অকথিত যন্ত্রণা
তুমি কি জানো, প্রকৃত যন্ত্রণা দেখতে কেমন?
যখন প্রিয়জনের চোখের পানি অনবরত ঝরে, কিন্তু তুমি তা মুছতে পারো না—কারণ সে অশ্রুধারা যেন অসীম, থামবার কোনো নাম নেই। যখন তাদের কষ্টে ছটফট করতে দেখো, অথচ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারো না—কারণ জানো, তুমি কিছু বললেই তাদের ব্যথা আরও বেড়ে যাবে, তারা নিজেদের দোষারোপ করতে শুরু করবে, ভাববে তাদের জন্যই তুমি যন্ত্রণা পাচ্ছো। কী অবিচারপূর্ণ এই জীবন!
প্রিয়জনের কান্না থামাতে তুমি কাঁধ বাড়িয়ে দাও, তাদের বোঝা নিজের মাঝে টেনে নাও, অথচ নিজের ভার লাঘবের জন্য কাউকে চাইতে পারো না। শিশুকালে জীবন রঙিন থাকে, কিন্তু সময়ের প্রবাহে সেই রঙ ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়, রয়ে যায় কেবল ধূসর ছায়া। কখনো কখনো সেই ছায়া এত ঘন হয়ে আসে যে চারপাশ অন্ধকারে ঢেকে যায়—একেবারে নিঃসঙ্গ, নিঃশব্দ, অথচ তীব্রভাবে অনুভবযোগ্য এক অন্ধকার।
তুমি আছো বলেই আমার জীবন এত সুন্দর
তুমি আছো বলেই আমি কবিতা লিখি, গান গাই
তুমি আছো বলেই সুখের ঠিকানা এত কাছে
তুমি আছো বলেই তোমার বুকে আশ্রয় পাই।
তুমি শুধু সুন্দর নও, তুমি আমার অনুপ্রেরণা
তুমি শুধু মিষ্টি মেয়ে নও, তুমি আমার ময়না
তোমার প্রেরণায় আমি বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি
দিনরাত আমি তোমার শুভকামনায় থাকি।
আমি সারাক্ষণ তোমাকে অনুভব করি
আমার ভিতর-বাহিরে শুধুই তোমার আনাগোনা
এই হৃদয়ে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই
আর কখনো কাউকে আসতেও দিবো না।
তোমার কষ্ট দেখলে আমার মনটাও কেঁদে উঠে
ইচ্ছে করে দৌঁড়ে তোমার কাছে ছুটে যাই
পরক্ষণেই আবার বাস্তবতায় ফিরে আসি
তোমার কাছে যাওয়ার অধিকার তো আমার নাই!
তুমি আছো বলেই আমি সবকিছু ভাগ করে নিতে পারি
ভালোবাসা-অভিমান, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সব
বাস্তবে না হোক, কল্পনার রাজ্যে হলেও চলে আমাদের
কাব্য গল্পের প্রজ্ঞা, নবযুগের পৃথিবী আর তোমার-আমার উৎসব।