শহীদ মিনার

শহিদ মিনার আমাদের জাতীয় জীবনে একটি অহংকারের প্রতীক।

শহিদ মিনার আমাদের জীবনে প্রতিটি আন্দোলনের প্রেরণার প্রতীক হিসেবে গভীর তাৎপর্য বহন করে। মিনারের স্তম্ভগুলো মাতৃভূমি আর মাতৃভাষার তথা মা ও তার শহিদ সন্তানের প্রতীক।

 

মাঝখানের সবচেয়ে উঁচু স্তম্ভটি মায়ের নিদর্শন হিসেবে পরিচয় বহন করছে। সন্তানের প্রতীক হিসেবে আছে চারপাশের চারটি ছোট স্তম্ভ। এই সন্তানেরা অকাতরে জীবন দিয়ে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।

 

আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামেও শহিদ মিনার দুর্বার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের অন্যতম প্রেরণা একুশের চেতনা ও শহিদ মিনার। 

 

শহিদ মিনার আমাদের জাতীয় জীবনে একটি অহংকারের প্রতীক। এ মিনার ভেঙে ফেলার শক্তি কোনো রাজরাজড়ার নেই, কোনো শাসকের নেই। কারণ, ভাষাশহিদেরা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন

 

এদেশের প্রত্যেক বাংলাভাষী মানুষের হৃদয়মিনারে। একুশে ফেব্রুয়ারি আজ শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল দেশে এর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত। 

 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজ একুশের প্রতীক হিসেবে শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভাষাশহিদদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


Juboraj Hajong Raj

75 ブログ 投稿

コメント

📲 Download our app for a better experience!