"চিঠিতে লেখা ভালোবাসা"

হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক ভালোবাসার গল্প আশা করি সবার কাছে গল্পটি ভালো লাগবে তো আপনারা একটু পড়বেন গল্পটি আশা কর?

রাতটা নরম কুয়াশায় ঢাকা। জানালার পাশে বসে তানহা প্রতিদিনের মতোই আজও অপেক্ষা করছে। তার হাতে একগুচ্ছ চিঠি—সবগুলো লেখা একি মানুষের, আরিফের।

 

আরিফ এখন অনেক দূরে—ভিনদেশে। কিন্তু তাদের প্রেমটা শুরু হয়েছিল একেবারে সাধারণভাবে। ইউনিভার্সিটির করিডরে প্রথম দেখা, তারপর ধীরে ধীরে বন্ধু থেকে ভালোবাসা।

আরিফের চোখে ছিল স্বপ্ন, আর তানহার চোখে ছিল শান্তির ছায়া। হঠাৎ করেই একদিন আরিফ বলেছিল,

“তানহা, আমি হয়তো অনেক কিছু দিতে পারব না, কিন্তু তোমার পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা দিতে পারি।”

তানহার হাসি ছিল সেই হ্যাঁ-এর উত্তর।

 

তারপর সময়ের ঢেউয়ে আরিফ পাড়ি জমায় বিদেশে পড়াশোনার জন্য। তানহার হৃদয়টা যেন ফাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু আরিফ প্রতিদিন চিঠি লিখত।

প্রথম চিঠিতে লেখা ছিল,

“তুমি ছাড়া আমি কিছুই না। এখানে আকাশেও তোমার চোখের ছায়া দেখি।”

 

তানহা সেই চিঠিগুলো যত্ন করে রেখে দিত—তাতে ছিল ভালোবাসার ঘ্রাণ, প্রতিশ্রুতির উষ্ণতা।

দিন গেল, মাস পেরোল, বছর কেটে গেল। আরিফ প্রতিদিন চিঠি পাঠাতে পারেনি, কিন্তু ভালোবাসা পাঠিয়েছে প্রতিটি নিঃশ্বাসে।

 

একদিন হঠাৎ ডাকবাক্সে তানহার নামে আরেকটি চিঠি এল। খুব ছোট, তবু গভীর:

 

“ফিরছি... সেই জানালার পাশে অপেক্ষা করো... আমি ঠিক তোমার চোখে চোখ রাখব আর বলব—তানহা, আমি এসেছি... শুধুই তোমার হয়ে।”

 

চোখ ভিজে গেল তানহার, হৃৎস্পন্দন কেঁপে উঠল ভালোবাসার ছন্দে।

 

ঠিক এক সপ্তাহ পর, সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে দরজায় কড়া নাড়ে কেউ। তানহার বুক কেঁপে ওঠে। দরজা খুলে দেখে—আরিফ দাঁড়িয়ে আছে, একগুচ্ছ চিঠি হাতে, আর চোখে—একটি চিরন্তন ভালোবাসার দীপ্তি।

 

তারা কেউ কিছু বলেনি, শুধু দু'জনের চোখই বলে দেয়—ভালোবাসা কখনো দূরত্ব মানে না, সময় মানে না।

ভালোবাসা মানেই অপেক্ষা, প্রতিশ্রুতি, আর একে অপরকে হারিয়ে না ফেলার প্রতিজ্ঞা।


MD Maruf

60 ブログ 投稿

コメント