সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা

মানুষের ব্যক্তিগত ও জাতীয় চিন্তা লিখিত ভাষায় ব্যক্ত হলে সাহিত্যের সৃষ্টি করে

সাহিত্য আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহারিক জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান নয়, আমাদের আটপৌরে জীবন- যাপনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা নগণ্য, তবু সাহিত্যের কাছেই আমাদের জন্ম-জন্মান্তের ঋণ।

 

সাহিত্যই দেশে দেশে কালে কালে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে দৃঢ় করে। সাহিত্যপাঠেই মনের কলুষ কালিমার ঘটে অবলুপ্তি। সাহিত্যই হিংস্র সাম্প্রদায়িকতার অশুভ শক্তিকে পরাভব করার দুর্জয় শক্তি জোগায়।

 

সুন্দরের আরাধনায় মানুষ হয় মগ্ন। সাহিত্যই মানুষের কাছে অভয়মন্ত্র। সাহিত্যই মানের রুদ্ধ দুয়ার খুলে দেয়। মানুষকে কল্যাণব্রতে করে অনুপ্রাণিত। চিন্তার স্বচ্ছতা, প্রকাশের ঋজুতা সাহিত্য-পাঠেই সম্ভব। মানবজীবনে সাহিত্যপাঠের মূল্য তাই গভীর ও ব্যাপক।

 

সাহিত্য-পাঠই সন্তাপে সান্ত্বনা, দুঃখে দুঃখজয়ের ব্রত, পরাজয়ে সহিষ্ণুতায় দীক্ষা। সাহিত্য শুভ বুদ্ধি জাগরণের মন্ত্র। গোপনে গোপনে, অলক্ষ্যে, অপ্রত্যক্ষে সেইধারা বয়ে চলে যুগ থেকে যুগান্তরে, দেশ থেকে দেশান্তরে, ক্ষণকাল থেকে চিরকালের দিকে।


Juboraj Hajong Raj

75 Blog Postagens

Comentários

📲 Download our app for a better experience!