এইচএসসি শেষ না হতেই পেলেন ১০ কোটি টাকার বৃত্তির প্রস্তাব

পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এইচএসসি পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব পেয়েছেন মাহাদি ইব্রাহিম। ঢাকার সাভার সেনানিবাসের সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটিতে।

 

অবিশ্বাস্য মনে হলেও মাহাদির এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়, সঠিক দিকনির্দেশনা, পারিবারিক সহায়তা এবং ভবিষ্যতের প্রতি এক নিঃস্বার্থ প্রতিশ্রুতি।

 

বিদেশে বেড়ে ওঠা

 

মাহাদির স্কুলজীবনের বড় একটি সময় কেটেছে মালয়েশিয়ার কেলানতান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে, যেখানে তার মা-বাবা গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন দেশের সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে তিনি বুঝেছেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার গভীরতা ও বৈচিত্র্য। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজে। ইংরেজি মাধ্যম থেকে বাংলা কারিকুলামে মানিয়ে নেওয়া ছিল বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে বাংলা লেখায়। কোভিড-১৯-এর সময় ঘরে বসেই কঠোর পরিশ্রম করে তিনি এনসিটিবি কারিকুলামে পারদর্শিতা অর্জন করেন। এরপর সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় এ-প্লাস অর্জন করেন।ইপেপার

সর্বশেষ

জাতীয়

রাজনীতি

বিশ্ব

সারা দেশ

অর্থনীতি

খেলা

বিনোদন

ফ্যাক্টচেক

জীবনধারা

চাকরি

কী খুঁজতে চান?

 

 

 

 

> শিক্ষা

> ক্যাম্পাস

এইচএসসি শেষ না হতেই পেলেন ১০ কোটি টাকার বৃত্তির প্রস্তাব

মো. আশিকুর রহমান

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৫, ০৮: ২১

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ১২: ৪৮

 

 

 

 

 

 

মাহাদি ইব্রাহিম

মাহাদি ইব্রাহিম

 

এইচএসসি পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব পেয়েছেন মাহাদি ইব্রাহিম। ঢাকার সাভার সেনানিবাসের সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটিতে।

 

অবিশ্বাস্য মনে হলেও মাহাদির এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায়, সঠিক দিকনির্দেশনা, পারিবারিক সহায়তা এবং ভবিষ্যতের প্রতি এক নিঃস্বার্থ প্রতিশ্রুতি।

 

বিদেশে বেড়ে ওঠা

 

মাহাদির স্কুলজীবনের বড় একটি সময় কেটেছে মালয়েশিয়ার কেলানতান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে, যেখানে তার মা-বাবা গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন দেশের সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে তিনি বুঝেছেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার গভীরতা ও বৈচিত্র্য। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজে। ইংরেজি মাধ্যম থেকে বাংলা কারিকুলামে মানিয়ে নেওয়া ছিল বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে বাংলা লেখায়। কোভিড-১৯-এর সময় ঘরে বসেই কঠোর পরিশ্রম করে তিনি এনসিটিবি কারিকুলামে পারদর্শিতা অর্জন করেন। এরপর সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় এ-প্লাস অর্জন করেন।

 

 

ধাপে ধাপে প্রস্তুতি

 

এসএসসি শেষে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন মাহাদি। প্রথম এসএটি পরীক্ষায় অংশ নেন ছুটির মধ্যেই। বিতর্কে জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে বিটিভির স্কুল-কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এর বাইরে রোবোটিকস ক্যাম্প, বিজনেস ফেস্টে রানারআপ, মালয়েশিয়ায় মার্শাল আর্টে স্টেট লেভেলে সিলভার মেডেলসহ নানা অর্জনে সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর প্রোফাইল। এ পথচলায় সবচেয়ে বড় সঙ্গী ছিলেন তাঁর মা-বাবা। বাবা ছিলেন প্রতিটি সিদ্ধান্তে পাশে, মা ছিলেন নীরব অনুপ্রেরণা।


Md Ripon islam

18 Blog mga post

Mga komento