সহিষ্ণুতার মূল্য

সহিষ্ণুতা তাই মানবজীবনের এক দুর্লভ সম্পদ

সহিষ্ণুতা অন্যায়কে প্রশ্রয়দানের নামান্তর নয়। সহিষ্ণুতায় দুর্বলতার স্থান নেই। চোখের সামনে মানবতার লাঞ্ছনা, অন্যায়-অবিচার প্রত্যক্ষ করেও যে ভীত-সন্ত্রস্ত, প্রতিবাদ করতেও যেখানে কেবলই কুণ্ঠা, সেখানে সহিষ্ণুতা, ভীরুতা কাপুরুষতারই নামান্তর।

 

অন্যায় যে করে সেই শুধু অপরাধী নয়, অন্যায় যে সয় অপরাধ তারও। সহিষ্ণুতা মনুষ্যত্বকে খর্ব করে না। বরং তাকে নতুন প্রাণশক্তিতে দুর্বার করে। সবলের অত্যাচারে দুর্বলের পীড়ন যেখানে সীমাহীন, সেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সগর্বে অপরের

 

স্বাধীনতা অপহরণ করে, সেক্ষেত্রে মানুষ যখন প্রতিবাদহীন, ভীরু, নতশির সেখানে সহিষ্ণুতার অর্থ নিশ্চেষ্টতা। আর মানুষের এ নিশ্চেষ্টতা কোনো গৌরব নয়, তার কলঙ্ক।সহিষ্ণুতা তাই মানবজীবনের এক দুর্লভ সম্পদ।

 

এই সম্পদের অধিকারী হলেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠে সার্থক, হয় পূর্ণতার দীপ্তিতে ভাস্বর। এর অভাবে অসুন্দরেরই নগ্ন প্রকাশ। মানুষ যেদিন সহিষ্ণুতার মূল্য উপলব্ধি করবে, সেদিন ধরার ধূলিতে রচিত হবে স্বর্গে নন্দনকানন।

 

মানুষের জীবনে সত্য হয়ে উঠবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এক মহামিলন তীর্থের স্বপ্ন। সহিষ্ণুতার বেদীতলেই যে মানুষের শেষ অর্ঘ্য, তার প্রণতি!


Juboraj Hajong Raj

75 블로그 게시물

코멘트

📲 Download our app for a better experience!