রোমান্টিক শারীরিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ১২
Home
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
রোমান্টিক শারীরিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ১২
রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ১২: গত পর্বে একটা টানটান উত্তেজনা ছিল কারণ কাব্য মিরার সাথে ব্রেকাপ করে এবং শর্ত দেয়। এদিকে কাব্যের ম্যাম একটি রহস্য তৈরী করেছে, মুখ ঢেকে বর্খা পড়ে ম্যাম মিরার ব্যাপারে সব জানে কিভাবে? নাকি মিরাই ম্যাম সেজে কাব্যের সাথে লুকোচুরি করছে? চলুন রহস্য উন্মোচন করি
৪. অদ্ভুত প্রেমের গল্প
বাইরে রোমান্টিক ওয়েদার অথচ বউয়ের সাথে ঝগড়া চলে তিনদিন থেকে। মানে যাকে বলে আলাদা বিছানায় ঘুমানো টাইপ ঝগড়া । সকাল থেকে খুব চেষ্টা করছি কিভাবে ক্লোজআপ কাছে আসা গল্পের মতো বউয়ের কাছে আসা যায়। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছি।
সকাল সকালেই বউয়ের পছন্দের পাঙ্গাশ মাছ আর সাথে গরুর মাংস কিন্না আনছিলাম বাজার থেকে। ভাবলাম পছন্দের খাবার খেয়ে বউয়ের মুড সুইং করবে কিন্তু কাজ হয়নি। দুপুরে খাইতে বসে দেখি আলু ভর্তা আর ডাল রান্না করা। মনে মনে বুঝলাম আমার দিক থেকে গ্রীন সিগনাল দিলেও বউয়ের দিক থেকে রেড সিগনাল আসছে। চুপচাপ ভাত খেয়ে সহ্য করে গেলাম।
দুপুরবেলা শুয়ে শুয়ে ভাবছি কিভাবে বউয়ের মন গলানো যায়। আচ্ছা মাথাব্যথার ভান ধরলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। উহ অহ করছি আর মাথায় হাত দিচ্ছি। অথচ বউয়ের এই রুমে আসার কোনো নাম নেই। আগে একটা টু শব্দ করলেই বউ দেখতাম ছুটে আসতো। আর আজ কোনো লক্ষণ ই নাই। ভাণের মাত্রা বাড়িয়ে দিলাম। একটুপর দেখি বউ কোথায় থেকে ছুটে এসে একটা বাঘমার্কা মলম কপালে চোখে ঘষে দিয়েই পাশের রুমে চলে গেলো।
ওরে আল্লাহ সেটা মলম না অন্যকিছু। চোখে কপালে আগুনের মতো জ্বলতে লাগলো। চুপচাপ দরজা লাগিয়ে দিয়ে বাথরুম গিয়ে ধুয়ে আসলাম। মনে মনে মলম কোম্পানির চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলাম।
বউ পাগল বন্ধু রুদ্রকে কল দিয়ে ঘটনা সব খুলে বললাম। রুদ্র বললো এটা কোনো ব্যাপার ই না। ভাবীর জন্য দুই তিনটা শাড়ি কিনেদে। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। সাথেসাথেই বাইরে বের হয়ে দুইটা শাড়ি কিনে এনে ডাইনিং টেবিলে রেখে দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন বউ আসবে। এসে বলবে আরে এই সময় শাড়ির কি দরকার ছিল। কিন্তু না বউয়ের কোনো গ্রীন সিগনালের লক্ষণ ই নাই।
রাতে খেয়েদেয়ে চুপচাপ বসে আছি। বউ পাশের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েছে। কোনোকিছুই ভালো লাগছে না বলে ভাবলাম প্রিয় বন্ধু আরমান কে ফোন দেই৷ কিন্তু চারপাঁচবার কল দিয়েও ও ফোন ধরলো না৷ ভাবলাম যতক্ষণ ফোন রিসিভ করবে না ততক্ষণ ফোন দিয়েই যাবো।
২৫-২৬ বার কল দেয়ার পর ওপাশ থেকে আরমান ফোন ধরে বলে উঠলো ” ঐ শালা তুই ওয়েদার বুঝিস না? এই টাইমে কেউ এতবার ফোন দেয়। তোদের জ্বালায় কি বউয়ের সাথে একটু একা নিরিবিলি সময় কাটাতে পারবো না”। বন্ধুর কথা শুনে ফোন কেটে দিলাম।
একা একা শুয়ে আছি ঘুম ধরছে না। বাইরে টিপটপ বৃষ্টি হয়। মনে মনে ওয়েদার কে গালি দিতে লাগলাম। ঝগড়াঝাটির সময় এমন ওয়েদার হওয়া লাগে! ইসস আগেভাগেই যদি এই ওয়েদার আপডেট জানতাম তাহলে বউয়ের সাথে জীবনে ঝগড়া করতাম না।
টিভি ছেড়ে দিয়ে একটা ভূতের ছবি দেখতে লাগলাম। হঠাৎ ই মনে হলো” আরে আমার বউ না ভূতের ভয় করে”। দিলাম টিভির সাউন্ড বাড়িয়ে। একটু পর দেখি বউ আস্ত আস্তে রুমের ঢুকে সোজা বুকের মধ্যে।
ভূতের ছবি গুলাও না। শুধু ভয় দেখায় না। কাছেও আনে।
কাছে আসার গল্প
আমি বললাম, রাখো তোমার ওসব। নতুন বৌ এনে ট্রেনিং দিব, ট্রেনিং। বুঝলে। সবকিছু ট্রেনিং দিয়ে শিখিয়ে দিব। ট্রেনিং দিলে এই বিথীর চেয়ে হাজার গুন ভালো রান্না হবে।
বিথী এবার কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, আমার অতটুকু বাচ্চা। ছোট ছেলেটা তো রোজ সকালে একটু পায়েস খেতে চায়। অন্য কেউ এসব করবে বুঝি?
আরে পায়েস না করলে অন্য কিছু করবে।
না, না, না। আমার ছেলেটার যে পায়েসই লাগবে।
আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখব তখন।
বিথী এবার ভীষণ সিরিয়াস হয়ে বলল, তুমি সত্যি সত্যি বিয়ে করে ফেলবে? আমার ছেলে দুইটার জন্য একটুও মায়া হবে না। ছোট ছেলেটা যে তোমাকে ছাড়া মাঝরাতে বাথরুমে যেতে চায় না। এত ভীতু ছেলে। আমার ছেলেটা যদি একা একা কাঁদে? তুমি বিয়ে করলে এই ছেলে দুইটার যে খুব কষ্ট হবে।
বিথীর এবার সত্যি সত্যি কাঁদছে। পানিতে টলমল করছে চোখ দুটি। আমার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে লুকিয়ে চোখের ভেতর জমে থাকা পানি একবার মুছে নিল। এই দৃশ্য দেখে আমার বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠল। বিথীর সাথে মজা করতে গিয়ে নিজেই কেমন যেন হয়ে গেলাম। আমি বিথীর কাছে গিয়ে বললাম, ধুর । তুমি ঠিক ফাজলামিও বোঝো না। এত সহজে তোমাকে মরতে দিলে তো। তাছাড়া এই তুমি চলে গেলে হবে কেমন করে বলো? আমরা বাপ-ছেলে তোমাকে ছাড়া একদিনও থাকতে পেরেছি বলো?
বিথী আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদছে। আমি জানি এই সংসার, এই মায়া, এই ভালোবাসা ভয়ানক একটা জিনিস। সময় যেতে যেতে বিথী, আমি এবং আমরা এই সংসারে মায়া এবং ভালোবাসায় স্বার্থহীনভাবে জড়িয়ে পড়ি। এই ভালোবাসা জুড়ে সবসময় কেমন একটা ভয় জড়িয়ে থাকে। এই যেমন বিথীর ভেতরে ভয়। হ্যাঁ, আমি জানি বিথীর মাঝে সব সময় একটা ভয় কাজ করে। ভয়টা হলো, সে না থাকলে তার ছেলে দুইটার কী হবে? পৃথিবীতে আর কেউ নেই এই সন্তান দুটিকে তার মত করে আগলে রাখবে। এই আমিও রাখতে পারব কী না তা নিয়ে খুব ভয় তার। প্রচলিত এই সমাজ সংসারের অনেক পরিবারের এমন করুণ দৃশ্য হয়তো সে দেখেছে বা গল্প শুনেছে। এই কারণেই হয়তো আরো বেশি উদগ্রীব হয় বিথী। তার ভেতর জমে থাকা সব অভিশঙ্কা এই সন্তানগুলো নিয়ে। আমি বুঝতে পারি দিন দিন এই সংসারের মানুষগুলোকে আমাদের নিজের চেয়ে বেশি মূল্যবান হয়ে উঠে।
এই ভয় শুধু কি বিথীর? এই ভয় যে আমারো। আমার ভেতর উদগ্রীবতা জন্মে, এই আমি না থাকলে স্ত্রী, সন্তান আর পরিবারের কী হবে? এই আমি না থাকলে সন্তানগুলো কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে? রোজদিন গলা জড়িয়ে ধরে এটা সেটা আবদার করা প্রিয় সন্তানগুলো তখন কার কাছে গিয়ে আবদার করে বলবে………
সত্যি, এমন করে ভাবতেই নিজের ভেতরটা কেমন যেন কেঁপে উঠে। গলা শুকিয়ে যায়। আমারো তো ভাবনা আসে, শঙ্কা হয় যে, আমার কিছু হয়ে গেলে এই বিথী আমার প্রিয় এই সন্তানগুলোকে আগলে রাখবে তো? নাকি অন্য কারো সংসারে গিয়ে…..
সত্যি এই সংসার, এই সম্পর্ক প্রচন্ড মায়া আর ভালোবাসার। একটু একটু করে এই মায়া আর ভালোবাসার সমুদ্রটা বিস্তৃত হতে থাকে। এই বিস্তৃতি আমাদের ভেতর একটু একটু করে একটা ভয় তৈরী করে ফেলে। হারানোর ভয়, হারিয়ে যাবার ভয়।
হারানোর ভয়, হারিয়ে যাবার ভয় নিয়েও আমি, বিথী, আমরা ভালোবাসা আর মায়া দিয়ে জড়িয়ে থাকতে চাই প্রিয় মানুষগুলোর
---*❥❥❥══মেঘলা══❥❥❥
,,,,,,,,,,,•••••\?🌺অ্ঁন্য্ঁ!!কা্ঁউ্ঁকে্ঁ!!পা্ঁই্ঁনি্ঁ!!ব্ঁলে্ঁ!!তো্ঁমা্ঁয়্ঁ!!ভা্ঁলো্ঁবা্ঁসি্ঁ\
!!!!না্ঁহ্ঁ!!ব্য্ঁপা্ঁর্ঁ!!টা্ঁহ্ঁ!!তে্ঁম্ঁন্ঁ!!ন্ঁয়্ঁ!!!!
🍁°°★\ো্ঁমা্ঁয়্ঁ!!ভা্ঁলো্ঁবা্ঁসি্ঁ!!ব্ঁলে্ঁই্ঁ!!অ্ঁন্য্ঁ!!কা্ঁউ্ঁকে্ঁ!!চা্ঁই্ঁ!!না্ঁহ্ঁ\°🍁#mk007@
༒কাউকে༆==༊পছন্দ༆==༊করাটা༆==༊হচ্ছে༒প্রেম༆᭄̲̲̲̞̎̎͢🤗💘
༒আর༆==༊জীবনের༆==༊শেষ༆==༊নিঃশ্বাস༆==༊পর্যন্ত༆᭄̲̲̲̞̎̎͢
༒পাশে༆==༊থাকাটা༆==༊হল༒ভালোবাসা༆᭄̲̲̲̞̎̎͢💔🥀
---*❥❥❥══মেঘলা══❥❥❥#mk007@
হুজুরের ঘড়ি
এক গ্রামে এক হুজুর ছিলেন। খুব সাধু-সজ্জন মানুষ, সবার উপকার করতেন। তবে একটা অভ্যাস ছিল—ঘড়ি খুব পছন্দ করতেন। কারো ভালো ঘড়ি দেখলেই খুঁটিয়ে দেখতেন, হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে বলতেন, “ওহ, মাশাআল্লাহ! ঘড়িটা তো বেশ জমজমাট!”
একদিন গ্রামের এক যুবক নতুন ঘড়ি পরে হুজুরের কাছে এল। হুজুর ঘড়িটা দেখে খুব প্রশংসা করলেন, “এ যে একেবারে লন্ডনের মতো ঘড়ি!” তারপর হঠাৎ বললেন, “বাবা, একটু পড়ি দেখে নিই?” যুবক ভদ্রতা করে ঘড়ি খুলে দিলেন।
হুজুর হাতে নিয়ে ঘড়ি দেখতে লাগলেন, ওদিকে সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। মিনিট কেটে গেছে, যুবক বলল, “হুজুর, আমার একটু জরুরি কাজ ছিল…”
হুজুর বললেন, “ওহ, হ্যাঁ! কিন্তু ঘড়ির টাইম তো একটু স্লো লাগছে। এটা ঠিক করতে হবে।”
তারপর পকেট থেকে একটা প্যাঁচানো ছোট স্ক্রুড্রাইভার বের করে ঘড়ির পেছনে খুলে ফেললেন। ঘড়ি খুলে কাঁটা ঘুরালেন, কিছুক্ষণ পর বললেন, “এবার ঠিক হয়েছে!”
যুবক খুশি হয়ে বলল, “আলহামদুলিল্লাহ! হুজুর তো ঘড়িও ঠিক করতে পারেন!”
হুজুর গম্ভীর হয়ে বললেন, “আমার ইচ্ছা ছিল ঘড়ির দোকান দিই। কিন্তু মানুষ মসজিদে রেখে ঘড়ি ফেরত নেয় না, তাই দোকান খুলে লাভ কী?”
সবাই হেসে উঠল। হুজুর তখন বললেন, “তবে একটা কথা—ঘড়ি যেটাই হোক, সময়ের কদর না করলে জীবনেই পিছিয়ে পড়বে।”
এ কথা শুনে যুবক ঘড়িটা হাতে নিয়ে বলল, “তাই তো হুজুর, আপনার কাছ থেকে সময় নিয়েই আমি অনেক কিছু শিখে ফেললাম।”
সেদিন থেকে হুজুরের ঘড়ির কদর আরেকটু বেড়ে গেল।
#sifat10