জয়ের নামেই জয়

জীবনে কিছু করতে হলে কিছুতো করাই লাগবে,,, জীবনকে অবহেলা করাঠিক না

ছেলেটার নাম জয়। জন্ম এক সাধারণ গ্রামে — ধূলা, পাখি আর কুয়াশার মাঝেই বড় হওয়া। মাটির ঘর, বাঁশের বেড়া, বাবার পুরোনো হাফপ্যান্ট, আর মায়ের ভালোবাসা ছিল তার সবকিছু।

 

কিন্তু জয় ছিল অদ্ভুতরকম রকমের চুপচাপ। কেউ যখন খেলত, সে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত। তার চোখে ছিল স্বপ্ন — সেই স্বপ্ন কেউ দেখত না, কিন্তু সে বিশ্বাস করত।

 

স্কুলে অনেকেই বলত, "এই ছেলেটা কিছুই হবে না।"

কিন্তু জয় প্রতিদিন বইয়ের পাতা উল্টাত, ঘরের কোণে কুপি জ্বেলে রাত জাগত।

 

একদিন তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ। জয় ঠিক করল, এখন আর বই নয়—অর্থই জীবন। সে ঢাকায় গিয়ে একটা হোটেলে কাজ নিল। প্লেট ধুতো, গ্লাস মুছত। কিন্তু চোখে ছিল সেই একই আলো—স্বপ্নের আলো।

 

রাতের বেলা সে পড়ত, ফাঁকা টেবিলে বসে নিজের লেখা খাতা খুলে।

বছর তিনেক পর, জয় সরকারি একটা পরীক্ষা দিল। সবাই অবাক—জয় পাশ করেছে! গ্রামে সবাই বলল,

"ওই যে জয়! সত্যিকারের জয় এনেছে!"

 

সে বাবা-মাকে শহরে নিয়ে এলো। নতুন ঘর বানাল গ্রামে, স্কুলে শিক্ষকের বেতন দিল নিজের হাতে। সবাই বলল,

“জয়ের মতো ছেলেই আসল জয়ের মানে বোঝায়।”


Ferdaus Rahman Joy

11 Blog indlæg

Kommentarer