বাংলা অনুবাদ:
পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
বলুন: আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিপালকের কাছে,মানুষের রাজাধিপতির কাছে,মানুষের উপাস্যের কাছে,সে কুমন্ত্রণা দানকারীর অনিষ্ট থেকে,যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়,সে জিন হোক বা মানুষ।
ব্যাখ্যা:
সূরা আন-নাস মানুষকে (অন্তরের শয়তানি চিন্তা ও কুমন্ত্রণা) থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।
এখানে আল্লাহ তায়ালা তিনটি গুণে নিজেকে পরিচিত করেছেন
রব (প্রতিপালক), মালিক (রাজাধিপতি), এবং ইলাহ (উপাস্য)।
এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে,
মানুষের অন্তরের প্রতিটি ভয়, সন্দেহ ও কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে
শুধু আল্লাহর কাছেই আশ্রয় নিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতিদিন ঘুমানোর আগে সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস পাঠ করতেন,
নিজেকে ও পরিবারকে অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য।
জীবনের শিক্ষা:
শয়তান সবসময় মানুষের অন্তরে সন্দেহ ও কুমন্ত্রণা ঢুকানোর চেষ্টা করে।
আল্লাহর নাম ও আশ্রয়ই এই অন্তরের অশান্তি দূর করতে পারে।
জিন ও মানুষের দিক থেকেও ক্ষতি আসতে পারে, তাই নিয়মিত এই সূরাটি পাঠ করা উচিত।
উপসংহার:
সূরা আন-নাস আমাদের শেখায় —
মানুষের অন্তরের শান্তি কেবল আল্লাহর স্মরণেই।
যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়,
তার অন্তর শান্ত হয়, মন স্থির হয়, আর শয়তান থেকে রক্ষা পায়।