চল , একসাথে চলি
অনেকদিনের পরে বসেছি আবার
কবিতা লিখতে ,
কত গুপ্ত কথা জমে আছে মনের গভীরে
কত ব্যথা-বেদনার পর্বতের শীর্ষ
উঠেছে ছাড়িয়ে আমার মাথাকে ,
কত স্বপ্ন রয়েছে লুকায়ে
মনের গহীনে ।
মন তা জানে কিনা কে জানে ?
সবকিছু ভালো যে হয়েছে , তাও নয়
মন্দও হয়নি সবকিছু ,
যারে আমি ভালো বাসিয়াছি
অনায়াসে সেও মোরে করিয়াছে প্রতারণা ,
বলিয়াছি তারে আমি অবিরাম
ভালোবাসা না চিনলে,সারাজীবনের তরে সঙ্গী হবে ঘৃণা।
চিনতে যদি না পারো বন্ধুকে
শত্রুরা ভিড় ক'রে থাকবে তোমাকে ,
আলো চেনা মানুষের সঙ্গ যদি ছেড়ে যাও
কে তোমারে আলোক চেনাবে ?----
ডুবে যাবে অন্ধকারে চিরদিন ।
শুনেও শোনেনি সে যে ,
এর চেয়ে বড় রোগ আর কিছু নেই ।
ভালোবেসে যাও,নদীর ধারার মতো ভালোবেসে যাও
তা নাহ'লে স্তব্ধ হবে জীবননদীর স্রোত
পানাপুকুরের মতো ।
আমাকে দেখিয়া সে , দেখিয়াছে ভালোবাসা
রয়েছে সমুখে তার প্রেমের প্রতিমা স্বমহিমায় ,
তবু তার দেখা হয় নাই ,
কামান্ধ জনের কাছে আলো-আঁধারের কোনো ভেদ নাই ।
প্রেম-নদী বয়ে যায় হৃদিহিমালয় থেকে ,
তবু কেন আমাদের কাছে
তার কোনো আবেদন নাই ।
ঘুম না ভাঙলে , ভুল না ভাঙলে
দুটোকেই মৃত্যু বলে ।
বন্ধু , তুমি ফিরে এসো বন্ধুর কাছে
জীবনবোধের কাছে ,
হাতে হাত রেখে , জীবনের পথে
চলি মোরা একসাথে ।
আজিজুর রহমান
একদিন সবাই আমাকে ভুলে যাবে।
ভুলে যাবে মা-বাবা,ভাই-বোন,আত্বীয়স্বজন,
বন্ধু-বান্ধব, পারা প্রতিবেশি,এবং প্রিয় মানুষটিও।
আমি অদৃশ্য পাখির ডানায় ভর করে,
ঘুড়ে বেড়বো এই শহরে।
আমি সবাইকে দেখতে পারবো,
কিন্তু কেউ আমায় দেখতে পারবে না।
প্রিয় মানুষটি আমায় ভুলে গিয়ে,
তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে সুখে সংসার করবে।
মা-বাবাও আমায় ভুলে গিয়ে ব্যাস্ত থাকবে তার ছেলে সন্তান ও পরিবার নিয়ে,
হয়তো মাঝে মাঝে তারা আমায় মনে করে,
নীরবে ভেজাবে দুচোখ।
বন্ধু-বান্ধব আমায় ভুলে গিয়ে,
ব্যাস্ত থাকবে তাদের কর্ম জীবন নিয়ে।
শুধু আমি মানুষটা কাউকে ভুলতে পারবো না।
নীল মেঘের চিঠি।