জয়ের গ্রাম

জয়ের জীবনি ছোটো বেলার স্রৃতি শৈশব কলাটা কেমন ছিলো

নাম তার জয়। গ্রামের ছেলে, ছোট্ট এক মাটির ঘরে বড় হয়েছে। মাঠের ধুলো, নদীর স্রোত, আর বাঁশঝাড়ের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা পাখির ডাক ছিল তার শৈশব।

 

জয়ের বাবা ছিলেন একজন কৃষক—মাটি চষতেন, ঘামে ভিজতেন, কিন্তু ছেলের চোখে ছিল স্বপ্নের আলো। “পড়, জয়, তুই একদিন গ্রামটার গর্ব হবি,” বাবা বলতেন।

 

জয়ও থামেনি। দিনের বেলায় স্কুল, রাতে কুপি-জ্বালানো আলোয় বইয়ের পাতায় ডুবে যেত। অন্যরা হাসত, “এই গ্রাম থেকে কেউ কী আর বড় হতে পারে?” জয় কেবল মুচকি হাসত।

 

বছর পাঁচেক পর, শহরের এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয় ভর্তি হলো। মা-বাবার চোখে জল, গর্ব আর ভয়—সব মিলিয়ে এক নতুন সকাল। জয় পড়াশোনা শেষ করে ফিরল গ্রামে—ডিগ্রি হাতে নয়, স্বপ্ন হাতে নিয়ে।

 

সে স্কুল বানাল, গ্রামে ইন্টারনেট আনল, কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করল। গ্রামের মানুষ তাকিয়ে বলল,

“এই যে আমাদের জয়… সত্যিই, তার নামটা ভুল নয়।”


Ferdaus Rahman Joy

13 Blog Beiträge

Kommentare