গল্প : শ্যাওড়াগাছের পেত্নী
চতুর্থ পাঠ
সকালে যখন জ্ঞান ফিরল, সুহাস দেখল সে নিজের বিছানাতেই শুয়ে আছে। গলাটা প্রচণ্ড ব্যথা করছে, যেন কেউ সত্যি সত্যি চেপে ধরেছিল। সে বুঝতে পারল, এটা আর মনের ভুল নয়। ওই পেত্নী তার পিছু নিয়েছে। সে গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ, হরেন দাদুর কাছে ছুটে গেল। হরেন দাদু সব শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, "তোমাকে আগেই বারণ করেছিলাম বাবা। ওই শ্যাওড়াগাছের আত্মা বড়ই ভয়ঙ্কর। ও সহজে কাউকে ছাড়ে না। তুমি ওর সীমানায় ঢুকে ওকে বিরক্ত করেছ।" সুহাস ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞেস করল, "এখন উপায় কী দাদু?" হরেন দাদু বললেন, "আজ অমাবস্যার রাত। আজ রাতে ও সবচেয়ে শক্তিশালী থাকবে। তোমাকে একটা কাজ করতে হবে। একটা লোহার পেরেক আর হাতুড়ি নিয়ে ঠিক মাঝরাতে ওই গাছের উত্তর দিকের ডালে পুঁতে দিতে হবে। কিন্তু খুব সাবধান, ও তোমাকে বাধা দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করবে।" সুহাসের তখন মরীয়া অবস্থা। সে ঠিক করল, আজ রাতেই সে এই ভয়ের মোকাবিলা করবে। নয়তো সে আর বাঁচবে না।
কিন্তু সে জানত না, অমাবস্যার রাতে সেই অতৃপ্ত আত্মা কতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং তার জন্য কী ভয়ঙ্কর ফাঁদ পেতে রেখেছে।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱