স্বেচ্ছাশ্রম

স্বেচ্ছাশ্রম জাতীয় কল্যাণমূলক কাজে অত্যন্ত ফলপ্রসূ

আমাদের দেশের মতো দরিদ্র ও জনবহুল দেশের জনসাধারণ যদি স্বেচ্ছায় শ্রম দানের কাজে এগিয়ে আসেন তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশের কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগতি সম্ভব।

 

স্বেচ্ছাশ্রমের গুরুত্ব আমাদের দেশে অপরিসীম। দেশব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কখনই বেতনভোগী শ্রমিকের দ্বারা চালানো সম্ভব নয়। আমাদের দেশে প্রবাদ আছে

 

সরকারী কর্মচারী বা শ্রমিকদের মন মানসিকতা অধিকাংশই একরমঃ ‘সরকার-কা-মাল, দরিয়া মে-ঢাল।’ জনগণ এগিয়ে এলে দেশের উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক বহু কাজ দ্রুত অগ্রসর হওয়া সম্ভব। কারণ ‘দশের লাঠি, একের বোঝা’।

 

জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন কাজে অংশ নিলে যত তাড়াতাড়ি কাজটি শেষ হয়, মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করলে, প্রচুর অর্থের বিনিময়ে হলেও তাতে সময় দরকার। শ্রমিক সংখ্যার অনুপাতে কাজের অগ্রগতি নির্ভর করে।

 

শ্রমিকের সংখ্যা সব সময়ই সীমিত থাকে। কিন্তু জনগণের স্বেচ্ছাশ্রমের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। একজনের কাজ দেখে বহুজনে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে।


Juboraj Hajong Raj

75 ブログ 投稿

コメント