ছেলেটা একটু বেশিই গায়ে পড়া যেন। মামু অবশ্য বলেছিল এই স্কুলের ছেলেমেয়ে দের থেকে সাবধানে থাকতে। কেমন করে আবার আড় চোখে তাকাচ্ছে ধুর কেন যে এখানে বসতে গেলাম!! আর উপায় টা বা কী ছিল আর তো কোন জায়গা খালি ছিল না। ধুর কেমন যেন ছেলেটা। মনে মনে বেশ বিরক্ত বোধ করছে স্নিগ্ধা; পুরো নাম স্নিগ্ধা বসু কলকাতায় মামুর কাছে এসেছে পড়াশোনা করবে বলে। উত্তরবঙ্গের মেয়ে স্নিগ্ধা বাবা মা-র ভীষণ আদরের। ছোট বেলায় এত দস্যি ছিল যে ওকে থামানো মুশকিল ছিল। যদিও ওর নামের সাথে স্বভাবের একদম বিপরীত মুখী সম্পর্ক। আর ওকে দেখলেও বোঝার কোন উপায় নেই আদতে ও কেমন।
যাইহোক ফার্স্ট পিরিয়ড এই সব ভাবনার মাঝেই কখন যেন শেষ হয়ে গেল, আর স্টুডেন্টরা সেকেন্ড পিরিয়ড এর টিচার আসার আগে পর্যন্ত নিজেদের ভীষণ স্বাধীন মনে করে তাই সবাই সবার মতো গল্প আড্ডা নানা কথা বলা শুরু করলো...... "হে মিস স্নিগ্ধা তুই মানে তুমি কী কথা কম বলো! ! নাকি লজ্জা বা ভয় পাচ্ছো! !" স্নিগ্ধা এবার দিব্য এর কথায় একটু ইতস্তত বোধ করে। "আসলে আমি এই স্কুলে না এই শহরেও নতুন তাই আর কী!! "
"সো হোয়াট? ? তাতে কম কথা বলার কী আছে!! আর সেম ক্লাস যখন উই আর ফ্রেন্ড নাও!! আবারো হাত বাড়ায় দিব্য -- লেটস্ ফ্রেন্ডস! !"
স্নিগ্ধা এবার আর বাড়ানো হাতকে উপেক্ষা করে না। কোনরকমে হাতটা মেলায় ও।
এইসবের মধ্যেই সেকেন্ড পিরিয়েডের স্যার এসে উপস্থিত। স্যার কে দেখে ওদের কথা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হল। থার্ড পিরিয়েডের ক্লাস জিওগ্রাফি হওয়ায় দিব্য এর মন বেশ আনন্দিত-- মেয়েটার সাথে কিছু সাবজেক্টের মিল থাকায় ওকে জ্বালাতে বেশ সুবিধে হবে আর অপর দিকে মেয়েটি ভাবে-- এই ছেলেটাকে এত গুলো ক্লাস ধরে সহ্য করতে হবে। কী করে করবে ও!!!! ওদের ভাবনার মাঝে টিফিন টাইম আসে। দিব্য ছোটে ক্যান্টিনের দিকে তার পুরানো গ্যাং ওয়েট করছে ওর জন্যে।
.....................................
"কী রে ভাই নতুন ক্লাস নতুন স্টুডেন্ট কেমন এনজয় করলি বল!" সাগ্নিক বেশ রসিয়ে জিগ্যেস করলো দিব্যকে। দিব্য চটাস করে মারে এক চাটি ; "তুই আমার কথা ছাড় তোর কী কিছু জুটলো সেটা আগে বল!!?" সাগ্নিক এর সেই একই কাঁদুনি সুর "ভাই সিরিয়াসলি বলছি এবার ভেবেছিলাম কলেজ যাওয়ার আগে আমি মিঙ্গেল হবোই বাট কেউ পাত্তা দিল না রে!!!!" বলেই নাকি সুরের কান্না শুরু করলো;; আলিয়া এবার বেশ বিরক্ত -"ওহ! কাম অন সাগ্নিক প্লিজ বাচ্চাদের মতো কাঁদা বন্ধ কর।" আকাশ এবার সাগ্নিক এর হাত ধরে বললো- ভাই চিন্তা করছিস কেন তোর কোনো গার্লফ্রেন্ড না জুটলে আমি তো আছিই!! আমার সাথেই না হয় প্রেম করিস।" "একদম ভাই! অ্যাঁ কী বললি! আমি তোর সাথে প্রেম করবো ; কেন বে দেশে কী মেয়ের আকাল পড়েছে!!! ইশশশ ছিঃ "" সাগ্নিক এর মুখের এক্সপ্রেশন দেখে সবাই একসাথে হো হো শব্দে হেসে উঠলো। সাগ্নিক যদিও রেগে ফায়ার! !!!!!
চার বন্ধু বেশ অনেকক্ষণ ধরে নিজেদের মধ্যে আনন্দ মজা করছে। হঠাৎই আকাশ লক্ষ্য করে উল্টো দিকের টেবিলে বসে একটা মেয়ে তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে! "দিব্য অপোজিট টেবিলের মেয়ে টাকে চিনিস নাকি!!" -"কে রে!!" দিব্য পেছন ফেরে তার পর হাত নাড়িয়ে মেয়েটাকে ডাকে নিজেদের টেবিলে। আরে ও স্নিগ্ধা নতুন স্টুডেন্ট; আজই আলাপ হল। মেয়ের নাম শুনে সাগ্নিক ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে। "কী বে মুন্ডু ঘুড়িয়ে কী দেখছিস প্রেম করবি নাকি!" " না রে দিব্য কেমন দেখতে যেন লাগবে না আমার।" একটু নাক সিটকে সাগ্নিক বলে। আলিয়াও সাগ্নিকের সাথে তাল মেলায় "সিরিয়াসলি দিব্য তোর টেস্ট এত খারাপ জানতাম না তো!" "হোয়াট ডু ইউ মিন আলিয়া! !?? স্নিগ্ধা দেখতে কালো বেঁটে বলে কী ও মানুষ নয়? ? আর তোরা খুব ভালো করেই জানিস দিব্যায়ন চ্যাটার্জি মানুষের গায়ের রং বা স্ট্যাটাস দেখে কোন মানুষ কে জাচ করে না,, সো এইসব ভোগাস কথা আসছে কোথা থেকে??"
"আরে এত সিরিয়াস হস না, আলিয়া ওত বুঝে বলেনি, লেট ইট বি দিব্য! !" আকাশ দিব্য কে থামায়। আলিয়া ও ছোট্ট করে একটা সরি বলে দেয়। স্নিগ্ধা ওদের টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়, , "গাইজ ও হল স্নিগ্ধা আমাদের স্কুলে নতুন আর এরা আমার বন্ধু আকাশ, সাগ্নিক আর আলিয়া।।" তিনজন মিলে একত্রে হাই বলে প্রত্যুত্তরে স্নিগ্ধা ও হ্যালো বলে। "আরে স্নিগ্ধা বসো না!! দাঁড়িয়ে কেন!!" আকাশ বলে স্নিগ্ধা কে।। এবার দিব্যও স্নিগ্ধার উদ্দেশ্য বলে "আরে স্নিগ্ধা! প্লিজ বি সিটেট! " স্নিগ্ধা একটু চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল এবার সে বসার জন্য উদ্যোগী হতেই হঠাৎই কেউ ওর চেয়ার দিল সরিয়ে আর স্নিগ্ধা ফ্লোরে ধপাস! ! দিব্যর কথায় সবাই একটু আগে চুপচাপ থাকলেও এখন দিব্যর কর্মে আলিয়া আর সাগ্নিক হো হো করে হেসে উঠলো।। আকাশ তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়িয়ে তৎক্ষনাৎ স্নিগ্ধা কে ফ্লোর থেকে তুলতে চায়। স্নিগ্ধা আকাশের বাড়ানো হাতকে অগ্রাহ্য করে নিজেই উঠে দাঁড়ায়। দিব্য সহ বাকি দুজন তখনও বসে বসে হাততালি দিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়ছে। স্নিগ্ধা তাকায় দিব্যর দিকে এবং বাকি দুজনের দিকেও,, শুধু ওরা না ক্যান্টিনে থাকা বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে-ই হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে অবশ্য সামনে দাঁড়ানো ছেলেটার মানে আকাশের মুখে হাসি নেই বরং কিঞ্চিত লজ্জাজনক চাহনি; স্নিগ্ধার এই সময়ে ঠিক কেমন রিয়াক্ট করা উচিত! ! ও কী কিছু বলবে নাকি চুপ থাকবে কিন্তু এই ছেলেটা যা করলো!!! আপাতত ও চুপচাপ থেকেই ওই স্থান ত্যাগ করলো। স্নিগ্ধা চলে যাওয়ার পরমুহূর্তে দিব্য এর হাসি থামলো। "দিস ইজ সো ব্যড দিব্য !! এটা তুই কী করলি!" আকাশ দিব্যর ব্যবহারে বেশ ক্ষুব্ধ।।
- "রিল্যাক্স আকাশ এটা নতুন কিছু নাকি দিস ইজ জাস্ট অ্যা ফান!!"
"ফান!!! হোয়াট রাবিশ!! না দিব্য এটা কিন্তু তুই ঠিক করলি না ও কিন্তু কমপ্লেন করতে পারে!!"
"কী বলছিস তুই আকাশ, দিব্য আজ পর্যন্ত কখনো কমপ্লেনের ভয় পেয়েছে নাকি!! যে তুই ওকে বলছিস-- সাগ্নিক হাসি থামিয়ে বললো।।
" যাইহোক দিব্য আমার মনে হল কাজটা তুই ঠিক করিসনি দ্যাটস্ অল।।"
" উফফ তোরা কী ওই মেয়েটাকে নিয়ে পড়ে থাকবি;; চল কিছু খাই আবার তো ক্লাস আছে।" আলিয়ার কথায় সবাই আপাতত চুপ করলো।।
.........................
ক্লাস এসে দিব্য দেখলো স্নিগ্ধা ওর জায়গা চেঞ্জ করে নিয়েছে। দিব্যর একবার তখনকার স্নিগ্ধার ঠান্ডা চাহনির কথা মনে পড়ায় সে এগিয়ে গেল স্নিগ্ধার বেঞ্চের দিকে। "স্নিগ্ধা, লুক আই এম..." স্নিগ্ধা ইনস্ট্যান্ট অন্য দিকে নিজের মুখ ঘুরিয়ে নিল; দিব্য কথায় জাস্ট কোন পাত্তা দিল না।
" স্নিগ্ধা !!!!" আবারো একবার ডাকলো , স্নিগ্ধা এবার দিব্য এর দিকে একটা রাগী লুকে তাকিয়ে --"দেখো আমি তোমার সাথে কথা বলায় বিন্দু মাত্র ইন্টারেস্ট নেই সো প্লিজ লিভ মি অ্যালোন।"
দিব্য কী জানি হয়তো বা গিল্টি ফিল হল হয়তো বা অন্য কিছু সে আবারো সরি বললো। এবার স্নিগ্ধা একটু চুপ করলো আর স্ট্রেট কাট দিব্য কে বললো "শোনো দিব্য আমি সিরিয়াসলি তোমার সাথে কথা বলায় বা বন্ধুত্ব করায় একটুও ইনটারেস্টেট নই।।"
দিব্য আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল বাট স্নিগ্ধা ওই জায়গা ছেড়েই উঠে গেল আর তারপর ম্যাম আসার ফলে আপাতত সবকিছুতে ধামাচাপা পড়লো।।
.........................
ক্লাস ছুটির পরে সবাই হৈ হৈ করে বাড়ির দিকে পা বাড়ালো। দিব্য ওর বন্ধুদের সাথেই কাধে হাত দিয়ে গেটের দিকে যাচ্ছে; ; এমন সময়ে স্নিগ্ধা কে দেখে আবারো ওর দিকে দৌড়ে এল "স্নিগ্ধা সিরিয়াসলি আই এম সরি তখন আমার অমন ইয়ার্কি করা সত্যিই উচিত হয়নি,, "ওহ!! শিট!! এটা তুমি কী করলে! !!" দিব্য চেঁচিয়ে ওঠে।
দিব্য এর তিন বন্ধু দৌড়ে আসে ওর দিকে, পথ চলতি সবাই দিব্য এর চিৎকারে ওর দিকে তাকায়। প্রকাশ্যে না হাসলেও মুচকি হেসে বা মুখে হাত দিয়ে হাসি চেপে সবাই ওর দিকে তাকাচ্ছে। কেউ কেউ আবার সহানুভূতিও দেখিয়ে যাচ্ছে । আলিয়া সাগ্নিক রীতিমতো অবাক নতুন মেয়েটার কার্যে। স্নিগ্ধা অবশ্য ভীষন শান্ত বুকের কাছে হাত ভাঁজ করে বলা শুরু করে-- "চু চু চু! ! খুব খারাপ লাগছে বুঝি!! কী করবো বলো ইট মারলে পাটকেল টা তো খেতেই হবে, এটা নিশ্চয়ই জানো। ক্লাস আসার পর থেকেই ভাবছিলাম কী করে তোমার কাজের উত্তর টা দেব। দেন পেনের নবটা ভাঙার পরের মনে হল তোমাকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অস্ত্র পেয়ে গেছি আর সাথে সাথেই দেখ তার সৎ ব্যবহার করেও ফেললাম। এখন ভীষন স্যাটিসফাইড।। তুড়ি বাজিয়ে দিব্য কে উদ্দেশ্য করে সো মিস্টার দিব্যায়ন চ্যাটার্জি বি কেয়ারফুল নেক্সট টাইম আমার পিছনে লাগতে আসার আগে দু-বার ভেবে নিও ওকে!!! বাই বাই।।"
দিব্য তখনও আগুন দৃষ্টিতে স্নিগ্ধার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।। "ইশশ দিব্য কী অবস্থা করেছে তোর,," পেনের কালি তার ইউনিফর্ম মুখ চোখ সব ভরে গেছে, ইউনিফর্ম তাও খুলে নেওয়া যাবে কিন্ত মুখের কালি!!! আলিয়া বলে ওঠে "চল আমার কাছে ফ্রেশওয়াশ আছে কালি ওঠে কী না দেখি!!!"
দিব্য জাস্ট চিৎকার করে ওঠে,, "আই জাস্ট কিল ইউ স্নিগ্ধা এর জবাব তোমাকে দেবোই তুমি কার সাথে পাঙ্গা নিয়েছো তুমি জানো না।। আজ পর্যন্ত কারোর সাহস হয়নি আর তোমার!!!!!!"
"দিব্য কাম অন আর লোক হাসাস না, চল বাড়ি ফিরতে হবে আজ আমার গাড়িতেই করে চল সাগ্নিক তোর বাইকটা নিয়ে যাবে।।।।" আকাশ বললো...
............................
দিব্য এর মা সুমিতা দেবী বেশ অবাক ছেলেকে দেখে, "কী ব্যাপার দিব্য কী অবস্থা করেছিস এত কালি কেন মেখেছিস? ??" দিব্য কোনো উত্তর না দিয়ে সোজা নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
এখন রাত নটা চার বন্ধু কনফারেন্স কলে ব্যাস্ত। "সিরিয়াসলি গাইজ আমি মেয়েটার সাহস দেখে জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম না মানে ওইটুকু মেয়ের এত সাহস! !
আলিয়া রীতিমতো অবাক। "কিন্তু মেয়েটাকে দেখলে বোঝা যায়না।"
"গাইজ চেঞ্জ দ্য টপিক, জানিস তো দিব্য কেমন আপসেট তোরা আর ওর মুড খারাপ করিসনা আর দিব্য তোকে বলছি তুই স্নিগ্ধা কে অপদস্থ করেছিস সেই কারনেই ও জাস্ট ওটার ফিডব্যাক দিয়েছে সো দ্যাটস্ ইট। তুই আর ওর পিছনে লাগবি না কিন্তু ওকে!!!" আকাশ বোঝানোর চেষ্টা করে দিব্যকে।
"রিল্যাক্স আকাশ!! তোরা আমাকে চিনিস না!! আমি অমন ছেলেই না! কিচ্ছু করবো না আমি।। এত চাপ নিস না তোরা ওকে। চল বাই আমার এখন একটু কাজ আছে কাল স্কুলে দেখা হবে।।"
আকাশ মনে মনে বলে তোকে চিনি বলেই তো বলছি জানি না মেয়েটার কী দশা হবে!!! আই হোপ নেক্সট দিন সব কিছু যেন ঠিক থাকে।
খাটে শুয়ে শুয়ে দিব্য ভাবে, "মিস স্নিগ্ধা তুমি যে কতবড় ভুল করলে তুমি নিজেও জানো না। তুমি সাপের লেজে পা দিলে এবার ছোবলের অপেক্ষা কর। আমি তো তোমার কাছে সিরিয়াসলি ক্ষমা চাইছিলাম বাট তুমি তো আরো খেলা টা বাড়িয়ে দিলে। একচ্যুয়ালি আই লাইক দ্য স্পিরিট বেবি!! জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াজ!!! মুখে এক তীর্যক হাসি ফুটে ওঠে দিব্যর।
"আমি কী একটু বেশি রিয়াক্ট করে ফেললাম!! দিব্য তো সরি বলছিল কিন্তু ও যা করলো ওর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমাকে এবার সাবধানে থাকতে হবে কী জানি ও আবার মনে মনে কী প্লান করছে।। কিন্তু আমার কী দিব্য কে সরি বলা উচিত!!?? কারন ও তো আমাকে ফার্স্ট এ সরি বলছিল। না!! একদম না!! আমি সরি কেন বলবো,, ও যদি সত্যিই ভালো হত তাহলে প্রথমেই আমার সাথে অমন কাজ করতে পারতো না।। এনি ওয়ে আমাকে ওর থেকে কেয়ারফুল থাকতেই হবে ,উফফ কী বিরক্ত!!! এত টেনশন ভালো লাগে না । খাটে শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে করতে কখন যেন শান্ত হয়ে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেল স্নিগ্ধা।
...............................
আজ সকাল টা খুব সুন্দর অবশ্য কালকের সকাল টাও ছিল কোলকাতার প্রথম সকাল আবার স্কুলের প্রথম দিন স্নিগ্ধা এক্সপেক্ট করেছিল তার দিন টা ভালো যাবে বাট কী থেকে কী হয়ে গেল!! না!! আজ আর ক্লাসের লেট করবো না।। কিন্তু আবার ওই ছেলেটাকে ফেশ করতে হবে উফফ ভালো লাগে না। বিছানা ছেড়ে উঠে ড্রয়িং রুমে এল স্নিগ্ধা।
"কী রে কাল ফার্স্ট ডে কেমন ছিল? কোন প্রবলেম হয়নি তো? আমি তো অনেক রাতে ফিরলাম তখন তুই ঘুমোছিলিস!" মামু খবরের কাগজ থেকে মুখ তুলে জিগ্যেস করে !!
"ভালো মামু!! ভালো কেটেছে ফার্স্ট ডে আর কোন প্রবলেম ও হয়নি।।" মুখে হাসি এনে কোনরকমে জবাব দেয় স্নিগ্ধা।
"কী বলিস!! কাল কোন প্রবলেম হয়নি! ! না মানে তুই যা মেয়ে তোর সাথে কারোর কিছুই হয়নি, , তোকে দেখে অবশ্য বোঝা যায়না কেমন গোবেচারা হয়ে থাকিস কিন্তু তুই যা গুন্ডি!! আমরা তো চিনি তোকে।।" মামু বেশ খোশমেজাজে হাসতে হাসতে কথা গুলো বলে। "মা....মু দিস ইজ নট ফেয়ার! ! তুমি এমন বলতে পারলে!!"
"নে হয়েছে যা রেডি হ! নাহলে কালকের মতো লেট হবে।" একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায় স্নিগ্ধা কী জানি আজ আবার নতুন কী অপেক্ষা করছে তার জন্য......
চলবে....
Md Mahfuz
38 Blog des postes