কাজের সফলতা

আমরা যদি সৎ ভাবে অনেক খারাপ সুন্দর সুন্দর কাজ করি সৎ ভাবে তাহলে সফলতা বেশিদিন আর লাগেনা আসতে আমাদের মধ্যে আমাদ

মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং নীতির গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক নীতি অনুসরণ করলে জীবনের মান উন্নত হয়, আর ভুল নীতি আপনাকে বি'পদে ফেলতে পারে। নিচে কিছু মূল্যবান নিয়ম এবং জীবনব্যবস্থা উল্লেখ করা হলো যা আপনাকে জীবনে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে:

 

নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। নিজেকে বড় করে তুলে ধরা আত্মবিশ্বাস নয়, অ'হংকার। এটি অন্যের চোখে আপনাকে ছোট করে তোলে। বিনয়ী এবং নম্র আচরণ মানুষের মন জয় করার চাবিকাঠি।

 

ভুল স্বীকার করুন এবং "Thank you", "Please" বলুন।  

ভুল স্বীকার করা দুর্বলতা নয় বরং আত্মজ্ঞান এবং সাহসিকতার পরিচয়। ছোট কথাগুলো যেমন "ধন্যবাদ" বা "অনুগ্রহ করে" মানুষকে সম্মানিত করে এবং সম্পর্ক উন্নত করে।

 

নিজের গোপন কথা কাউকে বলবেন না। গোপন বিষয় শেয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে আপনাকে বি'পদে পড়তে হতে পারে। সবসময় সতর্ক থাকুন।

 

অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসায় ঝাঁপ দেবেন না। অর্থ এবং সময়ের অপচয় এড়াতে যেকোনো ব্যবসায় নামার আগে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।

 

প'র্নোগ্রাফিতে আসক্ত হবেন না। প'র্ন আসক্তি আপনাকে সাময়িক আনন্দ দিলেও দীর্ঘমেয়াদে আপনার আত্মবিশ্বাস, সম্পর্ক এবং মনস্তাত্ত্বিক স্থিতি ন'ষ্ট করে দেয়।

 

পরচর্চা করবেন না। যে অন্যের নিন্দা করে, সে আপনার পেছনেও নিন্দা করবে। নিজের সময় এবং মানসিক শক্তি নষ্ট না করে ইতিবাচক কাজে মনোযোগ দিন।

 

গাধার সঙ্গে তর্ক করবেন না। তর্কের শুরুতেই সে আপনাকে তার স্তরে নামিয়ে আনবে এবং আপনাকে অপদস্থ করবে। তাই, যুক্তিহীন তর্ক এড়িয়ে চলুন।

 

কোনো কাজ পরে করার জন্য ফেলে রাখবেন না। যদি কাজ ফেলে রাখেন, তা আর কখনোই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। "এখনই" কাজ শেষ করার অভ্যাস তৈরি করুন।

 

‘না’ বলতে শিখুন। সবসময় অন্যকে খুশি করার জন্য নিজেকে বোঝার মধ্যে ফেলবেন না। প্রয়োজনে দৃঢ়ভাবে ‘না’ বলুন। এটি আত্মসম্মান রক্ষার অংশ।

 

বাবা-মা এবং জীবনসঙ্গীকে সমান গুরুত্ব দিন। কোনো সম্পর্কের কারণে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উপেক্ষা করবেন না। পরিবার হলো জীবনের মূল শক্তি।

 

সবাইকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। আপনি যদি সবসময় অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করেন, তবে নিজের ব্যক্তিত্ব হারাবেন। নিজের মূল্য বুঝতে শিখুন।

 

ঝুঁকি ছাড়া সাফল্য আসে না। সফল হতে হলে জীবনে হিসাব করা ঝুঁকি নিতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা এবং সাহসিকতার মাধ্যমে এগিয়ে যান।

 

স্মার্টফোনে আসক্ত হবেন না। স্মার্টফোন জীবন সহজ করে, তবে অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার সময় এবং মনোযোগ নষ্ট করে। গুগলে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না, তাই বাস্তব জীবনেও অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।

 

ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেরি করবেন না। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে ভয় পাবেন না। দেরি করার ফলে হয়তো কখনোই তা আর প্রকাশ করা হবে না, যা সারা জীবনের আফসোস হয়ে থাকতে পারে।

 

মানসিক শান্তি ন'ষ্ট করে এমন সম্পর্ক থেকে সরে আসুন। যে সম্পর্ক আপনাকে কষ্ট দেয়, তা আঁকড়ে ধরা উচিত নয়। মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

 

লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করবেন না। আপনি কখনোই জানেন না যে সাফল্য ঠিক কতটা কাছাকাছি। তাই ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান। বেশিরভাগ মানুষ হাল ছেড়ে দেয় সাফল্যের ঠিক আগে।

 

অকারণে শত্রু তৈরি করবেন না। অকারণে কারো সঙ্গে শত্রুতা তৈরি করা নিজের ক্ষতি ডেকে আনে। সম্পর্ক রক্ষা করতে যতটা সম্ভব কৌশলী থাকুন।

 

কারো ধর্মবিশ্বাসে আ'ঘা'ত করবেন না। ধর্ম এবং বিশ্বাস মানুষের অন্তরের গভীরে থাকে। এটি নিয়ে কটূক্তি করা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

 

একান্ত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও করবেন না। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও রেকর্ড করা ভবিষ্যতে বিপদের কারণ হতে পারে। এ ধরনের ভুল থেকে দূরে থাকুন।

 

সম্মান বিসর্জন দিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবেন না। যে জায়গায় আপনার সম্মান নেই, সেখানে থাকা নিজের আত্মসম্মানকে ক্ষ'তিগ্রস্ত করে। নিজেকে মূল্য দিন।

 

টাকার পেছনে দৌড়ে প্রিয়জনদের উপেক্ষা করবেন না। টাকা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা যেন প্রিয়জনদের সময় এবং ভালোবাসার বিকল্প না হয়। ব্যালান্স বজায় রাখুন।

 

যা হারিয়েছেন তা নিয়ে আফসোস করবেন না। হারানো জিনিস বা সময় নিয়ে আফসোস করা কেবল আপনাকে পেছনে টানে। ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে জীবন আরও সমৃদ্ধ, শান্তিময় এবং সফল হয়ে উঠবে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সচেতন হয়ে সিদ্ধান্ত নিন।

 


MD Jakir Hossain

117 ব্লগ পোস্ট

মন্তব্য