আকুুতি
আজিজুর রহমান
কাক ডাকা ভোর অথবা
নির্জন কোন দুপুরে আকাশ ভরা মেঘে।
সন্ধ্যার আরতী ধব্বনি বাতাসে ভাসে
তুমি এসো দূপের গন্ধ্যের সাথে মিশে।
আমি রুপালী চাঁদের আলোর পথে।
ডাহুকের ভয়ার্ত করুন সুর পেরিয়ে
গভীর জলাশয়ে যেখানে ভির জমায় না
মাছ রাঙা পাখিদের দলে।
আবার ফিরে যেওয়ানা আমাকে না পেয়ে
আমি শূন্য শতদলে হাওয়ার গন্ধের সাথে
মিশে রব ঠিক তোমার বুকের মাঝ খানে।
আশাহত মন নিরাশার পথ ছুঁয়ে
হয়তো মিলে যাবো অন্ধকারের গভীরে ।
আমার শব্দ গুলো হয়তো মিলবে ইথারে।
কেউ জানবে না আমি তুমি এসেছিলাম
আমাদের বসত ভিটা অথবা প্রিয় মাঠে।
বৃষ্টি ঝরে কেয়া বনে
আষাঢ়ের ঝড়ো হাওয়া দক্ষিন দাড়ে
বৃষ্টি ঝরে কদম কেয়া কেতলীর বনে।
ঝিঁঝিঁ পোকারা ভির জমায় সন্ধ্যাকালে
গোয়ালে গরু ভিজিয়াছে আষাঢ়ের ডলে।
বায়ু বহে দক্ষিনা কোনে
বিদ্যুৎ চমকায় ক্ষণে ক্ষণে ।
আয় না তোরা দলে বেঁধে
ডুব সাঁতার খেলি বর্ষার জলে ।
পাট ক্ষেতে শিয়াল ডাকে
সূর্য উঠে কালো মেঘের ফাঁকে ।
ভজন গান গাহিয়াছে কৃষান দলে।
মেঘে মেঘে বেলা বহিলো
সন্ধ্যা নামিলো পাটে।
আষাঢ়ের প্রথম দিন
আষাঢ়ের প্রথম দিনে,
আজি বাদল গেছে থেমে ।
আকাশটা আছে কালো মেঘ ছেঁয়ে।
দূর বহু দূর আর কত দূর--
অচেনা কোন গাঁয়ে,
আকাশ মিশে গেছে হাতের নাগালে।
কদমের কুড়ি দিয়েছে উকি,
সবুজ পাতার ফাঁকে ।
জুই চামেলী বক ফুল কমলী
কত নতুন ফুলে সবুজে গেছে ছেয়ে।
নতুন পানি জোয়ার এল খাল বিলে
দেখনা দুয়ার খুলে ----
আষাঢ় গগন কুলে নব যৌবনে।