হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু): সত্য-সঙ্গের অনন্য দৃষ্টান্ত

ইসলামের প্রথম খলিফা ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিবিড়তম সঙ্গী—হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর জীবন আমাদের সামনে নিঃস্বার্থ ত্?

প্রারম্ভিক জীবন ও ঈমান

কুরাইশ বংশের সমৃদ্ধ ব্যবসায়ী হয়েও তিনি অন্ধকার মূর্তিপূজার মাঝেও সত্যের সন্ধানে ছিলেন। নবুয়তের শুরুতেই মুহাম্মদ (সা.)-এর ডাকে নির্দ্বিধায় সাড়া দিয়ে “সিদ্দিক”—অটল সত্যবাদী—উপাধি লাভ করেন। তাঁর দাওয়াতে উসমান ইবনে আফফান, জুবায়ের ইবনে আওয়াম-সহ বহু বিশিষ্ট সাহাবি ইসলাম গ্রহণ করেন।

 

নবীপ্রেম ও ত্যাগ

হিজরতের রাত্রিতে সও伙伴ী হিসেবে গুহা-থাউরের স্মরণীয় ঘটনায় তিনি বাহুর কাঁটাতেও নবীকে আড়াল করে রাখেন; এখানেই কুরআনের অমর বাণী নাযিল হয়—“আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন” (সূরা তাওবা ৯:৪০)। বদর-উহুদ-হুনায়েন—প্রতিটি সংকটে তাঁর অব্যর্থ সঙ্গ, মুক্ত হস্তে দান, গোলাম মুক্তি ও দরিদ্র-সহায়তা তাঁকে আখিরাত-কেন্দ্রিক নেতৃত্বের প্রতীক করে তোলে।

 

খিলাফতে অবদান

৬৩২ খ্রিঃ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের পর উম্মাহ যখন আবেগে বিপর্যস্ত, আবু বকর (রাঃ) কুরআনের আয়াত স্মরণ করিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরাতে নেতৃত্ব দেন। তাঁর দুই-বছর-কয়েকের খিলাফতে—

 

রিদ্দা যুদ্ধ জয় করে আরবকে ঐক্যবদ্ধ করেন।

 

আল-কুরআনের পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের সূচনা করেন (যা পরবর্তীতে উসমানি মুসহাফ রূপে সংরক্ষিত হয়)।

 

ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তে ইসলামী বিজয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

 

ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষণীয়তা

সরল পোশাক, বিনয়ী ভঙ্গি, ঘন অশ্রু—কিন্তু নীতি প্রশ্নে কঠোর; সদা আল্লাহভীতি আর মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। তাঁর শিক্ষা হলো—শক্তির উৎস আল্লাহ-ভরসা, নেতৃত্বের মাপকাঠি ন্যায়-ও-সেবামূলক দায়িত্ব, আর সফলতার ভিত্তি সততা।

 

হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর জীবনের ছোট্ট এই দিগন্ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—সত্যের প্রতি অবিচল বিশ্বাস ও নিরহংকার সেবাই মানবতার প্রকৃত পূর্ণতা। আল্লাহ যেন আমাদের তাঁর পথের অনুগামী হতে তাওফিক দেন।


MD Siyam Khan صيام

37 博客 帖子

注释