বালা ও মুসিবত :

সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপন্থা

১. বিভিন্ন আসমানী মুসিবত যথা বন্যা, খরা ,ঘূর্ণিঝড় ,জলোচ্ছ্বাস, ইত্যাদির । কিছু পরিবেশগত কার্যকারণ রয়েছে যা বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ণিত।এ কারণ গুলো যদি শুধু ধারণা ও অনুমান ভিত্তিক না হয়ে সঠিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নির্ণিত হয়ে থাকে তবে এগুলো স্বীকার করতে কোন অসুবিধা নেই। তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না যে এসব বাহ্যিক ও পরিবেশগত কার্যকারণের পশ্চাতে এমন কিছু কার্যকারণ ও উপযোগিতা রয়েছে যেগুলো বিজ্ঞানের বস্তুনির্ভর পর্যবেক্ষণ দৃষ্টির আওতা বহির্ভূত শুধু ওহীর মাধ্যমে এগুলোর জ্ঞান অর্জিত হয় এরূপ কিছু কার্যকারণ আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জানিয়ে দিয়েছেন ওহীর মাধ্যমে এই ওহী ভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকেই একজন মুমিন এ ধরনের আসমানি মুসিবত গুলোকে বিশ্লেষণ করে থাকেন গুলোকে তারা স্থান দিয়ে থাকেন দ্বিতীয় পর্যায়ে। 

 

২. এসব দুর্যোগ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা হলো, এগুলো অবশ্যই আজব ও গজব, যা ব্যাপক পাপ পাপাচারের শাস্তিস্বরূপ আপতিত ।

  এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যার অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে সে অবশ্যই এ পরিস্থিতিতে আল্লাহতালার দিকে রুজু করে এবং তওবা-ইস্তেগফারের মাধ্যমে সংশোধিত হওয়ার চেষ্টা করে ।

  কিন্তু ঈমানী দুর্বলতার কারণে কারো কারো মতে মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উদ্রেক হয় এবং আল্লাহ মাফ করুন ।

কখনো কখনো হয় যে যদি এটা গুনা ও অপরাধের শাস্তি হয়ে থাকে তাহলে সবচেয়ে বড় যে অপরাধী আমেরিকা ওখানে কেন আজাম আসে না?

আবার যদি এই ভূখণ্ডেই আজাব আশা সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তবে রই অন্যান্য অংশ তো পাপাচার হয়ে থাকে। সে অংশগুলো কেন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না ?

আর দুর্যোগ গ্রস্থ এলাকায় সবাইকে পাপী গুনাগার?

ওখানেও তো মসজিদ আছে, মাদ্রাসা আছে, নিষ্পাপ শিশু আর নেক্কার মানুষ আছে?

তাদের অপরাধ কি? তাহলে কি বড়লোকের পাপের সাজা গরীব দুঃখীকে ভুক্ত হচ্ছে ? 


Md Nuruzzaman

24 Blogg inlägg

Kommentarer