মেঘপিওনের মিষ্টিকথা-

আমাদের গল্পটি ভালো লাগলে Follow দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ

মেঘপিওনের মিষ্টিকথা-

ইস! চারপাশের অবস্থা দেখে নিজের ই খারাপ লাগল নির্ঝর এর। কাল রাতেই নতুন ফ্ল্যাটে শিফট করেছে সে, জিনিস গুলো ঠিক মত করে গুছিয়ে উঠতে পারে নি এখন ও, সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চারদিকে, তার ওপর অফিস এর এত চাপ, সব মিলিয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা। ঘড়ি র দিকে তাকিয়ে আৎকে উঠল নির্ঝর, 10টা বেজে গেল, খেয়াল ই করেনি সে, ফ্ল্যাট এর যা  অবস্থা, রান্না করার মতো পরিস্থিতি বা মানসিকতা কোনো টাই এখন নেই।  

আজ ক্যান্টিনে খেয়ে নেব, তাড়াহুড়ো করে কোনো রকমে স্নান শেষ করে। আজ পৌঁছোতে 11টাই বাজবে, রেডিও হয়ে ফোন টা পকেটে নিতে গিয়ে দেখল অপুর 3টে মিস্ ড কল হয়ে আছে, কাল রাত 9টায় সব কিছু নিয়ে ঢুকেছে সে, তারপর একা হাতে গোছগাছ, অপু কে সময় পায়নি ফোন করার, যাক পরে সময় করে বুঝিয়ে বলব ওকে।

নির্ঝর হুড়মুর করে সিড়ি দিয়ে নামতে লাগল, সে এত টাই ব্যস্ত ছিল সামনে কেউ আছে কিনা এটা খেয়াল করেনি আর তাতেই বিপত্তি। তিনতলা থেকে নামার সময় নিচ থেকে একটি মেয়ে দুমদুম করে ওপরে উঠে আসছিল, মেয়ে টিও হয়তো বোঝেনি সিড়ি দিয়ে কেউ দ্রুত নেমে আসছে। দুজনেই অন্যমনস্ক ছিল ফলে কেউই কারো উপস্থিতি টের পায়নি, দুজনেই ধাক্কা খায় দুজনের সাথে, হঠাৎ অতর্কিত আঘাতে মেয়েটি টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে থাকে, নির্ঝর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে জড়িয়ে ধরে  ফেলে, মেয়ে টাও  পড়ে যাওয়ার ভয়ে দুই হাত দিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে নির্ঝর এর।

কয়েক মিনিট পর নির্ঝর একটু ধাতস্থ হয়, কিন্তু তখন ও মেয়েটা তার গলা জড়িয়ে আছে, চুলগুলো এলোমেলো হয়ে মুখের ওপর পড়ার জন্য ভালো করে মুখটা দেখা যাচ্ছে না, জড়িয়ে ধরার জন্য মেয়ে টার শরীর থেকে মৃদু পারফিউম এর গন্ধ ভেসে আসছে, গন্ধটা কেমন যেন ঝিম  ধরানো মত, কয়েক সেকেন্ড এর জন্য নির্ঝর এর শরীরের মধ্যে দিয়ে শিহরণ খেলে গেল। ওর চারপাশে সবকিছু যেন দুলে উঠল, মেয়েটাকে আস্তে আস্তে ছেড়ে একটু অপ্রস্তুত ভাবে জিজ্ঞেস করল, "তুমি ঠিক আছ?"
মুখের উপর অবিন্যস্ত চুলগুলো কে ঠিক করে নিতে নিতে বড় বড় চোখ করে তাকায় মেয়েটা নির্ঝর এর দিকে, একটু আগের ঘটনাটার রেশ তখনও যায়নি , ফরসা গালগুলো মুহুর্তের ঘটনায় লাল হয়ে গেছে, কপালে গালে বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটে উঠেছে, নির্ঝর তখনও স্থির দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে, মেয়েটার বয়স বড়ো জোর সতেরো বা আঠারো হবে, ওপরে পিঙ্ক কালার এর টপ, নিচে একটা ক্যাপ্রি, মাথার চুল গুলো পিঙ্ক কালার এর হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে আটকানো ছিল, এলোমেলোভাবে মুখের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে, মেয়েটা হঠাৎ ফিক করে হেসে উঠে বলল "ইস! ঠিক সময়ে আপনি না ধরলে আজ একটাও দাত আমার আস্ত থাকত না, মাথা টাও দুই ভাগ হয়ে যেত"। বলেই হো হো করে হেসে উঠল।

তারপর বলল " আপনি ই বা অত তাড়াতাড়ি নাম ছিলেন কেন?  আমার জায়গায় যদি আপনি পড়ে যেতেন কি হত? "বলেই চোখ পাকিয়ে তাকাল। নির্ঝর একটু অপ্রস্তুত ভাবে বলল " আ- আমি একটু ব্যস্ত আছি, আসি বাই"নির্ঝর আর দাড়ায় না, প্রায় ছুটে ই নেমে আসে, বাইক টা বের করতে হবে, আজ কপালে কি আছে কে জানে।
অরন্যা কিছু ক্ষন হাঁ করে দাড়িয়ে থাকল, তারপর ভাবল যা! একটা থ্যাংকস পর্যন্ত জানানো হল না, এমন তাড়াতাড়ি করে ছুটে পালাল, যাই হোক পরে দেখা হলে ঠিক জানিয়ে দেব।

নির্ঝর এর বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত  9টা বেজে গেল, সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় সকালের ঘটনাটা মনে পড়ে গেল, সারাদিন কাজের চাপে ওই কথাটা মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিল, এখন হঠাৎ মনে পড়াতে নির্ঝর এর মুখে আলতো হাসির ঝিলিক খেলে গেল, বাচ্চা মেয়ে ,এখানে ই থাকে নিশ্চয়ই। ফ্ল্যাট এর  দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতে না ঢুকতে মায়ের ফোন, "তোর বাবা তোকে অনেক বার  কল করার চেষ্টা করছে, লাইন পায়নি, আজ দুপুর  থেকে এখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে , তুই কি বাড়ি ফিরেছিস?"

"হ্যাঁ মা এই ঢুকলামএত চাপ অফিস এরএখনও ঠিক করে গুছিয়ে উঠতে পারিনি",  " রাতে খাবি কি  নাকি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছিস? "
নির্ঝর  "খেয়ে এসেছি, এখন এক সপ্তাহ বাইরে খেতে হবে------" নির্ঝর ব্যস্ত হয়ে পড়ল মায়ের সাথে কথা বলতে।

নির্ঝর এর বাবা মা দুজনেই দার্জিলিং এ থাকেন, ছোটবেলা ওখানে থাকলে ও ইন্জিনিয়ারিং পড়তে ওর কলকাতাতে আসা, রেজাল্ট ভালো ছিল ছোটো থেকে ই, তাই চাকরি পেতে অসুবিধে হয়নি, নির্ঝর অনেক বার জানতে চেয়েছে ওনারা কলকাতাতে থাকতে চায় কিনা, কিন্তু ওই সুন্দর সবুজ ঘেরা পাহাড়, এত সুন্দর পরিবেশ ছেড়ে কেউ আসতে চায়নি। ওখানে ই ওদের আদি বাড়ি। সত্যি বলতে নির্ঝর ও চায়না ওখান থেকে একেবারে চলে আসতে, ওই পাহাড়, ওই ঘন সবুজ পাইন গাছের সারি, চারদিকে কুয়াশার চাদর জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে, রাস্তায় বেরোলেই মেঘ গুলো ঘিরে ফেলে, চারদিকে শুধু সবুজ রঙের মেলা যতদূর দেখা যায় ওখানে যে থাকবে  আর আসতে ইচ্ছে হবে না। নির্ঝর ওখানে গেলে একা একা হাটতে বেরিয়ে পড়ে ওই মেঘে ঢাকা রাস্তা ধরে অনেক দূর চলে যায়, মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে বসে অনুভব করে ওই শান্ত পরিবেশ, সুউচ্চ পাহাড়ের নিস্তব্ধতা, মেঘ আর কুয়াশার মাঝে সূর্য এর আলো মাখামাখি খেলা, চাকরি পাওয়ার পর থেকে এতটাই ব্যস্ত  হয়ে গেছে খুব বেশি সময় করে উঠতে পারে নি, কিন্তু তা হলেও ছোটোবেলার শহর ওকে চুম্বক এর মতো আকর্ষণ করে।

মায়ের ফোন টা রাখতে না রাখতেই নির্ঝর দেখল অপুর একটা মিসড কল। দুপুরে অপু একবার ফোন করেছিল, কিন্তু সে এত ব্যস্ততার মধ্যে এক মিনিট এর বেশি কথা বলতে পারেনি। "আমি ফ্রেশ হয়ে তোমাকে করছি অপু, এখুনি ঢুকলাম, এখনও পর্যন্ত সব কিছু গুছিয়ে উঠতে পারিনি, তুমি তো একবার ও এলেনা", নির্ঝর অভিমানের সুরে বলে উঠলো।    " তুমি তো জানো নির্ঝর স্কুল নিয়ে কতটা ব্যস্ত থাকি, রোজ ই এত এত খাতা দেখতে হয়, এত হোম ওয়ার্ক, এত গুলো বাচ্চার কোথায় কোন অসুবিধে, প্রতিদিন ই নাজেহাল হয়ে যাই"।

নির্ঝর হাসতে হাসতে "আচ্ছা বাবা, আমি সব বুঝি, তুমি সব কাজ সামলে তারপর এসো", এখন কি একটু রাখতে পারি ম্যাডাম"।
অপু " আচ্ছা রাখো"।

অপু, ভালো নাম অপরাজিতা গুহ রায় একটা বেসরকারি স্কুলে ইংরেজির শিক্ষিকা, অপুর বাড়ি কলকাতাতেই, ছোট থেকে এখানে পড়াশোনা, বড় হয়ে ওঠা সবকিছু ই। নির্ঝর এর সাথে ওর আলাপ তিন বছর আগে, একজন কমন বন্ধুর মাধ্যমে দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়েছিল তখন নির্ঝর অন্য অফিসে চাকরি করত। অপুর বাবা কলেজের শিক্ষক মা ও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, ওদের বাড়িতে নির্ঝর এর যথেষ্ট যাতায়াত আছে, নির্ঝর চেয়েছিল গত বছর ই বিয়ে টা সেরে ফেলতে কিন্তু অপু রাজি হয়নি কারন অপু চেয়েছিল নিজের কেরিয়ার কে আরো একটু গুছিয়ে নিতে আর তত সময় নির্ঝর ও যে কোন জায়গায় থিতু হয়ে যাক, নির্ঝর জোর করেনি কারণ প্রতিটা মানুষের ই নিজস্ব কেরিয়ার নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা থাকে, ও চায় অপু নিজের মতো করে কেরিয়ার সাজিয়ে নিক।
ছোট থেকে নির্ঝর এর বাবা মা ও কোন জিনিস নিয়ে ওকে
জোর করেনি, ও নিজের ইচ্ছে মতো যা চেয়েছে তাই নিয়ে পড়েছে।
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে নির্ঝর দেখল আবার অফিস থেকে 3/4 টে মিসড কল, "ও! এদের হাত থেকে রেহাই নেই, সারাদিন গাধার মতো খাটিয়ে ও শান্তি পায়না, পারলে 24ঘন্টা ই কাজ করিয়ে নেয়"  "ধ্যাৎ ধরব ই না" বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো নির্ঝর  "মানুষের আর নিজের কাজ নেই, সারাদিন এদের সার্ভিস দিয়ে যাও, দু দন্ড  চুপ করে বসব তার উপায় নেই" নিজের মনেই গজগজ করতে লাগল নির্ঝর।

"ও ! কাল সারাদিন চলে যাবে সব ঠিক করতে" ওর অফিস কলিগ সিদ্ধার্থ এই ফ্ল্যাট টার খোঁজ দিয়েছিল, আগে যেখানে থাকত সেখান থেকে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধে হত নির্ঝর এর, তারপর বছর খানেক হল ও একটা গাড়ি কিনেছে। বাইক টা প্রথম থেকেই ওর কাছে ছিল, চাকরি পাওয়ার পর পর ই বাইক টা কিনেছিল, সে আজ প্রায় 6বছর হয়ে গেল। প্রথম প্রথম গাড়ি নিয়ে ও রাস্তায় বের হতে সাহস পেত না, এখন মোটামুটি অনেকটা সহজ হতে পেরেছে।
আগে যেখানে থাকত গাড়ি বের করতেই মুশকিল হত, কে আগে গাড়ি রাখবে এই নিয়ে প্রায় ই ঝামেলা লেগে থাকত। সিদ্ধার্থর এক পরিচিত দাদার সূত্র ধরে এই ফ্ল্যাট টার মালিক এর সাথে দেখা করে, একবার দেখেই পছন্দ হয় ওর, সেদিন যদিও অপু এসেছিল। দুটো রুম, ডাইনিং, কিচেন, ওয়াশরুম আর সবচেয়ে বেশি যেটা ভালো লেগেছিল দুই দিকে দুটো বারান্দা, খুব খোলামেলা, সেদিন ই নির্ঝর ঠিক করে নিয়েছিল এটাই নেবে।

মোটামুটি করে বিছানা পেতে নিয়ে শরীর টা এলিয়ে দিল, খুব ক্লান্ত  লাগছে আজ।অপু কে একটা মেসেজ করে শুয়ে পড়ব।
"কি করছ?"  "আজ ও কি রাত হবে? "
"হুম...... কাল সকালে খাতাগুলো জমা দিতে হবে, একটা দুটো...... বেজে যেতে পারে".
নির্ঝর -- " আমি তাহলে শুয়ে পড়ি, কাল সকালে অনেক কিছু গোছানোর বাকি আছে "
অপু --"ওকে, টেক কেয়ার, গুড নাইট "
"গুড নাইট, বাই"।

আজ সারাদিন খুব ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে নির্ঝর এর, একা হাতে সব কিছু সাজানো, রুম গুলো পরিষ্কার করা, ওয়াশরুম আর কিচেন এর কল গুলো থেকে ঠিক করে জল পড়ছে কিনা, ইলেকট্রিক এর সুইচ গুলো তে কোনো সমস্যা আছে কিনা ,যদিও অনেক দিন থেকে বাইরে আছে তাই এই সব ব্যাপার ও নিজেই খুব ভালো ভাবে সামলে নিতে পারে।  অপু খুব  ব্যস্ত আছে না হলে হয়তো আসত, আসলে প্রাইভেট স্কুল তো, আজ এই মিটিং, কাল অভিভাবক দের সাথে মিটিং, একগুচ্ছ খাতা দেখা নিত্যনতুন ঝামেলা লেগে ই রয়েছে। নির্ঝর বোঝে তাছাড়া ও নিজেও ভীষণ ব্যস্ত, বলতে গেলে সারা সপ্তাহে দেখা ই হয় না।

সন্ধের সময় ফোন টা হাতে নিয়ে হাত পা ছড়িয়ে বসল নির্ঝর, আজ সারাদিন কাউকে ফোন করা হয়নি, সকালে বেরোবার আগে অপুর সাথে একবার কথা হয়েছিল, আগে মা কে একবার কল করে নিই,
"হ্যালো অপু, কখন ফিরলে? "
"এই ঘন্টা খানেক আগে, তোমার গোছগাছ সব হল? "
"মোটামুটি করছি, বাকি টা তুমি এসে কোরো, গৃহিণী ছাড়া কি আর ঘর গোছানো হয়? "
"হুম যাব তো নিশ্চয়ই, আর কয়েকটা দিন সবুর করো নির্ঝর সেন"।
" অপেক্ষা ই তো করছি ম্যাডাম "বলেই জোরে হেসে উঠল নির্ঝর" আচ্ছা কাল দেখা করবে অপু? "
"হুম করাই যায়, বলো কোথায় যাবে? "
"তুমি ই বলো"
অপু একটু ভেবে নিয়ে "আচ্ছা নিউটাউনের কাছে যে প্যান্টালুনস আছে ওখানে দাড়াও, আমি বিকেল 5টায় পৌঁছে যাব"
"কি নিয়ে যাব, গাড়ি নাকি বাইক?
" বাইক নিয়ে এস, গাড়ি নিয়ে যেখানে খুশি যাওয়া যায় না "
"জো হুকুম ম্যাডাম"।

আজ নির্ঝর একটা গোলাপি রঙের শার্ট, তার সাথে ব্লু রঙের জিনস পরে রয়েছে, শার্ট এর হাতা কনুই পর্যন্ত গোটানো, বাম হাতে একটা কালো ব্র্যান্ডের ঘড়ি, চোখে সানগ্লাস, মাথার চুল গুলো হালকা জেল দিয়ে ওপরে তোলা, নির্ঝর এমনিতেই দেখতে খুব সুন্দর, আজ গোলাপি রঙের জামার জন্য ওকে আরো সুপুরুষ লাগছে।
প্যান্টালুনস এর সামনে আসতেই অপুর ফোন "এই শোনো না, মাসিমনি এসেছে, আটকে গেছি, একটু ওয়েট করতে হবে"
নির্ঝর প্যাঁচার মতো মুখ করে বলল" আমার সাথে দেখা করার দিন ই যত গন্ডগোল "  "কি করি বলো আমি তো রেডি হয়েও গেছিলাম, 30মিনিট অপেক্ষা করো, আমি যাচ্ছি"।
নির্ঝর ব্যাজার মুখে বলল " ঠিক আছে "।
কিছু করার নেই অগত্যা নির্ঝর প্যান্টালুনস এর ভেতর ঢুকে পড়ল, ওর সানগ্লাস ঘড়ি এইসব জিনিস এর একটু শখ রয়েছে, সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিল, যাই ওপরে মেন সেকশন এর কাছে, এই ভেবে লিফট এর সামনে এসে দাড়াল।
একটু পর দরজা টা খুলে গেল, আর দরজা খুলতেই দেখল একটা মেয়ে, মুখের মধ্যে চুইংগাম  ফোলাচ্ছে, নির্ঝর কে দেখেই চুইংগাম টা মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে নিল আর হাসি হাসি মুখে তাকাল।
নির্ঝর অবাক হয়ে ভাবল "আরে! সেদিনের সেই মেয়েটা না?? "

চলবে............. এরপর আগামী সংখ্যায়..


Md Mahfuz

38 Blog indlæg

Kommentarer