জয়ের জীবনটা কখনোই সহজ ছিল না। ছোটবেলা থেকেই সে শিখেছিল, কষ্টটাই জীবনের সত্যিকারের শিক্ষক। বাবা একজন রিকশাওয়ালা, মা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। তবু প্রতিদিন সকালে জয় ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যেত—কোনোদিন খালি পেটে, কোনোদিন হাঁটু ছেঁড়া প্যান্টে।
শ্রেণিকক্ষে বসে সে ভাবত, “সবাই যদি বলে আমি পারবো না, তাহলে আমাকেই প্রমাণ করতে হবে আমি পারি।”
একদিন স্কুলে পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেল সে। শিক্ষকরা অবাক, বন্ধুরা বিস্মিত, আর জয় শুধু হাসল—শান্ত, নিরব এক হাসি। কেউ জানে না, ওই হাসির পেছনে ছিল রাতভর জ্বলা কুপির আলো আর নীরব কান্না।
জয় এরপর কলেজে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো স্কলারশিপে। বহু বাধা এসেছে, বহুজন বলেছে, “তুই পারবি না।” কিন্তু জয় শিখে গিয়েছিল—সাফল্য কখনো হঠাৎ আসে না, এটা অর্জন করতে হয় ধৈর্য আর ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে।
আজ জয় একটি স্কুল খুলেছে নিজের গ্রামে, যেখানে সে গরিব শিশুদের ফ্রি পড়ায়। তার বিশ্বাস, শিক্ষাই পারে ভাগ্য বদলাতে।
জয় এখন শুধু একটি নাম নয়, একটি অনুপ্রেরণা।