মুছে ফেলার জন্য কেঁদনা!
তাকেই মুছে ফেল যে,
তোমায় কাঁদিয়েছে...!!
বদলে যাবার জন্য কি
কারন লাগে...?
হয়তো লাগে..!
ঢেউ যখন ওঠে..,
স্রোতে ভাসতে হয়!
চোরাবালিতে পড়লে,
একটি কুটোও মুল্যবান!
বেঁচে থাকার জন্য...
মরন অবধি যেওনা,
বরং মৃত্যুর জন্য বাঁচো!।
সুখ গুলো দুঃখ হয়ে ফিরলে,
আগলে রাখো...।
প্রতিবার দেখলে মনে হবে,
এক সময় সুখী ছিলে..!!
এক জনমে কতবার...
একা হতে চাও!?
একদিন আজন্ম,
একাকিত্ব আসবে...!!
রিমঝিম শব্দে
বৃষ্টি সকাল,
নরম অনুভূতির ভিজে গল্প।
ক্লান্ত পাতা দিয়ে ঝরছে শীতল স্পর্শ,
মেঘের ফাঁক দিয়ে নরম আলো।
রিমঝিম শব্দে ধীরে ধীরে
নেত্র মেলে দেখি,
পলাশের মিলনের সুর
মুচকি হাসে ভিজে গাছের তলে।
বৃষ্টির ছাঁটায়,
নব ঢেউ ওঠে,
মনে হয়,
জীবন আবার শুরু।
স্মৃতির কাফন
সন্ধ্যার আঁধার নামে নির্জন গলির বাঁকে,
জোনাকির দল জ্বলে নিভু নিভু, বিষাদ মাখে।
ল্যাম্পপোস্টের পাশে পথিক একাকী হাঁটে,
স্মৃতির কাফনে মোড়া এ বুক, দহন-তাপে কাটে।
সুখের প্রদীপে জ্বলে না আর আজ শিখা,
কুয়াশার মতো ঢাকে ভুবন, বিষণ্ণ রেখা।
হারানো বিকেলের ছায়া ঘোরে অবিরত,
স্মৃতিরা ঘুমিয়ে আছে কুহকেরই মতো।
কদমের ডালে সুর তোলে টুনি পাখি,
তোমার হাতেই ছিল সুখের পরশ আঁকি।
সেদিন বুঝিনি সে গভীর অনুভব,
হাতবদলে ছিল কত প্রেম অমলিন সব।
মেঘ জমে আজও ভিজে যায় চোখের কোণ,
বৃষ্টির সুর যেন স্মৃতিরই দহন।
তোমার অভাবে ম্লান সব ভালো লাগা,
অন্ধকারে খুঁজি হারানো প্রেম, স্বপ্নেরা জাগা।
অপেক্ষা ভালোবাসার পূর্ণতা আনে,
স্মৃতির জানালায় তাই জাগি এই গানে।
স্মৃতির পরশে তুমি মিশে আছো প্রাণে,
অদেখা সত্তা হয়ে রয়েছো ধ্যানে।