কর”। আমি তখনো প্রেমকে পবিত্র জ্ঞান করতাম, আজো করি। বললাম, এসব ফাজলামি বাদ দাও।আমাকে বিয়ে করলে সারা জীবন তোমাকে সোহাগ করব। কিন্তু ও পাশ থেকে অসন্তুষ্ট কণ্ঠে ভেসে আসল,, আমাকে সোগাগ কর, আমাকে কিস কর......ইত্যাদি। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে আর কোন সাড়া না পেয়ে ও ফোন কেটে দেয়। এর পরে কয়েকদিন সাধারণ কথা-বার্তাই চলল আমাদের মধ্যে।
কয়েকদিন পর সকাল বেলা ও আমাকে ফোনে বলল, আমি অসুস্থ। আমাকে একটু সোহাগ কর না রে। (এখানে বলে রাখা ভাল ও আমাকে মাঝে মাঝে তুই সম্বোধন কর) ঠিক এ জায়গাটাতেই আমি নীরব। কিছু বলছি না দেখে, ও কয়েকটা বাংলা গালি, শালা, মদন.... ফোন রেখে দিল।এভাবে আরো কয়েক দিন তার মুখে শরীর সর্বস্ব ভালোবাসার কথা শুনেছি। কিন্তু কখনো মনটা শাড়া দেয়নি।
এরপর ফাঁকা দুপুরে যখন ও ছাড়া বাড়ীতে আর দ্বিতীয়টি কেউ থাকে না। তখন আমাকে বেশ কয়েকবার ওদের বাড়িতে যাবার কথাও বলেছিল। কারণ হিসেবে বলেছিল, ওকে কিছু বিষয় বুঝিয়ে পড়ানো। ফাঁকা বাড়িতে একটা মেয়ের সাথে একা থাকতে আমি রাজি হই নাই।পরে আমার এক বন্ধু বলেছিল, ওর বাড়িতে গেলে ওই তোকে পড়াত।
তার সাথে হাত ধরে ঘোরা হয়েছিল শুধু একবার। সেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর ট্রেনে কিছুক্ষণ পাশে বসেছিলাম মাত্র। কিন্তু ওই হাত ধরাতেই আমি সন্তুষ্ট ছিলাম। বেশি কিছু করতে মন চায়নি।
এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গেলাম। মূল লক্ষ ছিলো ওকে কোনভাবে ওখানে টেকানো। রাজশাহীতে সাহায্য করেছিলাম তবে রেজাল্ট ভাল না হওয়ায় ভরশা পাচ্ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।
ব্লগার ভাইয়েরা এতটুকু পড়লে নিশ্চয় শেষটুকু পড়বেন আশা করছি।
আমার সাথে তার মেশার শেষ দিকে এসে সে আমাকে ঠাণ্ডা মাথায় জানালো, দেখো তোমার সাথে আমার বিয়ে সম্ভব না। বাবা চাচ্ছে আমাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে। কিন্তু তুমি আমার জন্য অনেক কিছু করেছো। শুধুমাত্র তোমার জন্যই আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি। না হলে আমার মত ছাত্রীর পক্ষে চান্স পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার ছিল (এতটুকু শুনে ভালই লেগেছিল। ভেবেছিলাম-সত্য স্বীকারতো অন্তত করলো) তোমাকে আমি কিছু দিতে চাই, তুমি আমার কাছে সবকিছু পেতে পার। আমার সব উজাড় করে দেবো তোমায় শুধু বিয়ে করতে পারব না। এ রকম ইঙ্গিত সে এর আগেও করেছিলো তবে তখন ততটা গায়ে লাগেনি। এবার খুব খারাপ লাগল। সোজা না বলে দিয়েছিলাম। ঠাণ্ডাস্বরে বলেছিলাম, তোমাকে এভাবে কখনো চাইনি। সারা জীবনের জন্য যদি পারো, তবেই এসো।
এরপর আর বেশি দিন যোগাযোগ ছিল না।ওর সাথে আমার সর্বশেষ যোগাযোগ ছিল একটি খুদে বার্তায়। “Days end with sun set, our friendship end with admission test”
জানি নাজিয়ার এই ব্লগটা পড়ার সম্ভাবনা ০০০ শতাংশ। তারপরেও বলছি, তোমাকে ভালবাসতে গিয়েই আমি ভালবাসা আর কামের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পেরেছি। যেখানেই থাকো ভালো থেকো, সুখে থেকো।
Md Mahfuz
38 Blog posts