কোরআনের আলো: সূরা আন-নাস (Surah An-Naas)

সূরা আন-নাস (سورة الناس)
আরবি আয়াত
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
مَلِكِ النَّاسِ
إِلَٰهِ النَّاسِ

বাংলা অনুবাদ:

পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

বলুন: আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিপালকের কাছে,মানুষের রাজাধিপতির কাছে,মানুষের উপাস্যের কাছে,সে কুমন্ত্রণা দানকারীর অনিষ্ট থেকে,যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়,সে জিন হোক বা মানুষ।

 

ব্যাখ্যা:

সূরা আন-নাস মানুষকে (অন্তরের শয়তানি চিন্তা ও কুমন্ত্রণা) থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।

এখানে আল্লাহ তায়ালা তিনটি গুণে নিজেকে পরিচিত করেছেন

রব (প্রতিপালক), মালিক (রাজাধিপতি), এবং ইলাহ (উপাস্য)।

 

এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে,

মানুষের অন্তরের প্রতিটি ভয়, সন্দেহ ও কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে

শুধু আল্লাহর কাছেই আশ্রয় নিতে হবে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতিদিন ঘুমানোর আগে সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস পাঠ করতেন,

নিজেকে ও পরিবারকে অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য।

 

জীবনের শিক্ষা:

শয়তান সবসময় মানুষের অন্তরে সন্দেহ ও কুমন্ত্রণা ঢুকানোর চেষ্টা করে।

আল্লাহর নাম ও আশ্রয়ই এই অন্তরের অশান্তি দূর করতে পারে।

জিন ও মানুষের দিক থেকেও ক্ষতি আসতে পারে, তাই নিয়মিত এই সূরাটি পাঠ করা উচিত।

 

উপসংহার:

সূরা আন-নাস আমাদের শেখায় —

মানুষের অন্তরের শান্তি কেবল আল্লাহর স্মরণেই।

যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়,

তার অন্তর শান্ত হয়, মন স্থির হয়, আর শয়তান থেকে রক্ষা পায়।


Md mahrej

5 Blog mga post

Mga komento