কোথা দিলাম আমি ফিরে আসবো

আমাদের গল্পটি ভালো লাগলে Follow দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ

কথা দিলাম। ০২

স্কুলের গেট দিয়ে ঢুকতেই স্নিগ্ধার মনে এক অজানা ভয়ের উদ্ভব হচ্ছে দিব্য আবার কালকের বদলা নেবে নাতো !! এবার সে নিজেকে বোঝায় "হু! বদলা নিলেই হলো আর এলেই বা আমি কী ওকে ছেড়ে দেব। এনিওয়ে দেখা যাক কী হয়। আর আমি এত ভয়-ই বা পাচ্ছি কেন!!"  ক্লাস রুমে ঢুকেই কালকের দিব্যর বসা এর বেঞ্চের দিকে তাকায় স্নিগ্ধা। "যাক বাবা আসেনি এখনো ক্লাসে!!"   হঠাৎই পিছন থেকে ওর কাধে একটা টোকা পড়ে। পিছনে তাকিয়ে প্রথমে চমকে গেলেও শিগগিরি নিজেকে সামলে নেয়।
"কী তখন থেকে এদিক ওদিক খুঁজছো! আমি তো এখানে।" দিব্যর মুখে একটা নরম হাসি। 
"মোটেই আমি তোমাকে খুঁজছি না!!! আমি তো জাস্ট এমনি দেখছিলাম কোথায় বসবো!"  
  "তোমার চোখ বলছে তুমি আমায় খুঁজছো" দিব্য এর তৎক্ষনাৎ দেওয়া উত্তরে  স্নিগ্ধা আর কোন কথা বলতে পারে না তাই সে চুপ চাপ একটা বেঞ্চ খুঁজে বসে পড়ে।

ক্লাস চলাকালীন স্নিগ্ধা বেশ বুঝতে পারছে একজোড়া চোখ তার দিকেই তাকিয়ে আছে আর সেই চোখের মালিক কে সেটাও স্নিগ্ধা জানে কিন্তু সে ভুলেও ওই দিকে তাকায় না। কালকের কাজ টা করার সময়ে স্নিগ্ধার এতটাও  টেনশন কাজ করেনি, আসলে ও ভাবেওনি এর ফিডব্যাক কী হতে পারে তার শুধু মনে হয়েছে দিব্য এর করা কার্যের যথাযথ  উত্তর দেওয়াটা ভীষণ দরকার নাহলে দিব্য কিংবা বাকি অনেকে তাকে দুর্বল ভাবতে পারে। কিন্তু সে তো দুর্বল নয়, , একদম-ই নয়। আজকে অবশ্য  এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে  তার ভীষণই চিন্তা হচ্ছে সবে তো স্কুলের শুরু এই ভাবে প্রথম দিন পাঙ্গা নেওয়া তার বোধহয়  ঠিক হয়নি,   এখনো দুটো বছর তাকে এই স্কুলে  থাকতে হবে  আর এতগুলো দিন সে পার করবে কী করে!!!

ক্লাস শেষে দিব্য তার বেঞ্চের দিকে এগিয়ে আসে -- "আমার তোমার সাথে কিছু কথা ছিল!! সেগুলো বলার পারমিশন কী পাওয়া যাবে? ??"

"যদি বলি না!" স্নিগ্ধার সোজাসুজি উত্তর।

"প্লিজ স্নিগ্ধা আমি সিরিয়াসলি তোমাকে কিছু বলতে চাই। আই প্রমিশ কোনো খারাপ কিছু করবো না তোমার সাথে ইউ ক্যান ট্রাস্ট মি  "  চোখেমুখে ভীষন রকম অনুনয়ের সুর...

"ওকে ! পাঁচ মিনিট টাইম দিলাম ঝটপট বলো।"

এখানে না তুমি বরং একটু বাইরের দিকে চলো। এখন সবাই বেরোবে কথা বলতে প্রবলেম হবে। কাম অন....ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে ওরা সোজা গেটের বাইরে বেরিয়ে যায়। বিশাল আকৃতির স্কুলটা আসলে একটা বড় হাইওয়ের পাশে অবস্থিত। যেহেতু স্কুলের ছেলেমেয়েরা বেশ উচ্চবিত্ত বাড়ির তাই প্রায় অনেকেই নিজস্ব গাড়ি করেই আসে। উঁচু ক্লাসের ছেলেমেয়ে দের নিজস্ব বাইক স্কুটি নিয়ে আসার চল রয়েছে আর একান্ত যেসব ছেলেমেয়েদের এসব কিছুই সম্ভব হয় না তাদের জন্য আছে স্কুল বাস। স্নিগ্ধা দিব্য কে বারংবার বোঝাতে চায় সে তার সাথে বাইকে করে কোথাও যেতে পারবে না ; তাহলে সে বাস মিস করবে কিন্তু দিব্য সে সব কথা কানে তুললে তো। সে বলেছে খুব কাছেই নিয়ে যাবে ওকে আর সাথে এও প্রমিশ করেছে যত দেরি হোক সে ঠিক বাড়ি পৌঁছে দেবে। দিব্য এর বাইকের পিছনে বসে স্নিগ্ধার এবার বেশ ভয় করছে সত্যিই ছেলে টা সুবিধার নয়। এমন জোর করলো তাকে সে তো চাইলেও না এসে থাকতে পারতো না। হয়তো তাকে  উঠিয়ে নিয়ে আসতো। সে যদি আজ স্কুলে না আসতো তাহলেই বেশ হতো অ্যাকচুয়ালি শুধু স্কুল নয় সে যদি কোলকাতায় পড়তেই না আসতো তবেই সব চেয়ে বেশি ভালো করতো।। খুব, খুব বড়ো ভুল করে ফেলেছে সে। ইশ কেন যে কোলকাতায় আসতে গেলো! !  আর এলোই যখন  এই ছেলেটার সাথেই কেন বা পাঙ্গা নিতে গেল। কোথা থেকে কোন রাস্তায় যে নিয়ে এলো স্নিগ্ধা পিছন থেকে কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। বাইক টা থামাচ্ছেও না। একে তো হাইওয়ের রাস্তা তার উপর ফাঁকা, শীতের সময় এখন সন্ধ্যা হতেও বেশি দেরি নেই। এই মুহূর্তে  স্নিগ্ধার চোখ ফেটে জল আসছে। প্রচন্ড ভয় করছে তার এমন ভয় সে আগে কখনোও পায়নি। সে আসলে ভীষন-ই সাহসী একটা মেয়ে কিন্তু এমন সিচুয়েশন সে আগে কখনো ফেস করেনি। তাই ওর এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে একজ্যাক্ট কী করা উচিত  কিচ্ছু মাথায় আসছে না। প্রায় একঘন্টা বাইক চালিয়ে এবার দিব্য থামলো। স্নিগ্ধা চারিদিকে তাকালো জনবসতি জনমানবহীন  একটা জায়গা এখান থেকে সে কেন তার  লাশেরও খোঁজ  কেউ পাবেনা। আর চিৎকার বা ছুটে পালানো এই সব ফুলিশ কার্যের আদেও কোন প্রয়োজনই নেই। তার আগেই বদমাশ লোকের কার্য সিদ্ধি অবসম্ভাবী।

"নামো!! আরে কী হল নামো! কী এত ভাবছো???" 

"অ্যাঁ!!! হুম হুম এইতো না.. ম...ছি।।"

"আরে এত আমতা আমতা করছো কেন????" দিব্য এর ঠোঁটে মুচকি হাসি,  যাক ওষুধে কাজে দিচ্ছে ।

"জানো স্নিগ্ধা এই জায়গাটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। বলতে পার এখানে আমার অনেক সিক্রেট স্টোরি আছে। আর আজকের আর একটা নতুন স্টোরি অ্যাড হবে অবশ্য আজকের ঘটনার সাক্ষী থাকবে তুমি।"

"দি..ব্য! !  বলছিলাম কী আমরা এখানে কেন এসেছি? ?  তুমি কিন্তু তোমার কথার খেলাপ করছো! তুমি বলেছিলে স্কুলের বাইরে জাস্ট পাঁচ মিনিট কথা বলবে..."

"কেন স্নিগ্ধা তোমার এই জায়গাটা পছন্দ নয়? ?? এখানে এসে তুমি কী একটুও খুশি হওনি? ?আই মিন এত ভালো জায়গা এত সুন্দর পরিবেশ তুমি কোথায় সেটা ফিল করবে তা না উল্টে কী সব বলছো।"

"না আমি একটুও খুশি হইনি। আমি বাড়ি যাব, আমাকে বাড়ি দিয়ে আসবে চলো। আমার তোমাকে বিশ্বাস করাটাই মস্ত বড়ো ভুল হয়েছে।" স্নিগ্ধা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে চোখের জল লোকানোর। যতক্ষণ  সময় বেঁচে আছে ততক্ষণ  অ্যাটলিস্ট  এই ছেলেটার সামনে সে নিজেকে দুর্বল প্রমাণ করবেই না। "মরতে হলে সাহসী হয়েই মরবে" এই কথাটা মনে মনে ভীষন রকম প্রতিজ্ঞা  করেছে। 

"স্নিগ্ধা! ! তুমি কী ভয় পাচ্ছো? ?? কিংবা কোন টেনশন ??  এই দাঁড়াও দাঁড়াও, আর ইউ ক্রায়িং???  তোমার চোখ ওমন লাল হয়ে আছে  কেন???"

"কীসের ভয়! ! কার ভয়! ! আমি কাউকে ভয় পাইনা।। আর কাঁদদেই বা যাব কেন! "

"উফফ্! ! এখনো এত্ত অ্যাটিটিউড!! বাপরে!!
তাই তুমি একটুও ভয় পাচ্ছো না তাহলে। তুমি জানো আমি এই জায়গায় একজ্যাক্ট কটা লোকের মার্ডার করেছি!! তোমাকে নিয়ে মোট একুশটা হবে। এবার বলো ভয় লাগছে আমাকে????"

"কী....কী বলছো তুমি? ??? এসব বলার মানে টা কী দি.. ব্য!!!  তুমি এখানে কী আমাকে মেরে ফেলার জন্য নিয়ে এসেছো?  না  না  এ অসম্ভব। তুমি এমনটা করতে পারো না আমার সাথে। আমি তোমার কী ক্ষতি করেছি বলো!! সামান্য একটু পেনের কালি দিয়েছি তার জন্যে তুমি আমাকে মেরে ফেলতে পারো না। এটা খুবই অন্যায়। আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ। আর আজকে আমি তোমাকে সরি বলতাম ও। এখনই আবার বলছি খুব খুব সরি। খুব বড় ভুল হয়ে গেছে আর কখনো এমন কিছু করবো না। প্লিজ আমাকে মেরো না। আমাকে মেরে তোমার তো কোন লাভ হবে না বলো পুলিশ তো সেই তোমাকে খুঁজে পাবেই! !! ফর গড সেক আমায় তুমি ছেড়ে দাও প্লিজ..."

"ওটা সামান্য অন্যায়!!! কী করে বলছো! আর তোমাকে ছেড়ে দেব এতো সহজে তুমি ভাবলে কী করে। আজ পর্যন্ত কেউ সাহস পায়নি আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলার আর তুমি সেখানে..! আর  আমাকে পুলিশের ভয় দেখাচ্ছ!! হা হা হা ! পুলিশ ধরার হলে কুড়িটা খুনের পরই ধরতে পারতো।  না তোমাকে আর  কোনো মাফি টাফি করবো না    শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে আর সেটা এক্ষুণি।।"

এতটা বলে দিব্য পকেট থেকে একটা  পিস্তল বের করে এবং সোজা হাতে সেটা স্নিগ্ধার দিকে তাক করে। স্নিগ্ধার চোখে বান নেমেছে। চোখের সামনে নিজের মৃত্যু অবধারিত কিন্তু বাঁচার কোন উপায়ই নেই। রাগে দুঃখে ভয়ে স্নিগ্ধা চোখ বন্ধ করে নিল।

"কী হল তোমার অ্যাটিটিউট এখন কোথায় গেল? দুদিন খুব তো তেবর দেখাচ্ছিলে এখানে এসে অব্দিও দেখিয়েছো, এখন দেখাও সেটা। কাম অন লাস্ট টাইমের মতো তো একটু দেখাও!!  আচ্ছা দেখাবে না তাহলে আর কী করা যাবে ঠিক আছে,   এখন তাহলে ফল ভোগ করো।"

শেষ সময় আগত আর বাঁচার কোন আশা নেই। মরতে একদিন সবাই কে হতোই কিন্তু এই ভাবে যে মরতে হবে এটা কখনো ভাবেনি স্নিগ্ধা। কিন্তু অনেকক্ষণ তো হয়ে গেল দিব্য পিস্তল তুলেছে এখনো গুলি তো করেনি নাকি ও আর এই পৃথিবীতে নেই তাই হয়তো কিছু বুঝতে পারছে না। আর চোখ বন্ধ করে থাকলে সত্যিই কিছু বোঝা তো সম্ভব নয়। একটু একটু করে স্নিগ্ধা চোখ টা খোলে...কিন্তু এ কী!!!! দিব্য তারই চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আর কোথায় পিস্তল বরং সে তো বুকের কাছে হাত ভাঁজ করে দিব্যি হেসে চলেছে।

"কী মিস্ স্নিগ্ধা! !! কী ভাবছো এই জগতে আছো নাকি গেছো!! আমি বলি, তুমি এখন কোন জগতে আছো!!  তুমি এখন শকিং জগতে আছো।" এতটা বলেই হো হো শব্দ করে হেসে উঠলো দিব্য।

"মানেটা কী এই সবের? ???"

"কিছুই না ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যা ফান যেটা তোমার সাথে কালকে করেছিলাম।"

"হোয়াট!!! তোমার সাহস কী করে হয় এত, আমার সাথে এত জঘন্য একটা ইর্য়াকি করার????"

"হিসসসসস চুপ একদম চিৎকার করো না। আমার সাহসের দেখেছো কী যে তুমি জানবে। তুমি কাল আমার সাথে যা করেছো সেটা শুধুমাত্র তুমি বলেই এখনো ঠিক আছো অন্য কেউ হলে না এতক্ষণ মজা বুঝিয়ে দিতাম। কাল রাত থেকে আমিও তোমার মতো অনেক ভেবেছি কী করে তোমাকে জবাব দেব তারপর এটা মাথায় এল। তোমার সাথে এমন কোনো কিছু করলে তুমি আবার আমার সাথে পাঙ্গা নিতে আসবে তাই আর ওই সব রাস্তায় না গিয়ে তোমাকে একদম সরাসরি বুঝিয়ে দিলাম আর কোনদিনও কোনভাবে আমাকে বিট করার কথা ভেব না তাহলে কিন্তু আজকের করা মজাটাই সত্যি হবে।  আমি তোমার সাথে ফার্স্ট মজা করেছি সেটা আমি মানছি কিন্তু তারপর তো মন থেকে সরিও বলতে গেছিলাম কিন্তু তুমি কী করলে! ! যাইহোক নেক্সট টাইম এমন কিছু করার কথাই যেন তোমার মাথায় না আসে। ডু ইউ আন্ডারস্টান্ড? ????"  শেষ কথাটা বেশ জোরেই বলেছে দিব্য। স্নিগ্ধা একটু কেঁপে উঠে মাথাটা নীচু করে নেয়। চোখ থেকে মোটা মোটা জলের ধারা গড়িয়ে পড়ছে ক্রমাগত।

"স্নিগ্ধা আই এম সরি। সব কিছুর জন্যই সরি। প্লিজ আমায় ভুল বুঝো না। দেখ তোমার সাথে তো আমার কোন পার্সোনাল সমস্যা তো নেই বলো ইভেন আমরা কেউ কাউকে চিনি অব্দি না। কিন্তু আমাদের তো একসাথে দু-বছর থাকতে হবে। সো আমরা যদি নিজেদের এই সব ভুল বোঝাবুঝি সব সাইডে  রেখে বন্ধু হই তাহলে কী তোমার খুব আপত্তি আছে???

স্নিগ্ধা মুখটা উপরে তোলে এ ছেলে বলে কী! না যতটা ভেবেছিল এ অতটাও খারাপ নয় এতকিছু করার পরেও আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইছে। কিন্তু একে বিশ্বাস করা কী ঠিক হবে। কিন্তু অবিশ্বাস-ই  বা করবো কী করে! আজকে সত্যি এমন একটা জায়গায় ও আমার সাথে কিছু করে আমি তো সত্যিই কিছু করতে পারবো না। আর বাড়িতেও কখনো জানতে পারবো না। আর যাইহোক এ ছেলে মেয়েদের রেসপেক্ট করতে জানে এখনো অব্দি আমার সাথে কোন রকম সুযোগ নেওয়ার ও চেষ্টা করেনি। এখন একটু বিশ্বাস করাই যায়। বাকিটা সময়ের সাথে দেখা যাবে।

"ওকে বন্ধুত্ব করলাম। এর অমর্যাদা হবে না তো! "

"চোখ বন্ধ করে তুমি আমাকে ভরসা করতে পারো স্নিগ্ধা আমি বেঁচে থাকতে  এই বন্ধুত্বের আর কোন রকম অমর্যাদা আমি হতে দেব না।" "কথা দিলাম" !

আবারো সন্ধ্যের প্রথম আলোয় দুটো মেলানো হাতের মাধ্যমে নতুন বন্ধুত্বের কিংবা বলা ভালো নতুন সম্পর্কের সূত্রপাত হলো।

"আচ্ছা স্নিগ্ধা আমরা ফ্রেন্ড যখন হয়েই গেছি তখন এইসব তুমি টুমি ঠিক মানাচ্ছে না এর থেকে "তুই" ভালো কী বলিস???"

"হুম একদম। এবার থেকে তুই দিয়েই সম্বোধন হবে। ওকে।" 

"চল এবার বাড়ি ফেরা যাক সন্ধ্যা হয়ে গেল তো। নাহলে কিন্তু আমার হাতে না মরলেও কোন ভূত প্রেতের হাতে মরতেই পারিস। অবশ্য ভূত প্রেত যদি তোকে দেখে  খাওয়ার আগ্রহ দেখায় তবেই!!!" 

"কী বললে তুমি আই মিন  তুই!!!! আমি রোগা বলে অপমান করছিস আমাকে!! দাঁড়া....."

চলবে....


Md Mahfuz

38 Blog des postes

commentaires