ভালোবাসার ঘরে

ভালোবাসার ঘরে
আজিজুর রহমান
কামারজুরী হাই স্কুল

আমাদের বোধদয় পরিচয় না হলেই ভালো হতো,

অপরিচিত হয়ে থেকে গেলে হয়তো কোনো ক্ষতি হতো না। 

মাঝে মধ্যে আমাদের দেখা হতো তখন অপরিচিত ভেবেই পথ এড়িয়ে যেতাম হেঁটে হেঁটে, এমনেতে-ও তো প্রতিদিন রাস্তায় কতো মানুষের সাথে হাঁটা হয় দেখা হয় কিছুই তো মনে রাখা হয় না।

এই- যে আমাদের একটু আধটু পরিচয়, 

কিছু সময় কথা বলা,

এইটুকুতেই যেনো মন খারাপ দ্বিগুণ হয়। 

আপনাকে বলা যায় না কিংবা বলা হয়নি এমন হাজারো কথা জমে থাকে হৃদয়ে, এইসবে হৃদয়ের অসুখ হয়। 

আপনার সাথে একটু আধটু কথা বলে মনে শান্তি আসে না,

হলুদ রঙের র্থ্রী - পিচে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগে,

আপনার একজোড়া কালো চোখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়, 

বলতে ইচ্ছে হয় এমন আরো অনেক কথা হৃদয়ের উঠোনে দাপিয়ে বেড়ায় শূন্যতায়।

আমার অস্বস্তি লাগে,আমার দুঃখ লাগে! 

আপনাকে বলতে পারিনি ভালোবাসি। 

 

                        আজিজুর রহমান 

 

শিরোনাম: “শেষবৃষ্টির চিঠি”

 

পথঘাটে নেমেছে শ্রাবণের জল,

মনখানি ভিজছে নিঃশব্দ কলরোল।

একদিন ঠিক এমন এক বেলায়

তোমার চোখে ছিলো মেঘের খেয়াল।

 

বলে ছিলে —

“ভালোবাসা সব গল্প নয়, কিছুটা বোঝা”

আমি বিশ্বাস করেছিলাম,

হয়তো আমার ভালোবাসা তোমার ক্লান্তি ঘোচাবে।

 

কিন্তু…

তুমি ফিরলে না, ফিরলে না কোনো চিঠির উত্তরে,

শুধু উপেক্ষার শীতলতা নামলে আমার গায়ে,

যেমন থেমে থাকা আকাশে বৃষ্টি শুধু ঝরে…

 

তারপর কত বৃষ্টি গেল,

আমি দাঁড়িয়ে রইলাম সেই পুরনো গলির মোড়ে,

তুমি পাশ কেটে গেলে—

চেনা না-চেনার দ্বিধাহীন নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে।

 

আমি ভাঙলাম না,

ভালোবাসার ঘরে আলো নিভলেও

আমি স্বপ্নের কাঁচ কুড়িয়ে গড়েছি নিজের ঘর—

নতুন গল্পে, যেখানে আমি আর আমার পরিণতি।

 

তুমি দিলে না উত্তর,

আমি খুঁজে নিয়েছি নিজেকে—

এক বুক বৃষ্টিতে ভিজে পাওয়া প্রাপ্তির নাম।


Azizur Rahman

48 ブログ 投稿

コメント