সেই "আমি"
খোলা জানালার পর্দা বিজলো,
যত্রতত্র পড়ে থাকা অগোছালো
খাটের উপর এলো মেলো
কিছু বই আর ডাইরীর রঙ্গিন পাতা।
টেবিলের উপর পড়ে থাকা,
তোমাকে লিখা চিঠি ---
ডাক বাক্সে ফেলা হল না।
জানাতে পারলাম না
কতটা বেদনা নিয়ে
এই দূরে থাকা।
বিস্মৃতির মত কত প্রিয় মুখ খুজে ফিরি,
জীবন নদীর কূলে।
দারিদ্রতার সীমা লঙ্গন না করিলে বুজা যায় কি !
বেঁচে থাকার আসল মন্ত্র।
ফেলে আসা দিন গুলি বেশি সুন্দর ছিল।
অনুভূতির অনুসূচনায় প্রতিটা দিন কাটে এখন।
কাক ডাকা ভোর আর সোনালী সূর্য, প্রতিটা জীবের মঙ্গল বয়ে আনে।
তুমি এখন বেশ সুখি কোন এক পয়সা ওলায়ের গলে মালা পরিয়েছো।
সুখের সপ্তম আকাশ ঘুরে বছর না পেরুতেই মা হলে। সুখ যেন টাকায় কিনা
গোলামের মত। তাই আঁচল ভরে নিলে।
তুমি কি একবার খোজ নিয়েছো সেই বকুল গাছে এখনো ফুল, হয়তো কেউ মালা গাঁথে অন্য কারো জন্যে ?
শুধু আমি পারলাম না তোমাকে ভুলে
থাকতে। যে পথের সীমানা নেই সেই পথেরই আমি যাত্রী। দেখা নাই বা হোক
আর কোন দিন তবু ও ভাল থেকো।
সেই"'আমি"
ময়ূরাক্ষী
ছিপ ছিপ জল কেলিয়ে
জলের আরও গভীরে ।
যেখানে ডাহুকেরা ভীর জমায় না।
এক বুক দুঃখ জমে থাকে,
ঠিক সেই খানে !
আর ওইখানেই ঢেউ এর সৃষ্টি হয়।
দুঃখ গুলো ঢেউ হয়ে
কূলে আছড়ে পরে।
এই নদী বয়ে চলে সাগর পানে
পিছনের মায়া ভুলে।
নিয়তি যেখানে বাঁধ সাঁধে,
ভালবাসা সেখানে হাস্যকর বিষয়
সমাজতান্ত্রিক রোল জারি করে,
না বুজে সবাই।
তাই আমি নদী হব
সেই নদীর নাম দিও তুমি
ময়ূরাক্ষী অথবা অন্য কিছু
যেমন ভাল লাগে।