ইসলামের ইতিহাসে যারা নবীজী ﷺ-র সাহচর্যে জীবন কাটিয়েছেন, তাদের বলা হয় “সাহাবী” (رضي الله عنهم)। তারা ছিলেন মানবতার শ্রেষ্ঠ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত, যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালোবাসায়।
? হযরত আবু বকর (রাঃ) – তিনি ছিলেন প্রথম খলিফা এবং সর্বপ্রথম পুরুষ মুসলিম। তাঁর বিশ্বাস, নম্রতা ও ত্যাগ আজও দুনিয়ার মুসলিমদের জন্য অনুপ্রেরণা। হিজরতের সময় তিনি নবীজীর সঙ্গী ছিলেন, গুহা থোরের সেই মুহূর্তের কথা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
? আল্লাহ বলেনঃ
"যখন তারা গুহায় ছিল এবং সে তার সঙ্গীকে বলল, 'চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন'" (সূরা আত-তাওবা, ৯:৪০)
?️ হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) – ইসলাম গ্রহণের পূর্বে ছিলেন মুসলিমদের কঠিন শত্রু, কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর হয়ে ওঠেন এর এক অবিচল রক্ষক। তাঁর ন্যায়পরায়ণতা ছিল অতুলনীয়। তিনি বলেছেন:
"হিসাব নাও নিজেদের আমল সম্পর্কে, তার আগেই যেদিন তোমাদের হিসাব নেয়া হবে।"
?️ হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ) – “আল্লাহর তরবারি” নামে খ্যাত এই সাহাবী একটিও যুদ্ধে পরাজিত হননি। তিনি বলেছিলেন, “আমি যুদ্ধের ময়দানে শতাধিকবার অংশ নিয়েছি, কিন্তু আজ একটি বিছানার উপর মৃত্যুর অপেক্ষায় আছি। কাপুরুষের মত।”
❤️ সাহাবীরা ছিলেন এমন এক দল মানুষ, যারা নিজেদের জীবন, ধন-সম্পদ, পরিবার সবকিছু আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করেছিলেন। তারা রাতভর কান্না করতেন নামাজে দাঁড়িয়ে, আর দিনের বেলা হতেন সাহসী মুজাহিদ।
? নবীজী ﷺ তাদের সম্পর্কে বলেছেনঃ
"আমার সাহাবীদের গালি দিও না। কারণ তোমরা যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনা দান করো, তবুও তারা যা করেছে তা সমান হবে না।" (বুখারী)
? আজকের সমাজে আমরা যদি সাহাবীদের জীবনের দিকে তাকাই, তাহলে শিক্ষা পাই – আল্লাহর জন্য ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, এবং নবীজীর প্রতি ভালোবাসা।