সুস্থতার নিয়ামত

সুস্থ থাকলে মানুষ বুঝে না।
যখন মানুষ অসুস্থ হয় তখনই বুঝতে পারে সুস্থতার নেয়ামত কি?

আমি আখি।আমি ছোট থেকেই খুব চনচল।

আমার তেমন কোনো অসুখ হতো না।আমার ৩/৪ বছর খানেক একটু জ্বর হতো এক দিনেই আমাকে কপোকাত করে চলে যেত।আমি দেখতাম আমার আশেপাশের মানুষ অসুস্থ হত কত কষ্ট হতো।সেখানে আলহামদুলিল্লাহ আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে ছিলাম।

আস্তে আস্তে বছর পার হতো লাগলো আমিও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বড় হতে লাগলাম

২০২০ সাল করোনা কালিন সময়

কত মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে মৃত্যুনররন করতেছে আবার কেউ সুস্থ হয়ে বুঝতে পারতে ছিলো অসুস্থতা আর সুস্থতার ব্যবধান।

১৯/৪/২০ আমার বিয়ের দিন ওই সময় টা করোনার প্রভাব অনেক বেশি ছিলো।তবুও আমার বিয়ে টা ১ বছর ঘুরে করোনাকালীন সময়ে এসে হয়। 

নতুন জীবন নতুন সংসার ভালোই কাটছিলো, কিন্তু হঠাৎ আমিও কেৃৃমন জানি অসুস্থতা বোধ করি গায়ের জ্বর যেনো কমেই না।পেট ব্যথা, জ্বর আমাকে ঘিরে নিলো।

ডক্টর দেখানোর পর টেস্ট দিলো রক্ত,প্রসাব,,আল্ট্রা। 

রির্পোট আসলে জানা গেলো এপেন্ডিসাইটিস। 

দ্রুত অপারেশনের জন্য নেওয়া হলো ওখানেই মৃত্যু কত ভয়াবহ হবে সামান্য বুঝতে পারলাম। আমাকে অবশের ইনজেকশন পোস করলে আমার পুরোশরীর নিথর হয়ে যায় নিশ্বাস কত মূল্যবান বুঝতে পারি,, তখন আর আমার অপারেশন শুরু হয়নি ৪৫ মিনিট পর আমার জ্ঞান আসে তারপর আমার অপারেশন শুরু হয়।অপারেশনের ৪ দিন পর বাড়ি ফেরা সকাল ১০ টায় আর সন্ধ্যায় আবার তড়িঘড়ি করে আমাকে মেডিকেল নেওয় ঘাড় জেনো ছিড়ে যাচ্ছিলো,,আম্মু বুদ্ধি করে গামছা ভিজিয়ে ঘাড়ে ধরে রাখে।তারপর মেডিকেল নিয়ে পেসার চেক করে বুঝে পেসার হাই পার ঘাড়ে ঘাৃছমা না ধরে হইতো আমার ব্রানস্টক হয়ে যেতো।

কথায় আছে না আল্লাহ যদি রাখে মারবে টা কে? রিজিক বরকত হায়াতের মালিক আল্লাহ। 

তারপর সিলি নিয়ে সমস্যা সিলিতে ঘা হয়ে গেছে কত যে কত আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কেউ বুঝতে পারেনি।

এতো কিছুর পর কেনো বাচ্চা নিচ্ছি না,মোটা হয়ে যাচ্ছি এসব নানা পড়ান কথা দিয়ে ৩ টা বছর পারি জমালাম।

২০২৩ ডিসেম্বর  ২২ তারিখ হঠাৎ চোখে দেখছি না বা চোখটা জেনো অন্ধ হয়ে গেছে,,,

তারপর আমার বাড়ির পাশে চোখের ইনস্টিটিউট ছিলো। 

তার আগে আর একটা কথা বলি।আমাদের আশেপাশে কিছু রক্ত চোসা ডাকাত মার্কা ডক্টর আছে আল্লাহ তা'আলা জানে এদের জন্য কতশত মানুষ ভূল চিকিৎসা পেয়ে জীবন নষ্ট করেছে। 

আমি চেকাপে গেলে একজন ডক্টর বলে আমি জন্ম গত অন্ধ।

কিন্তু ভাই আমি বিগত ১২ টা বছর পড়াশোনা করলাম এতো ছোট ছোট লেখা কিভাবে দেখলাম?

তার এসব উদভ্রান্ত কথা শুনে আমি সাভার যায় নতুন করে ডক্টর দেখাতে।কিন্তু ভাগ্য আমায় আবার ঠকালো এখানের ডক্টর ও আমার সময় টাকে নষ্ট করে ফেললো এমন একটা টেস্ট দিলো যে আমি সাভার তন্নতন্ন করেও টেস্ট টা করাতে পারলাম।তারপর তার কাছে গেলে সে সাথে সাথে আমার প্রেসকিপশনের লেখটা কেটে দেয়।

তারপর বলে ঢাকা চক্ষু ইন্সটিটিউট বিভাবে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ডক্টর দেখাতে।

তারপর শুরু হলো নতুন অধ্যায়:

ওখানে যাওয়র পর ডক্টর রা আমার চোখ দেখে ভয় পেয়ে যায়।   জিজ্ঞেস করে আমি কি বিড়াল পালি।তারপর  কত টেস্ট দেই টেস্ট করানোর পর আম্মু-আব্বুকে বলে বন্ড সই দিতে তারপর তারা চিকিৎসা করাবে।

আমাকে ৩ টা ইনজেকশন দেওয়া হবে এতে চোখ ভালো হতেই পারে না ও পারে।আর আমার শরীর নষ্ট হয়ে যাবে কোন এক দিক দিয়ে।

প্রথম ইনজেকশন দেওয়ার পর আমি পানির টেস্ট পাই না পানির একটা স্বাদ তা আমার থেকে হারিয়ে যায়।

তারপর বাকি ইনজেকশন দেওয়ার পর ৪ দিন পর বাড়ি ফেরা।তারপর আমার শরীর পরিবর্তন হতে শুরু করে।বমি বমি ভাব হয় বমি আসে শরীরে চুলকানি শুরু হয় শরীর থরথর করে কাপে।প্রচন্ড খুদা লাগে।আর খাওয়ার সাথে সাথে বার্থরুম।তারপর আবার খুদা লাগে। জীবনের পাতা গুলো কালো মেঘে ছেয়ে যায়।তারপর আবার ডক্টর দেখানোর পর তারা চলে এসবের জন্য মেডিসিন ডক্টর দেখাতে তারপর আমি ৩ টা ডক্টর পরিবর্তন করি। এসবে আমার দিন চলে আসে ৮ মাসে আমি এখনো অসুস্থ। 

তার মাঝে নতুন করে বুক ব্যথা অস্থিরতা

চেকাপ করে আসলাম জাতীয় হৃদ ইনস্টিটিউট থেকে ইসিজি বললো তারা একটা ইকো করে দেখাতে।

আমি খুব করে বুঝতে পারি আল্লাহর নেয়ামত কতবড় সুস্থতার  মাঝে।

আল্লাহ সবাইকে সুস্থ দান করুন আমিন।


Akhi Akter Mim

313 Blog des postes

commentaires