আমার প্রথম রান্নার দিন—রান্না না, যেন রণক্ষেত্র!

আমার প্রথম রান্নার দিন—রান্না না, যেন রণক্ষেত্র!

সেদিন সকালে মা হঠাৎ বললেন, "আজ আমি বাইরে যাচ্ছি, দুপুরে তুমি একটু ভাত আর ডাল রান্না করে নিও, খুবই সোজা।"

 

সোজা?!

আমি তো ভেবেছিলাম, রান্না হচ্ছে গ্যাস জ্বালাও, কিছু ফেলে দাও, আর কিছুক্ষণ পর বের হয় ‘মায়ের হাতের স্বাদ’। কিন্তু না, বাস্তব একদম উল্টো।

 

আমি গুগল করলাম:

"How to cook rice Bengali style"

প্রথমেই লেখা এল, “এক কাপ চাল, দুই কাপ পানি।”

আমি চালের সঙ্গে দিতেই গেলাম বোতলের পানি, হঠাৎ হাত ফসকে পুরো বোতল ঢেলে দিলাম! এখন চাল যেন সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছে।

 

এরপর ডালের পালা। ইউটিউব দেখে বুঝলাম, ডালে পেঁয়াজ ভেজে দিতে হয়।

তাই আমি পেঁয়াজ কেটে চুলায় তেল গরম করতে দিলাম। কিন্তু জানতাম না, পেঁয়াজ চুলায় দিলে শুধু চোখ না, আত্মাও কাঁদে!

 

? তখন আমি তেল গরম করছিলাম। হঠাৎ পেঁয়াজ ঢালতেই তেল ছিটকে এসে বললো,

"সারপ্রাইজ!"

মুখে, গায়ে, মনে—সব জায়গায় যেন যুদ্ধ চলছে। পাশে দাঁড়ানো ছোট ভাই হাসতে হাসতে ফোনে ভিডিও করতে লাগলো।

 

তবুও আমি হার মানিনি। সবকিছু মিলিয়ে রান্না শেষ করলাম। গন্ধ এমন যে, পাশের বাসার বিড়াল পর্যন্ত জানালায় উঠে বললো,

"ভাই, এটা কী রান্না করলা?! আমরা তো মাছ খাই, পচা জুতা না!"

 

মা বাসায় ফিরে এসে খাবার চেখে বললেন,

"তুমি কি সত্যিই রান্না করেছো? না এগুলো আল্লাহর কুদরত?"

আমি চুপ।

মা বললেন, "ভালোই হয়েছে, এখন বুঝবে আমার রান্নার মূল্য!"

আর আমি ঠিক করলাম, পরেরবার রান্না করতে গেলে আগে গার্ডেন থেকে আগুনের জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইশার নিয়ে বসবো!


MD Maruf

60 وبلاگ نوشته ها

نظرات

📲 Download our app for a better experience!