মেয়েটার দিকে চেয়ে সালামের জবাব দিবো, এমন সময় থমকে যায় ছেলেটি ! কারন এই মেয়েটিই তার স্কুলজীবনের ফাস্ট ইমপ্রেশন “সাদিয়া”!!!
যাকে একটাবার দেখার জন্য প্রতিদিন স্কুলে দৌড়ে যেত। যার একটা থাপ্পড়ে আজ ছেলেটি বুয়েট ইন্জিনিয়ার। (মনের মধ্যে মুচকি হাসি)!
লক্ষ্য করলো বালিকার চোখে জল! ছেলেটি স্বাভাবিকভাবেই বললেন, – কাঁদছো কেন? এবার সাদিয়ার চোখ বেয়ে অশ্রুর ঢল নেমেছে!
মেয়েটা হাতজোর করে বলতে লাগলো – প্লিজ তুমি আমাকে মাপ করে দাও।
সাদিয়ার কান্না দেখে ছেলেটির চোখেও অশ্রু চলে আসলো।
ছেলেটি বললো।
খুব ভালোবেসেছিলাম তোমাকে! তখন
যোগ্যতা ছিলো না তাই পাইনি! আজ যোগ্যতা আছে কিন্তু তুমি নেই।
এটাই বাস্তবতা!
কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়…
কি..রে এর মধ্যে বিয়েও করে ফেলেছিস?
যাইহোক কি হইছে তোর বউয়ের?!
একটা অপারেশন করতে হবে! ২লাখ টাকা দরকার।
আচ্ছা চল……
অতঃপর হাসপাতালে ! তাড়াহুড়োর কারনে টাকা জমা দিয়ে চলে আসে!
তার ১০দিন পর, আবার আসিফ আসলো ছেলটির কাছে!
ভাই আপনাকে আমার সাথে একটু যেতে হবে!
কোথায়?
আমার বাসায়।
কেন?
আমার স্ত্রী আপনাকে একটু দেখতে চায়।
কিন্তু আমারতো আজ বেশ কয়েকটা প্রোগ্রাম আছে।
প্লিজ ভাই……
অবশেষে আসিফের অনুরোধে ওর বাসায় যায় ছেলেটি! খুবই মধ্যবিত্ত পরিবার ওর। সাদামাটা পরিবেশ! খোলা হাওয়া, সবমিলিয়ে ভালোই।
ফ্রেশ হয়ে রুমে আসতেই, ওপাশ থেকে কেউ একজন সালাম দিলো! মনেহয় আসিফের বউ!!
সেদিনযে স্কুল থেকে ছেলেটি বেরিয়েছিলো
আর কখনো ঐ স্কলে যাইনি!!
ময়মনসিংহের ছোট্ট একটি শহর গফরগাঁও!
সেখান
থেকে এসএসসি এবং ইন্টারমিডিয়েট কম্পলিট করে এসএসসিতে গোল্ডেন! এইচএসসিতে গোল্ডেন অবশেষে বুয়েটে চান্স!
আমাদের আরও সুন্দর সুন্দর গল্প ও কবিতা পড়তে এখানে ক্লিক করুন যদি আমাদের সাথে শেয়ার করতে চান তো এখানে ক্লিক করুন
এটাই ছিল ছেলেটির জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা! সেদিন’যে মেয়েটা তার গালে যে থাপ্পড় মেরেছিলো, সেই থাপ্পড় ই আজ তাকেএতো উপরে তুলে দিয়েছে!
ছেলেটি আজও মেয়েটির চিরকৃতজ্ঞ স্বীকার করে (কত বড় মনের অধিকারী হলে ছেলেটি মেয়েটির অপরাধকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে) যাক!
ছেলেটি কলেজ ফ্রেন্ড আসিফ! ওর কাছে ছেলেটি ফেরেস্তার সমতুল্য! ১মাস আগে যখন
আমেরিকা থেকে ছেলেটি দেশে ফিরলো!
তখন আসিফ এসে তার বাসায় উপস্থিত!
দীর্ঘ ৮বছর পর ওর সাথে ছেলেটি দেখা।
এমন