ভূমিকম্প কেনো হয়? এবং করণীয়।
কুরআন ও হাদীসের আলোকে ভূমিকম্প মূলত আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন, সতর্কবার্তা এবং কখনো আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি বা পরীক্ষা হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।
ইসলামে ভূমিকম্প ঘটনার বৈজ্ঞানিক কারণ অস্বীকার করা হয় না, তবে এর পেছনে আধ্যাত্মিক শিক্ষার দিকে দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।
কুরআনের আলোকে:
১. আল্লাহর ক্ষমতার নিদর্শন-
কুরআনে বিভিন্ন জাতির ওপর আল্লাহ ভূমিকম্পের মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছেন।
তখন তাদেরকে ভূমিকম্প গ্রাস করল, ফলে তারা ঘরে উপুড় হয়ে পড়ে রইল।
আমি তাদের প্রত্যেককেই তাদের অপরাধ অনুযায়ী পাকড়াও করেছি… তাদের কারো ওপর আমি পাঠিয়েছি চিৎকার, কারো ওপর ভূমিকম্প।
এসব আয়াতে বলা হয়েছে— ভূমিকম্প আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কতা বা শাস্তি হিসেবে আসতে পারে।
হাদীসের আলোকে:
২. ভূমিকম্প পাপাচারের কারণে হতে পারে-
রাসুল ﷺ বলেছেন—হাদীস (তিরমিযী ২১৮৫, হাকিম সনদ সহিহ বলেছেন) যখন কোনো জাতিতে ব্যভিচার, সুদ, মদ, অন্যায়-অবিচার প্রচলিত হয়, তখন তাদের মধ্যে ভূমিকম্প ও বালা-মুসিবত বেড়ে যায়।
এটি বোঝায়— সমাজে ব্যাপক পাপাচার বাড়লে আল্লাহ সতর্কবার্তা হিসেবে ভূমিকম্প পাঠাতে পারেন।
৩. ভূমিকম্প আল্লাহর পরীক্ষা:
কখনো শাস্তি নয়, বরং মুমিনদের জন্য পরীক্ষা হিসেবেও আসে।
"যাকে আল্লাহ ভালোবাসেন তাকে তিনি পরীক্ষা করেন।”
অতএব, ভূমিকম্প সবসময় শাস্তি নয়— কখনো পরীক্ষা।
৪. ভূমিকম্পের সময় দোয়া করা:
সাহাবারা ভূমিকম্প হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন।
উমার (রাযি.) একটি ভূমিকম্প হলে বলেছিলেনঃ
“হে মানুষ! তোমরা গুনাহ হতে ফিরে এসো, এই ভূমিকম্প তোমাদের কৃতকর্মের ফল।” (ইবন আবি শাইবা)
এতে বোঝা যায়— ভূমিকম্প হলে ইস্তেগফার, তওবা করা উত্তম কাজ।
☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎☪︎