তুমি

তুমি
আজিজুর রহমান
কামালজুরি হাই স্কুল

?কবিতা:- তুমি

 

তুমি যদি হও একফোঁটা বৃষ্টি

আমি তবে হতে চাই ধুলোমাখা পথ,

তোমার ছোঁয়াতে ধুয়ে নেবো মোর

অন্তরে জমা সব কষ্টের রথ।

 

তুমি যদি হতে চাও মেঘলা সকাল,

আমি তবে ডুবে যাবো ‘এক কাপ চা’ তে,

মিলে যাবো দুজনে হাজারো কল্প গল্পে

তুমি আমাতে, আমি তোমাতে।

 

তুমি যদি হয়ে যাও শ্রাবণের গান,

আমি তবে হতে চাই নিরব এক শ্রোতা,

এক মনে শুনে যাবো শুধু তোমাকে,

ভুলে যাবো নিজেকে, মেনে নেবো সেই নিরবতা।

 

তবু তুমি বহু দূরে, দূরত্ব অসীম।

মন চায় একবার ঐ পানে আসি,

পৃথিবীকে নিরব করে, চিৎকারে বলি

ভালোবাসি, আজও ভালোবাসি।

 

লেখার নাম: অবাধ্য

আজিজুর রহমান 

 

আমি এক আগুনে পুড়ে যাওয়া যোদ্ধা,

আমার দগ্ধ শরীর- এখনো আয়নার মতো উজ্জ্বল,

শহরের উষ্ণতম দিনে

তোমার হাসির মতো প্রানোজ্জ্বল।

 

আমি এক গলে যাওয়া বরফ,

আমি সমুদ্র, আমি নদী, আমি চোখের জল।

শহরের কঠিনতম দুপুরে

তোমার কান্নার মত স্নিগ্ধ এক কল্পতরু।

 

আমি কান্নাকে হাসি বানানোর যন্ত্র,

আমি তোমার- প্রেমের মন্ত্র

যা নিজেই পড়ি না কখনো।

 

আমি অলস এক কবি,

যার কবিতায় কবির কোনো দাম নেই।

ছন্দহীন, দন্দযুক্ত, চেতনায় ঝরে পড়া হীনমন্যতা

আমি সেই কবি,

যাকে জোর করে পড়ানো হয় এক ব্যর্থ সিলেবাসে।

 

আমার কলমে লেখা আসে না-

আমার কলমে আগুন আসে,

বিপ্লব আসে, বিদ্রোহ আসে।

আসে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মুখহীন শিশুর আর্তনাদ।

 

আমার কলমে কেঁদে উঠে

পৃথিবীর প্রত্যন্ত কোণে থাকা

দগ্ধ মানুষেরা।

তাদের চোখের চিহ্নে আমি প্রতিফলিত হই।

আমি নির্বিকার থেকেও,

তাদের জ্বলন্ত চিঠি পড়ি চুপিচুপি।

 

আমাদের জন্ম কি শুধুই দেখার জন্য?

বলা বুলি আওড়ানোর জন্য?

আমি এক বোবা তোতা পাখি,

আমি এক অবাধ্য বিদ্রোহী—

যে চেয়েও কখনো পূর্ণ অবাধ্য হতে পারেনি।

 

আমার স্বপ্ন এক লাল রঙা ঘুড়ি—

ফুঁসে ওঠে জ্বলে পুড়ে যাওয়া আকাশে।

আমার চেতনা এক বৃষ্টিবিন্দু—

যা মরুভূমির বুকে পড়ে,

আর আমি?

আমি সেই অবাধ্য আগুনপাখি,

যার ছায়াও ছাই ছড়িয়ে দেয় দুপুরের বুকে।


Azizur Rahman

38 Blog indlæg

Kommentarer