অনন্ত প্রহর
এই অনাদি অনন্ত প্রহর বহিয়া চলে
কালের বিবর্তনে কত কাল পিছনে ফেলে
আসিয়াছে মহাকাল এই ধরাতলে।
গাহিয়াছে যারা সাম্যের গান
বিশুদ্ধ মনে তাহাদের করি স্মরন ।
কোন দিন যদি না হয় দেখা,
স্মৃতি মাখা বকুল তলে।
কতশত ফুল ঝরিয়াছে পদতলে,
কেউ কি মালা গাথেনি তবে
তাহার প্রিয়ার স্মরণে।
কত কি কথা না বলা চোখের ভাষা
খুজিয়া ফিরে না আগের মত করে।
শত সর্হচ্য বেধনার ফুল
তবে কি শুধুই বকুল ।
নিয়ম ভাঙ্গে না সূর্য উঠে সকাল হয়,
দিনের দুঃখ গুলো ঢেকে যায়
গভীর রাতের বুকে ঘুমায়।
এই তো সেদিন বকুল তলে
কুড়ায়াছি ফুল থরে থরে।
হিসেব ক,রে দেখি দুইযুগ গিয়েছে চলে।
সময় এমনই এক অনুরুদ্ধ দ্বার
কারো জন্য অপেক্ষা করে না আর।
ঝরে যাওয়া ফুল
ওঝার পাড়া, গাজীপুর
প্রিয়ষীর নীল চোখ ঘুলা হবে যখন
আধাঁর ঘনিয়ে আসিবে হৃদয়ে তখন।
পৃথিবীর রঙের খেলায় আর কতক্ষন
দূর বহু দূর চলে গেছি জীবনের পথে,
আর কি হবে দেখা প্রিয় তোমাদের সাথে ।
কত চেনা মুখ হারিয়ে গেছে অভিমান নিয়ে।
চাঁদের জোৎস্নায় মেঘের লেগেছে ছায়া,
অভিমান নিয়ে ঝরেছে ফুল আঁধারের বুক চিড়ে
ভাল বাসার আদর দেয়নি লুটেছে ধূলার বুকে
গন্ধ তাহার যায়নি টুটে ভাল বাসার ছন্দে।
আর কতদিন জীবনের এই পংতি মালায়
ঝরে যাওয়া কাননের ফুলই বুজে
বিদায় নেওয়ার এই বক্ষে কত জ্বালা।
সুখের রজনী
ভালবাসি ভালবাসি বলে কাঁদিলে,
তারে কি পাওয়া যায় ?
সে যদি ভাল না বাসে তোমায়।
যত গুলো দুখের দিন আসে,
তার ও সন্ধ্যা নামে।
যতই সুখের রজনী থাকুক না কেন ?
সে ও ভোর হয় জীবনের পথে ।
নতুন দিনের সূর্য উঠে
জীবনের প্রতিটি ক্ষনে ।
ঝরিয়া গেলে ফুল মালা হয় তবে
মানুষ মরিয়া গেলে ভুলে যায় সবে।
জীবন এমনই হয়
কোন দিন পিছনে ফিরা নাহি যায়।