আমিও যথারীতি উত্তর দিবো-“এখনো বুঝতেছি না আব্বায়ায়ায়া'।

বলে রাখা ভালো আমার আব্বা খুবই ক্যারিয়ার অরিয়েন্টেড মানুষ, এদিকে তার একরত্তি ছোট্ট মেয়ের যে জীবনের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান হয়ে গেছে বিয়ে করা সে বিষয়ে উনার কোন হেলদোল নেই। আব্বাজান ডেকে সেই চিরাচরিত প্রশ্নটাই আবার করলেন আমাকে। আমার একমাত্র অবশিষ্ট আবিয়াইত্তা বান্ধবীরও বিয়ে হয়ে যাচ্ছে শুনে আজকে আর আমার পক্ষে চুপ থাকা সম্ভব হলো না। আমি বড় একটা শ্বাস নিয়ে বললাম,“দেখেন আব্বা, আপনার ইচ্ছায় আমি বহুত লেখাপড়া করছি ঠিক আছে।কিন্তু এরপরে কি হবে সেটা তোমাদের জামাই এর ইচ্ছার উপর ডিপেন্ড করে। জীবনের এতবড় একটা ডিসিশন তো আর একা একা নেওয়া যায় না!”

এই কথা বলে রুমে এসে ছিটিকিনি লাগিয়ে বসে আছি।দরজায় ঠকঠক শব্দ হচ্ছে। হোক, আজ আমি কোথাও যাবো না। আজ আমি দরজাও খুলবো না, কারও মুখও দেখবো না। আফটার অল আমি তো একটা লাজুক মেয়ে

 

©


MD Jakir Hossain

117 博客 帖子

注释