নিরপেক্ষতা: ন্যায় বিচারের মাপকাঠি

নিরপেক্ষতা হলো এমন একটি গুণ যা কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা সংবাদ মাধ্যমিকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ ক?

নিরপেক্ষতা হলো এমন একটি গুণ যা কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা সংবাদ মাধ্যমিকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এটি সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে নিরপেক্ষ অবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বোঝায়। সমাজের প্রতিটি স্তরের বিশেষ করে বিচার ব্যবস্থা গণমাধ্যম এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা অপরিহার্য। 

 

নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা: 

নিরপেক্ষতা বলতে বোঝায় এমন একটি মানসিক নৈতিক অবস্থান যেখানে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই সত্য নেয় এবং যুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। একটি ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গিকে কোন পক্ষের প্রতি প্রভাবিত না হতে সাহায্য করে এবং সঠিক ও ন্যায় সঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। 

 

নিরপেক্ষতার গুরুত্ব: 

নিরপেক্ষতা সামাজিক ন্যায় বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিষিদ্ধ করে এবং এটি ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠনে সাহায্য করে এবং ভূমিকা পালন করে থাকে। 

 

১. বিচারব্যবস্থায়: বিচারক বা আইন প্রণেতাদের জন্য নিরপেক্ষতা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক । বিচারক যদি নিরপেক্ষ না হন তাহলে বিচার ব্যবস্থাই পক্ষপাতিত্বের কারণে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হয়। এজন্য বিচারকদের পক্ষপাতিত্ব এড়িয়ে নিরপেক্ষভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। 

 

২. গণমাধ্যমে: গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা সমঝো তথ্যের সঠিকতা ও বিশেষজ্ঞতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে সাহায্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি নিরপেক্ষ গণমাধ্যম জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয় এবং সমাজের সত্য প্রতিফলিত করে। পক্ষপাতিত্ব বা প্রভাবিত সংবাদ প্রচারের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। 

 

৩. রাজনীতিতে: রাজনীতিবিদদের জন্যও নিরপেক্ষতা অন্তত জরুরী। যদি তারা কেবলমাত্র নিজ দলের বা গোষ্ঠীর সামর্থন বা স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেন তাহলে সমাজের সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না। এটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক মনোভাব দেশের স্বাভাবিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়।


Ashikul Islam

88 Blog des postes

commentaires